hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

২০
শিরকের ভয়াবহতা :
১। আল্লাহর সাথে শিরক করা বড় ধরনের অন্যায়। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ হক্ব-তাওহীদের উপর আঘাত হানা হয়। তাওহীদ হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইনসাফ আর শিরক সর্বোচ্চ পর্যায়ের অন্যায়, সবচে ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট বস্ত্ত। কারণ: এর মাধ্যমে বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহ তা’আলাকে খাটো করা হয়, তাঁর আনুগত্য ও বশ্যতা স্বীকার থেকে অহংকার বশত বিরত থাকা হয়, একমাত্র তাঁর অধিকারকে অন্যের দিকে ফিরানো হয় এবং অন্যকে তাঁর সমপর্যায়ের জ্ঞান করা হয়।

শিরকের ভয়াবহতা কত মারাত্মক ? আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরাআনে মুশরিকদের ক্ষমা করবেন না মর্মে ঘোষণা করেছেন।

আল্লাহ বলেন-

إن الله لا يغفر أن يشرك به و يغفر ما دون ذلك لمن يشاء

‘নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা শিরকের অপরাধ ক্ষমা করবেন না, এর চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন।’ [সূরা নিসা:৪৮।]

২। শিরক তথা আল্লাহ তা’আলার অংশীদার স্থির করা সবচে বড় গুনাহ। যে ব্যক্তি আল্লাহ ভিন্ন অন্য কিছুর ইবাদত করল সে ইবাদতকে নিজস্ব স্থান থেকে সরিয়ে অনুপোযুক্তস্থানে নিবেদন করল এবং অযোগ্য সত্তার নিমিত্তে সম্পাদন করল। এটি বড় জুলুম এবং মারাত্মক অন্যায়।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন :

إن الشرك لظلم عظيم

‘নিশ্চয় শিরক মহা অন্যায়।’ [সূরা লোকমান : ১৩।]

৩। শিরকে আকবর সকল নেক আমলকে বরবাদ ও নিষ্ফল করে দেয়। ধ্বংস ও ক্ষতিকে অনিবার্য করে তুলে। এবং শিরক হল সবচে বড় মারাত্নক পাপগুলোর প্রধান।

আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন:

وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

‘আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার আমল নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবেন।’ [সূরা যুমার: ৬৫।]

হাদীসে এসেছে -

وعن أبي بكرة رضي الله عنه قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم :(( ألا أنبئكم بأكبرالكبائر؟ )) ثلاثا , قالوا : بلى يا رسول الله , قال : (( الإشراك بالله , وعقوق الوالدين )), و جلس و كان متكئا (( ألا و قول الزور )) قال : فما زال يكررها حتى قلنا : ليته سكت . ( متفق عليه )

সাহাবী আবু বাকরাহ রদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করছেন- নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন : আমি কি তোমাদের আকবারুল কাবায়ের (সবচে বড় গুনাহ) সম্পর্কে বলব না? এ কথাটি তিনি পর পর তিনবার বললেন, সাহাবারা আরয করলেন, হ্যাঁ- ইয়া রাসূলাল্লাহ। তখন নবীজী বললেন: আল্লাহর সাথে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দেয়া ছিলেন এরপর সোজা হয়ে বসে বললেন: ভাল করে শোন! এবং মিথ্যা বলা, বর্ণনাকারী বলছেন: এ কথাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারবার বলে যাচ্ছিলেন একপর্যায়ে আমরা (মনে মনে ) বললাম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি নীরব হয়ে যেতেন। [বর্ণনায় বুখারী হাদীস নং ২৬৫৪ এবং মুসলিম হাদীস নং ৮৭। হাদীসের ভাষ্য বুখারীর ।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন