hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৫৭
পারস্পরিক দ্বন্দ্বে সরকারী হস্তক্ষেপ
শ্রমিক ও কারখানা মালিকের মধ্যে কোন ব্যাপারে মত-বৈষম্য ও ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হইলে উহার মীমাংসার জন্য ইসলামী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার অধিকার রহিয়াছে। শুধু অধিকারই নয়, রাষ্ট্র সরকারের তাহা অন্যতম কর্তব্যও। মজুর-শ্রমিকের উপর কোন প্রকার অযথা বাড়াবাড়ি করা, মজুরী কম দেওয়া, অধিক কাজের চাপ দেওয়া, কিংবা শ্রমিকের কাজে ফাঁকি দেওয়া, দায়িত্ব পালন না করা বা কম কাজ করিয়া বেশী মজুরী লওয়ার চেষ্টা করা প্রভৃতি যে সমস্যাই হউক না কেন, ইসলামী রাষ্ট্র তাহাতে সরাসরিভাবে হস্তক্ষেপ করিয়া বিবাদ-মীমাংসা করিয়া দিবে। কারণ ইসলামী রাষ্ট্র তাহাতে সরাসরিভাবে হস্তক্ষেপ করিয়া বিবাদ-মীমাংসা করিয়া দিবে। কারণ ইসলামী রাষ্ট্রদর্শন অনুযায়ী লোকদের পারস্পরিক সকল প্রকার বিবাদ মীমাংসা করার সুবিচার ও ইনসাফ কায়েম করা এবং প্রত্যেকেরই হক যথাযথরূপে আদায় করিয়া দেওয়াই হইতেছে ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ও কর্তব্য।

মালিকের বিরুদ্ধে মজুরের সাধারণত দুই প্রকার অভিযোগ হইতে পারে, মজুরী কম দেওয়র অভিযোগ বা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সাধ্যাতীত কাজের চাপ দেওয়ার অভিযোগ। ইসরামী অর্থনীতি এই উভয় প্রকার অভিযোগই দূর করিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন। প্রথম প্রকার অভিযোগ দূর করিয়া নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী)

মজুর-শ্রমিক-ভৃত্যদিগকে যথারীতি খাদ্য ও পোষাক দিতে হইবে।

মনে রাখা দরকার যে, এখানে নির্দিষ্টভাবে শুধু খাদ্য ও পোশাকই লক্ষ্য নয়- মূল লক্ষ্য হইতেছে মজুরের যাবতীয় মৌলিক প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত ‘যথারীত’ শব্দটির অর্থ হইতেছে, যে পরিমাণ মজুরীর দ্বারা অপরিহার্য মৌলিক প্রয়োজন মিটানো সম্ভব হয় সেই পরিমাণ এবং দেশের সাধারণ জীবন মান রক্ষার হয় যে, পরিমাণ মজুরীতে সেই পরিমাণ। এই পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁহার কর্মচারী ও শ্রমিকদের মজুরী দানের ব্যাপারে এই তারতম্য করিতেন যে, পরিবার বহনকারীকে দিগুণ দিতেন এবং পারিবারিক দায়িত্বমুক্ত ব্যক্তিকে একগুণ। (বুখারী, আবূ উবাইদ)

মজুর ও কর্মচারীর মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করার জন্য যদি ন্যায্য ও সুবিচারপূর্ণ ভাবে নির্ধারিত পরিমাণ মজুরী অপেক্ষা বেশী দেওয়ার প্রয়োজন হয় তবে তাহাও সংশ্লিষ্ট শিল্পের মালিক পক্ষ দিতে বাধ্য হইবে, এমন কথা জোর দিয়া বলা যায় না। তবে ইহা লাভ করার যে তাহার অধিকার আছে এবং এই অধিকার পরিপূরণে রাষ্ট্র সরকারই যে দায়ী তাহাতে সন্দেহ নাই।

দ্বিতীয় প্রকার অভিযোগ দূর করিয়া নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করিয়াছেন:

(আরবী)

তাহাদের উপর অতখানি কাজেরই চাপ দেওয়া যাইতে পারে, যতখানি তাহার সামর্থে কুলায়; সাধ্যাতীত কোন কাজের নির্দেশ কিছুতেই দেওয়া যাইতে পারে না।

অপর হাদীসে বলা হইয়াছে: (আরবী)

শ্রমিককে এমন কাজ করিতে বাধ্য করা যাইবে না যাহা তাহাকে উহার দুঃসাধ্যতার কারণে অক্ষম ও অকর্মণ্য বানাইয়া দিবে।

এই কারণে মজুর-শ্রমিকদের বিশ্রাম গ্রহণ করার অধিকার অনস্বীকার্য। অতএব এই অধিকার আদায় করার জন্য মজুর-শ্রমিকরা যথেষ্ট ছুটি ও বিশ্রামের সুযোগ পাইবার অধিকারী। ইবাদাতের কাজের অবসর পাওয়ার অধিকারও ইহারও অন্তর্ভুক্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন