hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

৫২
সফলতা, কল্যাণ ও উন্নতির উপকরণ ও মাধ্যম :
মহান আল্লাহ কল্যাণ ও উন্নতির চাবি-কাঠি ও উপায়-উপকরণ ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল মানুষকেই দান করেছেন। আর যাতে কল্যাণ ও সফলতা নেই যেমন ধন-সম্পদ, ক্ষমতা- প্রভাব-খ্যাতি ইত্যাদি (এসব বস্ত্ত) কাউকে দিয়েছেন, কাউকে দেননি। ঈমান ও নেকআমলই হচ্ছে দুনিয়া-আখিরাতে সফল ও কামিয়াব হওয়ার একমাত্র মাধ্যম। এ অধিকার ও সুযোগ সকলকেই দান করা হয়েছে। অনুরূপভাবে ঈমানের স্থান অন্তর সকলের ভেতরই বিদ্যমান। তদ্রুপ নেকআমলের জায়গা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও সকলের অধীন। সুতরাং যে ব্যক্তির অন্তরে ঈমান আছে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে নেক আমল প্রকাশ পেয়েছে সে ইহকাল-পরকাল উভয় জগতে সফল ও কামিয়াব হয়ে গিয়েছে। এছাড়া সকলেই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত।

ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতে কল্যাণ ও সফলতা একমাত্র ঈমান ও নেকআমলের মাধ্যমেই অর্জিত হয়। আল্লাহ তাআলার নিকট মানুষের মূল্য ও মর্যাদা তার ঈমান ও নেকআমলের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে নিরুপিত হয়। (যার ঈমান মজবুত নেকআমল বেশি তার মূল্য-মর্যাদা বেশি। যার ঈমান দুর্বল নেকআমলের সংখ্যাও কম তার মূল্যও তুলনা মূলক কম) এ মূল্য ও মর্যাদার ভিত্তি হচ্ছে ঈমান ও নেক আমল। ধন-সম্পদ, ক্ষমতা-প্রভাব, ও পদমর্যাদা নয়।

পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক জাতি অতিবাহিত হয়েছে যারা মান-মর্যাদা ও মূল্যায়নের সঠিক মাধ্যম ঈমান ও নেকআমলকে গ্রহণ না করে অন্যান্য বস্ত্তকে মূল্যায়ন ও মর্যাদার মাধ্যম বলে বিশ্বাস করেছে। তাদের কেউ কেউ কল্যাণ ও কামিয়াবী কর্তৃত্ব ও রাজত্বের মধ্যে নিহিত বলে বিশ্বাস করেছে। যেমন নমরূদ ও ফিরআউন।

আবার কেউ বিশ্বাস করেছে এগুলো শক্তির মধ্যে নিহিত, যেমন আদ জাতি।

আবার কেউ মনে করেছে ব্যবসার মধ্যে, যেমন শুআইব আলাইহিস সালামের জাতি।

কেউ ধারণা করেছে কৃষি কাজের মধ্যে, যেমন কওমে সাবা আবার কেউ বিশ্বাস করেছে শিল্প ও কারিগরির মধ্যে, যেমন সামূদ জাতি আর কেউ কেউ ধারণা করেছে ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্যের মধ্যে যেমন কারূন।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সেসব জাতির নিকট পর্যাপ্ত পরিমাণে নবী-রাসূলপ্রেরণ করেছেন তাদেরকে এক আল্লাহর ইবাদতের প্রতি আহবান করার জন্য। এবং এ বিষয়ে বুঝানোর জন্য যে, কল্যাণ ও সফলতা এসব কিছুতে নেই। কল্যাণ আছে একমাত্র ঈমান ও নেক আমলের মধ্যে।

(১) আল্লাহ তাআলা বলেন :-

وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللَّهَ وَيَتَّقْهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ ﴿52﴾ ( سورة النور : 52)

আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই সফলকাম। [সূরা নূর : ৫২।]

(২) আরো এরশাদ হচ্ছে :

الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ ﴿3﴾ وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآَخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ ﴿4﴾ أُولَئِكَ عَلَى هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ﴿5﴾ ( سورة البقرة : 3-5)

যারা গায়েবের প্রতি ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা তোমার প্রতি নাযিল করা হযেছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে। আর আখেরাতের প্রতি তারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। তারা তাদের রবের পক্ষ হতে হিদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। [সূরা বাকারা : ৩-৫।]

তারা (সেসব জাতি) যখন রাসূলদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করল ও স্বীয় কুফরীর উপর অটল রইল আর নিজেদের কাছে থাকা জিনিস দ্বারা প্রতারিত হল। আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিলেন। আর নবী রাসূল ও তাঁদের অনুসারীদের রক্ষা করলেন। শত্রুর বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করলেন।

(১) আল্লাহ তাআলা বলেন :

فَكُلًّا أَخَذْنَا بِذَنْبِهِ فَمِنْهُمْ مَنْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِ حَاصِبًا وَمِنْهُمْ مَنْ أَخَذَتْهُ الصَّيْحَةُ وَمِنْهُمْ مَنْ خَسَفْنَا بِهِ الْأَرْضَ وَمِنْهُمْ مَنْ أَغْرَقْنَا وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَكِنْ كَانُوا أَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ ﴿40﴾ ( سورة العنكبوت : 40)

অত:পর এদের প্রত্যেককে নিজ নিজ পাপের কারণে আমি পাকড়াও করেছিলাম; তাদের কারো উপর আমি পাথরকুচির ঝড় পাঠিয়েছি, কাউকে পাকড়াও করেছে বিকট আওয়াজ, কাউকে আবার মাটিতে দাবিয়ে দিয়েছি আর কাউকে পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ এমন নন যে তাদের উপর যুলুম করবেন বরং তারা নিজেরা নিজেদের উপর যুলুম করত। [সূরা আনকাবুত : ৪০।]

(২) আল্লাহ তাআলা আরও বলেন :-

فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا نَجَّيْنَا صَالِحًا وَالَّذِينَ آَمَنُوا مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مِنَّا وَمِنْ خِزْيِ يَوْمِئِذٍ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ ﴿66﴾ وَأَخَذَ الَّذِينَ ظَلَمُوا الصَّيْحَةُ فَأَصْبَحُوا فِي دِيَارِهِمْ جَاثِمِينَ ﴿67﴾ ( سورة هود : 66-67)

অতঃপর যখন আমার আদেশ এল, তখন সালেহ ও তার সাথে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে রহমত দ্বারা নাজাত দিলাম এবং (নাজাত দিলাম) সেই দিনের লাঞ্ছনা থেকে। নিশ্চয় তোমার রবই শক্তিশালী, পরাক্রমশালী। আর যারা যুলুম করেছিল, বিকট আওয়াজ তাদেরকে পাকড়াও করল, ফলে তারা নিজেদের গৃহে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকল। [সূরা হুদ : ৬৬-৬৭।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন