hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

২০৩
জান্নাতের নিয়ামতরাজির বিবরণ
জান্নাত ও তার বহুবিধ নিয়ামতের কিছু সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে উপস্থাপন করা হল। আল্লাহ আমি-আপনি সহ বিশ্বের বিগত-আগত সকল মুসলিমদের উক্ত জান্নাতের অধিকারী হওয়ারাতওফিক দিন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা পরম দয়ালু।

(১) আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:

الَّذِينَ آَمَنُوا بِآَيَاتِنَا وَكَانُوا مُسْلِمِينَ ﴿69﴾ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنْتُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُونَ ﴿70﴾ يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِصِحَافٍ مِنْ ذَهَبٍ وَأَكْوَابٍ وَفِيهَا مَا تَشْتَهِيهِ الْأَنْفُسُ وَتَلَذُّ الْأَعْيُنُ وَأَنْتُمْ فِيهَا خَالِدُونَ ﴿71﴾ وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ ﴿72﴾ لَكُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْهَا تَأْكُلُونَ ﴿73﴾ { الزخرف : ৬৯ـ ৭৩}

যারা আমার আয়াতে বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং তারা ছিল (আত্মসমর্পণকারী) মুসলমান। (তাদের বলা হবে) জান্নাতে প্রবেশ কর তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণিগণ সানন্দে। স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাহাদিগকে প্রদক্ষিণ করা হবে, সেখানে রয়েছে সমস্ত কিছু, যা অন্তর চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে। এটিই জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে, তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ। সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে প্রচুর ফলমূল, যা হতে তোমরা আহার করবে।

{সূরা যুখরুফ:৬৯-৭৩}

(২) আরও ইরশাদ হচ্ছে:

إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٍ ﴿51﴾ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ ﴿52﴾ يَلْبَسُونَ مِنْ سُنْدُسٍ وَإِسْتَبْرَقٍ مُتَقَابِلِينَ ﴿53﴾ كَذَلِكَ وَزَوَّجْنَاهُمْ بِحُورٍ عِينٍ ﴿54﴾ يَدْعُونَ فِيهَا بِكُلِّ فَاكِهَةٍ آَمِنِينَ ﴿55﴾ لَا يَذُوقُونَ فِيهَا الْمَوْتَ إِلَّا الْمَوْتَةَ الْأُولَى وَوَقَاهُمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ ﴿56﴾ { الدخان :৫১ ــ ৫৬}

মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে- উদ্যান ও ঝর্ণার মাঝে, তারা পরিধান করবে মিহি ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং মুখামুখি হয়ে বসবে। এরূপই ঘটবে; আমি তাদেরকে সঙ্গি দান করবে আয়তলোচনা হূর, সেখানে তারা প্রশান্ত চিত্তে বিবিধ ফলমূল আনতে বলবে। প্রথম মৃত্যুর পর তারা সেখানে আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না। আর তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করবেন। {সূরা দুখান:৫১-৫৬}

(৩) আরও ইরশাদ হচ্ছে:

وَجَزَاهُمْ بِمَا صَبَرُوا جَنَّةً وَحَرِيرًا ﴿12﴾ مُتَّكِئِينَ فِيهَا عَلَى الْأَرَائِكِ لَا يَرَوْنَ فِيهَا شَمْسًا وَلَا زَمْهَرِيرًا ﴿13﴾ وَدَانِيَةً عَلَيْهِمْ ظِلَالُهَا وَذُلِّلَتْ قُطُوفُهَا تَذْلِيلًا ﴿14﴾ وَيُطَافُ عَلَيْهِمْ بِآَنِيَةٍ مِنْ فِضَّةٍ وَأَكْوَابٍ كَانَتْ قَوَارِيرَ ﴿15﴾ قَوَارِيرَ مِنْ فِضَّةٍ قَدَّرُوهَا تَقْدِيرًا ﴿16﴾ وَيُسْقَوْنَ فِيهَا كَأْسًا كَانَ مِزَاجُهَا زَنْجَبِيلًا ﴿17﴾ عَيْنًا فِيهَا تُسَمَّى سَلْسَبِيلًا ﴿18﴾ وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ إِذَا رَأَيْتَهُمْ حَسِبْتَهُمْ لُؤْلُؤًا مَنْثُورًا ﴿19﴾ وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًا وَمُلْكًا كَبِيرًا ﴿20﴾ عَالِيَهُمْ ثِيَابُ سُنْدُسٍ خُضْرٌ وَإِسْتَبْرَقٌ وَحُلُّوا أَسَاوِرَ مِنْ فِضَّةٍ وَسَقَاهُمْ رَبُّهُمْ شَرَابًا طَهُورًا ﴿21﴾ إِنَّ هَذَا كَانَ لَكُمْ جَزَاءً وَكَانَ سَعْيُكُمْ مَشْكُورًا ﴿22﴾{ الإنسان :১২ ــ ২২}

আর তাদের ধৈর্যশীলতার পুরস্কারস্বরূপ তাদেরকে দেবেন উদ্যান ও রেশমী বস্ত্র। সেখানে তারা সমাসীন হবে সুসজ্জিত আসনে, তারা সেখানে অতিশয় গরম অথবা অতিশয় শীত অনুভব করবে না। সন্নিহিত বৃক্ষছায়া তাদের উপর থাকবে এবং তার ফলমূল সম্পূর্ণরূপে তাদের আয়ত্তাধীন করা হবে। তাদেরকে পরিবেশন করা হবে রৌপ্যপাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পানপাত্রে- রজতশুভ্র স্ফটিক পাত্রে, পরিবেশন কারীরা যথাযথ পরিমাণে তা পূর্ণ করবে। সেথায় তাদেরকে পান করতে দেয়া হবে যানজাবীল (আদ্রক) মিশ্রিত পানীয়, জান্নাতের এমন এক প্রস্রবণের যার নাম সালসাবীল। তাদেরকে পরিবেশন করবে চিরকিশোরগণ, যখন তুমি তাদেরকে দেখবে তখন মনে করবে তারা যেন বিক্ষিপ্ত মুক্তা। তুমি যখন সেখানে দেখবে, দেখতে পাবে ভোগ-বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য। তাদের আবরণ হবে সূক্ষ্ম সবুজ রেশম ও স্থুল রেশম, তারা অলংকৃত হবে রৌপ্য নির্মিত কংকনে, আর তাদের প্রতিপালক তাদেরকে পান করাবেন বিশুদ্ধ পানীয়। অবশ্য, ইটিই তোমাদের পুরস্কার এবং তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা স্বীকৃত। {সূরা ইনসান:১২-২২}

(৪) অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে:

وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ ﴿10﴾ أُولَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ ﴿11﴾ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ ﴿12﴾ ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ ﴿13﴾ وَقَلِيلٌ مِنَ الْآَخِرِينَ ﴿14﴾ عَلَى سُرُرٍ مَوْضُونَةٍ ﴿15﴾ مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ ﴿16﴾ يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ ﴿17﴾ بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِنْ مَعِينٍ ﴿18﴾ لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُونَ ﴿19﴾ وَفَاكِهَةٍ مِمَّا يَتَخَيَّرُونَ ﴿20﴾ وَلَحْمِ طَيْرٍ مِمَّا يَشْتَهُونَ ﴿21﴾ وَحُورٌ عِينٌ ﴿22﴾ كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ ﴿23﴾ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿24﴾ لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا ﴿25﴾ إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا ﴿26﴾ { الواقعة :১০ ــ ২৬}

আর অগ্রবর্তীগণই তো অগ্রবর্তী, তারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত-নিয়ামতপূর্ণ উদ্যানে; বহু সংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে; এবং অল্প সংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য হতে। স্বর্ণ-খচিত আসনে। তারা হেলান দিয়ে বসবে, পরস্পর মুখামুখি হয়ে। তাদের সেবায় ঘোরাফিরা করবে চির-কিশোরেরা। পানপাত্র , কুঁজা ও প্রস্রবণ নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে। সে সুরা পানে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং তারা জ্ঞানহারাও হবে না। এবং তাদের পছন্দমত ফলমূল, আর তাদের ঈপ্সিত পাখীর গোশত নিয়ে, আর (তাদের জন্য থাকবে) আয়তলোচনা হূর, সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ, তাদের কর্মের পুরস্কারস্বরূপ। সেখানে তারা শুনবে না কোন অসার ও পাপবাক্য, সালাম আর সালাম বাণী ব্যতীত।

{সূরা ওয়াকিয়া :১০-২৬}

(৫) আরও ইরশাদ হচ্ছে:

وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ ﴿27﴾ فِي سِدْرٍ مَخْضُودٍ ﴿28﴾ وَطَلْحٍ مَنْضُودٍ ﴿29﴾ وَظِلٍّ مَمْدُودٍ ﴿30﴾ وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ ﴿31﴾ وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ ﴿32﴾ لَا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ ﴿33﴾ وَفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ ﴿34﴾ إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً ﴿35﴾ فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا ﴿36﴾ عُرُبًا أَتْرَابًا ﴿37﴾ لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ ﴿38﴾ ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ ﴿39﴾ وَثُلَّةٌ مِنَ الْآَخِرِينَ ﴿40﴾ { الواقعة :২৭ ــ ৪০}

আর ডান দিকের দল, কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল। তারা থাকবে এমন উদ্যানে, সেখানে আছে কণ্টকহীন কুলবৃক্ষ। কাঁদি ভরা কদলী বৃক্ষ, সম্প্রসারিত ছায়া, সদা প্রবহমান পানি, ও প্রচুর ফলমূল। যা শেষ হবে না এবং যা নিষিদ্ধও হবে না। আর সমুচ্চ শয্যাসমূহ; ওদেরকে (হূর) আমি সৃষ্টি করেছি বিশেষরূপে। তাদেরকে করেছি কুমারী, সোহাগিনী ও সমবয়স্কা, ডানদিকের লোকদের জন্য। তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে। এবং অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য হতে। {সূরা ওয়াকিয়া: ২৭-৪০}

(৬) হাদীসে এসেছে

وعن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : قال الله عز و جل : أعددت لعبادي الصالحين ما لا عين رأت , ولا أذن سمعت , ولا خطر على قلب بشر . مصداق في كتاب الله﴿ فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿17﴾ متفق عليه

সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন: আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন (সুন্দর নেয়ামতরাজি) তৈরী করে রেখেছি, যা কখনো কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং কোন মানুষের হৃদয় কল্পনাও করেনি। আল-কুরআনে এর সত্যায়ন হয়েছে এভাবে: ‘কেউই জানেনা তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কী লুক্কায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ [বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম। হাদীস নং বুখারী (৩২৪৪) মুসলিম ( ২৮২৪)।]।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন