hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১০৮
ইসলামী রাষ্ট্রের আয়ের উপায়
ইসলামী রাষ্ট্রের বিরাট জাতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য যে বিপুল অর্থ সম্পদের আবশ্যক, তাহা পূর্ণ করিবার জন্য কুরআন মজীদে নিম্নলিখিত উপায়সমূহ নির্ধারিত হইয়াছে:

১. সর্ব প্রকারের যাকাত, সাদ্‌কা, ওশর বা মুসলমানদের ভূমিরাজস্ব, খনিজ সম্পদের ‘রয়ালটি’ ইত্যাদি।

২. ভিন্ন জাতির নিকট হইতে বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত ধন-সম্পদ, জিযিয়া, গনীমতের মাল, খারাজ বা অমুসলমানদের অধিকারভুক্ত জমির খাজনা ইত্যাদি।

৩. দেশের সমষ্টিগত প্রয়োজন পরিপূরণের জন্য নাগরিকদের কিট হইতে আদায়কৃত চাঁদা বাবদ লব্ধ অর্থ।

নবী করীম (ﷺ) এবং খুলাফায়ে রাশেদুন কর্তৃক নির্ধারিত কর

নবী করীম (ﷺ) এবং খুলাফায়ে রাশেদুন নিম্নলিখিত বিষয়গুলিকেও ইসলামী রাষ্ট্রের আয় হিসাবে গণ্য করিয়াছেন:

(১) ভূগর্ভে প্রাপ্ত সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ (২) রয়ালটি (৩) ইজারার খাজনা (৪) আমদানী ও রফতানী শুল্ক (৫) নদী-সমুদ্র হইতে প্রাপ্ত সম্পদ (৬) মালিক বা উত্তরাধিকারীহীন ধন-সম্পত্তি (৭) মুদ্রাশিল্প এবং রাষ্ট্রের মালিকানা ও কর্তৃত্বাধীন পরিচালিত জমি, বন ও শিল্প-ব্যবসায়লব্ধ মুনাফা।

আয়ের উল্লেখিত উপায়সমূহকে পরিমাণের দিক দিয়া চার ভাগে বিভক্ত করা চলে: (ক) ভূমি রাজস্ব- ওমর, ওশরের অর্ধেক, খারাজ।

(খ) খুমুস- যেসব রাজস্ব মুল সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ হিসাবে গ্রহণ করা হয়, যথা গণীমতের মাল, ব্যাক্তি-মালিকানার খনিজ সম্পদ, সামুদ্রিক সম্পদ ইত্যাদি।

(গ) যাকাত, সাদকা এবং নাগরিকদের নিকট হইতে লব্ধ টাকা। জিযিয়অও ইহারই অন্তর্ভুক্ত হইবে। (জিয়িা, খারাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নাগরিকদের নিকট হইতে যাহা আয়অ করা হইবে, তাহার হার ও পরিমাণ নির্ধারণ ইসলামী রাষ্ট্রের বা পার্লামেন্টের কাজ।) যাকাত বিভিন্ন জিনিস হইতে বিভিন্ন হারে আদায় করার নির্দেশ রহিয়াছ্

(ঘ) মালিকবিহীন বা উত্তরাধিকারীহীন ধন-সম্পত্তি। ইহার সম্পূর্ণ ও সমগ্রটাই রাষ্ট্রীয় বায়তুলমালে জমা হইবে।

উল্লেখিত রাষ্ট্রীয় আয়সমূহকে অপর এক দিক দিয়া আবর দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে:

(১) যেসব আয়ের ব্যয়-ক্ষেত্র কুরআনে নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া হইয়াছে।

(২) এবং যেসব আয়ের ব্যয়-ক্ষেত্র নির্ধারণ ও পরিকল্পনা গ্রহণের দায়িত্ব ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালকদের (পার্লামেন্টের) উপর ন্যস্ত করা হইয়াছে। (অবশ্য তাহাও কুরআন হাদীসের মুল ভাবধারা অনুযায়ী জনগণের কল্যাণ দৃষ্টিতেই নির্ধারণ করিতে হিইবে।)

এখঅনে ইসলামী রাষ্ট্রের আয়ের উল্লেখিত উপায়সমূহের বিশ্লেষণ করা যাইতেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন