hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৪১
ব্যক্তি-মালিকানার নিরাপত্তা
ইসলামী বিধান অনুসারে অর্জিত উল্লিখিত মালিকানার উপর হস্তক্সেপ করা বা উহার হরণ করার অধিকার রাষ্ট্র, সরকার ও আইন-পরিষদ-কাহারো নাই। মানুষের রক্ত, মান ও সম্মান- ইহা সবই সংরক্ষিত ও সম্মানার্হ। নবী করীম (ﷺ) বিদায় হজ্জের দিন উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করিয়াছেন:

(আরবী)

তোমাদের রক্ত তোমাদের ধন-মাল এবং তোমাদের ইজ্জত-সম্মান তোমাদের পরস্পরের প্রতি আজিকার দিনের মতোই সম্মানার্হ ও হারাম।

অপর এক হাদীসে নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী)

প্রত্যেক মুসলমানের প্রতি অপর মুসলিম ব্যক্তির রক্তপাত, ধন-সম্পত্তি হরণ ও মান-সম্মানের হানি করা সম্পূর্ণ হারাম।

এই হাদীসের নির্দেশ অনুসারে ইমাম আবু ইউসুফ (রহ) ‘কিতাবুল খারাজ’ গ্রন্থে লিখিয়াছেন:

(আরবী)

কোন প্রমাণি সর্বপরিচিত ও আইনসম্মত কারণ ছাড়া কাহারো ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকারে হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নাই বা রাষ্ট্র প্রধানের নাই।

কিন্তু ব্যক্তিগত মালিকানার উপর হস্তক্ষেপ করার জন্য অপরিহার্য ‘প্রমাণিত ও আইনসম্মত কারণ’ কি হইতে পারে? এ সম্পর্কে ইসলামী অর্থনীতি ঘোষণা করিয়াছে যে, মানুষের শ্রমার্জিত সম্পদ বা সম্পত্তির উপর ব্যক্তিগত মালিকানা ঠিক ততদিন পর্যন্তহ স্থাপিত থাকিবে, যতদিন সে উহাকে কাজে ব্যবহার করিবে, আবাদ করিবে, চাষাবাদ করিয়া উহা হইতে ফসল উৎপন্ন করিতে থাকিবে। কিংবা কারখানা স্থাপন করিয়া উহাকে পূর্ণ মাত্রায় চালূ রাখিবে ও উহা হইতে পণ্যোৎপাদন করিবে। উপার্জিত অর্থ সদ্ভাবে ব্যয় করিবে এবং উহার উপর সরকারের প্রাপ্য সমূহ ‘আল্লাহ নির্ধারিত অধিকার’ মনে করিয় যথারীতি আদায় করিতে থাকে। কিন্তু যতি কেহ তাহার মালিকানা-সম্পত্তি অকেজো করিয়া ফেলে রাখে, জমি চাষবাস না করে এবং তাহা হইতে শস্যোৎপাদন না করে, দোকান কিংবা কারখানা স্থাপন করিয়াউহাকে বন্ধ করিয়া রাখে অথবা কারখানা ও জমি হইতে যথারীতি উৎপাদন চালু রাখিয়া মুনাফা অর্জন করে কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্রের নির্ধারিত অধিকার আদায় করিতে অস্বীকার করে, তবে তাহার মালিকানা অধিকার বিলুপ্ত হিইবে। কারণ প্রকৃতিজাত কিংবা সাধারণ জনকল্যাণে নিয়োগযোগ্য এই সব সম্পদকে অকেজো করিয়া রাখার কাহারো কোন অধিকার নাই। কিন্তু তবুও যদি কেহ তাহা করে তবে বর্তমান থাকিলে খুব বেী হইলেও তিন বৎসর

(৮৭ পেইজ এর দুই লাইন স্পষ্ট স্ক্যান হয়নি। তাই টাইপ করা হয়নি)

রাখিলে তাহার নিকট হইতে উহা অবশ্যই কাড়িয়া লইতে হইবে। নবী করীম (ﷺ) অনাবাদী জমি আবাদ করার অধিকারে মালিকানা লাভের কথা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও বলিয়াছেন:

(আরবী)

যে লোক কোন জমি অকেজো করিয়া রাখিবে তিন বৎসর পর এই জরি উপর তাহার কোনই অধিকার থাকিতে পারে না।

ইসরামী রাষ্ট্র তাহার নিকট হইতে জমি- অতএব উহাতে স্থাপিত যে কোন উপাদান-উপায়-কাড়িয়া লইবে। এই জন্য যে সরকার প্রদত্ত কিংবা অন্য কোন উপায়ে লব্ধ কোন এটি উৎপাদন উপায়কে এইরূপ অকেজো করিয়া রাখার ফলে মূলতঃ সমগ্র জাতিরই মারাত্মক ক্ষতি হইয়া থাকে।

হয২রত উমর (রা) এইরূপ একটি মুকদ্দমার রায় দিতে গিয়া বলিয়াছিলেন:

(আরবী)

কেহ যদি তিন বৎসরকাল পর্যন্ত জমি বেকার ফেলিয়া রাখে, অতঃপর সরকারর অনুমতিক্রমে দ্বিতীয় ব্যক্তি উহা চাষাবাদ করে, তবে এই জমির উপর এই দ্বিতীয় ব্যক্তির মালিকানা স্থাপিত হইবে।

ইহার কারণ এই যে, কোন জমি কেবল দখল করিয়া রাখিলেই উহার মালিকানা স্থায়ী হয় না। বরং কার্যত উহা আবাদ করা এই মালিকানা স্থাপিত হইবে।

ইহার কারণ এই যে, কোন জমি কেবল দখল করিয়া রাখিলেই উহার মালিকানা স্থায়ী হয় না। বরং কার্যত উহা আবাদ করা এই মালিকানার জন্য অবশ্য জরুরী শর্ত। বিশেষতঃ কাহাকেও এই জমির মালিক হইতে দেওয়ার উদ্দেশ্যই হইল এই যে, সে উহা চাষাবাদ করিয়া ও উহাতে ফসল ফলাইয়অ নিজে উপকৃত হইবে ও গোটা সমাজের কল্যাণের ব্যবস্থা করিবে। কিন্তু ইহা যদি সে না করে তবে সে আল্লাহর নিয়ামতের অপমান করিতেছে এবং আল্লাহর নিয়মত হইতে নিজেকে ও জাতিকে বঞ্চিত করিতেছে। এইরূপ যাহারা করে এবং ইহার ফলে যাহারা ধন-সম্পদের অপচয় করে, প্রকৃত পক্ষে তাহারা নির্বোধ, তাহারা একদিকে আল্লাহ প্রদত্ত এই উৎপাদন উপায়ের গুরুত্ব বুঝে না এবং অন্যদিকে ইহাকে অকেজো রাখিয়া নিজের, জাতির, ইসলামী রাষ্ট্রের তথা বিশ্ব-মানবের যে কত মারাত্মক ক্ষতি করে, তাহা তাহারা উপলব্ধি করিতে পারে না। এইরূপ অবস্থায় ইসলামী রাষ্ট্রের কর্মনীতি যাহা হওয়া উচিত তাহা নিম্নলিখিত আয়াতে সুস্পষ্ট ভাষায় বলিয়া দেওয়া হইয়াছে:

(আরবী)

নির্বোধ ও অবুঝ লোকতের হাতে তোমাদের ধন-সম্পত্তি কখনো ছাড়িয়া দিও না। কারণ এ ধন-সম্পত্তি মানুষের

(৮৮ পেইজ এর শেষ লাইনের কিছু অংশ বুঝা যাচ্ছে না।)

আল্লাহ তা’আলা সৃস্টি করিয়াছেন। কাজেই এইরূপ মালিকদের হাত হইতে তাহা কাড়িয়া লও। অবশ্য তাহাদিগকে জীবিকার খোরাক ও পোশাকের ব্যবস্থা করিয়া দাও এবং তাহাদিগকে প্রকৃত সত্য নীতি শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা কর।

উৎপাদন-উপায়কে যাহারা অকেজো করিয়া রাখিবে ইসলামী রাষ্ট্র তাহা ক্রোক করিয়া লইয়া এমন ব্যক্তিদের মধ্যে উহা বন্টন করিয়া দিবে যাহারা উহাকে আবাদ করিব এবং উহাকে বাস্তবিকিই উৎপাদনের কাজে নিয়োগ করিবে। নবী করীম (ﷺ) ‘আকীক’ নামক স্থানের জমির সমস্ত এলাকা বিলাল ইবনে হারিস (রা) কে চাষাবাদের জন্য দান করিয়াছিলেন। হযরত উমর (রা) তাহার খিলাফতকালে তাঁহাকে ডাকিয়া বলিলেন:

(আরবী)

নবী করীম (ﷺ) তোমাকে এই জমি বেকার ফেলিয়া রাখিবার ও জনগণকে উহা হইতে উপকৃত হইতে না দিবার জন্য দান করেনস নাই। বরং দিয়াছেন এই জন্য যে, তুমি উহাকে আবাদ করিবে। (কিন্তু দেখা যায় যে, তুমি তাহা করিতে পার নাই) অতএব যে পরিমাণ জমি আবাদ করিবা সামর্থ্য তোমার আছে, তুমি তাহাই রাখ। আর অবশিষ্ট জমি সরকারের নিকট প্রত্যর্পণ কর।

ইহা হইতে এ কথাও প্রমাণিত হয় যে, ইসলাম যে ধরনের ব্যক্তিগত মালিকানা সমর্থন করে, তাহা নিরংকুশ নয়, শর্তহীন নয়, পুঁজিবাদী মালিকানাও তাহা নয়। বরং ইসলাম উল্লিখিত শর্তের অধীন সীমাবদ্ধ মালিকানাই সমর্থন করিয়া থাকে ঠিক ততদিন পর্যন্ত, যতদিন পর্যন্ত উক্ত শর্ত যথাযথভাবে রক্ষিত হইতে থাকিবে। এই শর্ত যখনই লংঘন করা হইবে, তখনই ইসলামী রাষ্ট্রের পক্ষে এই মালিকানা হরণ করা শুধু সঙ্গতই নয়, অবশ্য কর্তব্রঃও বটে। অতএব কুরআন মজীদের এইরূপ মালিকানাকে ‘আমানতদারী’ বা ‘খিলাফত’ বলিয়া অভিহিত করা যথার্থ হইয়াছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন