hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

১৯০
জান্নাতবাসীদের স্ত্রীদের বিবরণ:
(১) আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:

لِلَّذِينَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ ﴿15﴾ { آل عمران :১৫}

যারা তাকওয়া অবলম্বনকারী, আল্লাহর নিকট তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর রয়েছে পরিচ্ছন্ন সঙ্গিগন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন। { সূরা আলে ইমরান:১৫}

(২) অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে:

إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً ﴿35﴾ فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا ﴿36﴾ عُرُبًا أَتْرَابًا ﴿37﴾ لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ ﴿38﴾ ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ ﴿39﴾ وَثُلَّةٌ مِنَ الْآَخِرِينَ ﴿40﴾ { الواقعة :৩৫-৪০}

আমি জান্নাতি রমণীগনকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। অত:পর তাদেরকে করেছি চির কুমারী। কামিনী, সমবয়স্কা। ডানদিকের লোকদের জন্য। তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে। এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য হতে। {সূরা ওয়াকিয়া:৩৫-৪০}

(৩) আরও ইরশাদ হচ্ছে:

وَعِنْدَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِينٌ ﴿48﴾ كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَكْنُونٌ ﴿49﴾ { الصافات :48-49}

তাদের সঙ্গে থাকবে আনত নয়না, আয়তলোচনা তরুণীকূল। যেন তারা সুরক্ষিত ডিম। {সূরা সাফফাত:৪৮-৪৯}

(৪) আরও ইরশাদ হচ্ছে:

وَحُورٌ عِينٌ ﴿22﴾ كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ ﴿23﴾ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿24﴾ { الواقعة :২২-২৪}

আর সেখানে থাকবে আনত নয়না হুরগন, আবরণে রক্ষিত মুক্তা সদৃশ। তাদের কৃত আমলের পুরস্কার স্বরূপ। {সূরা ওয়াকিয়া:২২-২৪}

(৫) আরও ইরশাদ হচ্ছে:

فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنْسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ ﴿56﴾ فَبِأَيِّ آَلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ﴿57﴾ كَأَنَّهُنَّ الْيَاقُوتُ وَالْمَرْجَانُ ﴿58﴾ { الرحمن : ৫৬-৫৮}

সে সকলের মাঝে থাকবে বহু আয়তনয়না রমণীকূল। যাদেরকে পূর্বে কোন মানুষ ও জিন স্পর্শ করেনি। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন অনুগ্রহ-অবদানকে অস্বীকার করবে? তারা যেন পদ্মরাগ ও প্রবাল।{সূরা আর রহমান:৫৬-৫৮}

(৬) আরও ইরশাদ হচ্ছে:

فِيهِنَّ خَيْرَاتٌ حِسَانٌ ﴿70﴾ فَبِأَيِّ آَلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ﴿71﴾ حُورٌ مَقْصُورَاتٌ فِي الْخِيَامِ ﴿72﴾ { الرحمن :70-72}

সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা-সুশীলা, সুন্দরী রমণীকুল। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ - অবদান অস্বীকার করবে? তার তাঁবুতে অবস্থান কারিনী-সুরক্ষিতা হুর। {সূরা আর রহমান:৭০-৭২}

(৭) হাদীসে এসেছে

وعن أنس رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : لروحة في سبيل الله أو غدوة خير من الدنيا و ما فيها , ولقاب قوس أحدكم من الجنة أو موضع قيد ـ يعني سوطه ـ خير من الدنيا و ما فيها , ولو أن امرأة من أهل الجنة اطلعت إلى أهل الأرض لأضاءت ما بينهما , ولملأته ريحا , ولنصيفها على رأسها خير من الدنيا و ما فيها . متفق عليه

সাহাবী আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করছেন, নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: এক সন্ধ্যা অথবা এক বিকাল আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা পৃথিবী ও পৃথিবীস্থিত সকলকিছু অপেক্ষা উত্তম। জান্নাতে তোমাদের কারো ধনুকের দূরত্ব সমান জায়গা অথবা ছড়ি রাখার স্থান পরিমাণ জায়গা পৃথিবী ও পৃথিবীস্থিত সকল কিছু অপেক্ষা উত্তম। জান্নাতের কোন নারী যদি জগতবাসীর দিকে একবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করত তাহলে এতদ্ভোয়ের {জান্নাত ও পৃথিবী} মধ্যবর্তীস্থান আলোয় ও সুগন্ধিতে ভরে দিত। আর জান্নাতবাসী রমণীর মাথার উড়নাটুকু পৃথিবী ও পৃথিবীস্থিত সবকিছু থেকে উত্তম। [বর্ণনায় কুখারী ও মুসলিম। হাদীস নং বুখারী (২৭৯৬) ও মুসলিম (১৮৮০)।]

(৮) হাদীসে আরো এসেছে

وعن أبي هريرة رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : إن أول زمرة تدخل الجنة على صورة القمر ليلة البدر , والتي تليها على أضوأ كوكب دري في السماء , لكل امرئ منهم زوجتان اثنتان , يرى مخ سوقهما من وراء اللحم وما في الجنة أعزب . متفق عليه

সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলটি পূর্ণিমা রাতের আলোকোদ্ভাসিত চাঁদের আকৃতি নিয়ে প্রবেশ করবে। এর পরেই যারা প্রবেশ করবে তারা হবে আকাশস্থ আলোকোজ্জ্বল নক্ষত্র থেকেও অধিক আলোকময়। তাদের প্রত্যেকের জন্য দু’জন করে স্ত্রী থাকবে যাদের পায়ের গোছার মগজ গোশত ভেদ করে দেখা যাবে। জান্নাতে কোন অবিবাহিত থাকবে না। [বর্ণনায় কুখারী ও মুসলিম , হাদীস নং বুখারী (৩২৪৬) ও মুসলিম (২৮৩৪)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন