hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১৩৯
বায়তুলমাল হইতে জনগণের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান
বস্তুত ইসলামী রাষ্ট্রের বায়তুলমালে সঞ্চিত ধন-সম্পদের উপর সর্ব-সাধরণের সাধারণ অধিকার স্বীকৃত। রাষ্ট্রের সীমার মধ্যেকোন একজন নাগরিকও যাহাতে মৌলিক প্রয়োজন হইতে বঞ্চিত থাকিতে বাধ্য না হয়, তাহার ব্যবস্থা করা বায়তুলমালের প্রথমও প্রধান দায়িত্ব। তাহার অর্থ এই নয় যে, বায়তুলমাল লোকদেরকে বেকার বসাইয়া খাওয়াইতে থাকিবে। বরং লোকেরা সাধ্যানুযায়ী শ্রম করিবে, উপার্জন করিবে, সমাজের সচ্ছল অবস্থার লোকেরা তাহাদের দরিদ্র নিকটাত্মীয় ও পাড়া-প্রতিবেশীর প্রয়োজন পূরণ করিবে; তাহার পরও যদি কেহ তাহর মৌলিক প্রয়োজনপূরণে অসমর্থ থাকিয়া যায়, তাহা হইলে তাহা পরিপূরণের দায়িত্ব হইবে বায়তুলমালের। ইসলামী অর্থনীতিতে ইহাই হইল নাগরিকদের জন্য অর্থণৈতিক নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা।

ইসলামী রাষ্ট্রের নাগরিকদের এই অপূরনিত মৌলিক প্রয়োজন পূরণের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রনায়কের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য বলিয়া ঘোষিত হইয়াছে। যে রাষ্ট্রনায়ক এই কাজ করে না, মনে করিতে হইবে, সে এই দায়িত্ব পালন করিতেছে না। এ পর্য়ায়ে নবী করীম (ﷺ)-এর দুইটি উক্তি উদ্ধৃত করা যাইতেছে। তিনি বলিয়াছেন:

(আরবী)

যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা মুসলমানের দায়িত্বপূর্ণ কাজসমূহ আঞ্জাম দেওয়ার কর্তৃত্ব দিবেন, সে যদি জনগণের প্রয়োজন পূরণ ও অভাব মোচনের দায়িত্ব পালন হইতে বিরত থাকে, তাহা হইলে আল্লাহ তা’আলাও সেই ব্যক্তির প্রয়োজন ও অভাব মোচন হইতে বিরত থাকিবেন।

নবী করীম(ﷺ) অন্যত্র বলিয়াছেন:

(আরবী)

যে রাষ্ট্রনায়ক অভাবগ্রস্ত লোকদের জন্য নিজেদের দুয়ার বন্ধ করিয়া রাখে- অভাব পূরণ করে না, আল্লাহও তাহার জন্য আসমানের (রহমতের) দুয়ার বন্ধ করিয়া দেন।’

এই হাদীসদুইটি হইতে এ কথা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হইতেছে যে, জন গণের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ ও অভাব দূর করা ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন না করা হইলে আল্লাহর তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হওয়া অবধারিত। এই কারণে খুলাফায়ে রাশেদুনের পরে হযরত আমীর মুয়াবীয়র শাসনামলে এই কাজের প্রতি যখন উপেক্ষা প্রদর্শন করা হইতেছিল, তখন তাঁহাকে রাসূলে করীম(ﷺ)-এর এই কথা স্মরণ করাইয়া দেওয়া হইলে তিন অনতিবিলম্বে এ কাজের দায়িত্ব পালনের জন্য একজন লোক নিযুক্ত করিলেন।

ইসলামী রাষ্ট্রের মূল কাঠামোই যে জনকল্যাণমূলক, তাহা খিলাফতের সর্বজনস্বীকৃত সংজ্ঞা হইতে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়। হযরত সালমান ফারেসী (রা) বলিয়াছেন:

(আরবী)

খলীফা- ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক- সে, যে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে এবং জনগণের সেই কল্যাণ-কামনার অন্তর্ভুক্ত, যাহা ইসলামেরমদিক দিযা রাষ্ট্রনায়কে প্রধান দায়িত্বরূপে ঘোষিত হইয়াছে। যে রাষ্ট্রনায়ক এই দায়িত্ব পালন করিবে না, তাহার পরিণাম অত্যন্ত মর্মান্তিক হইবে। নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী)

য লোককে আল্লাহ তা’আলা জনগণের শাসন-পরিচালক বানাইয়া দিবেন, সে যদি তাহাদের পুরামাত্রায় কল্যাণ সাধন না করে, তবে সে জান্নাতের সুগন্ধিও লাভ করিতে পারিবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন