hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৩৫
রাষ্ট্রয়ত্তকরণ ও ব্যক্তিগত মালিকানা
প্রাকৃতিক উপাদানে ব্যক্তিগতভাবে কাহারো মালিক না হওয়া এবং তাহার উপর সকল মানুষের সামগ্রিক অধিকার স্থাপিত হওয়াকে আধুনিক পরিভাষায় বলা হয় রাষ্ট্রায়ত্তকরণ (Nationaliztion) বা রাষ্ট্রীয়করণ।

বর্তমান সময় এই রাষ্ট্রীয়করণ কথাটি এক শ্রেণীর মানুষের অর্থনৈতিক মতাদর্শে পরিণত হইয়াছে। বিশেষতঃ কমিউনিস্ট বা সমাজতান্ত্রিক মতবাদের ইহাই মুল কথা। এই মতাদর্শে বিশ্বাসী লোকদের দৃষ্টিতে প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক উপাদান-সামগ্রী এবং মানুষের শ্রমলব্ধ সম্পদের মধ্যে মালিকানার দিক দিয়া কোনই পার্থক্য নাই। বরং সকল প্রকার উপায়-উপাদান ও উৎপাদন-উপায়কেই তাহারা সমানভাবে সকল নাগরিকের সম্মিলিত মালিকানা সম্পদ মনে করে। কোন ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে কোন জিনিসেরই মালিক হইবে না, সব কিছুই রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে- সাধারণত কমিউনিজমও মার্কসবাদের ধব্জাধারিগণই এই মত পোষণ ও প্রচার করিয়া থঅকে। এই দৃষ্টিতে সমাজের মধ্যে ব্যক্তির কোন স্বতন্ত্র সত্তা স্বীকৃত নয়, ব্যক্তির স্বতন্ত্র সত্তার কোন গুরুত্ব বা মর্যাদাও নাই। নৈতিক প্রাধান্য একান্তভাবেই সমাজেরই করায়ত্ত থাকে ব্যক্তি তথায় খাটিবে, মেহনত করিয়া মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া শ্রম করিয়া অর্থোপার্জন করিবে, কিন্তু উপার্জিত সম্পদের উপর তাহার নিজস্ব ও স্বতন্ত্র কোন স্বত্ব স্বীকৃত হইবে না। ‘আমার’ বলিয়া কোন জিনিসের উপর সে দাবি করিতে পারিবে না। সমাজ তাহাকে এই স্বাভবিক অধিকার হইতে বঞ্চিত রাখিয়া নিজেই উহার উপর নিরংকুশ কর্তৃত্ব স্থাপন করিবে। ব্যক্তি তাহার মেহনত যোগ্যতা ও মননশক্তি ব্যয় করিয়া উপার্জন করিবে এবং তাহার বিনিময়ে সমাজের নিকট হইতে পেটভরা খাদ্য, পরিধানের জন্য বস্ত্র আর সম্ভব হইলে থাকিবার জন্য একটি খুপড়ি লাভ কবে। কেননা প্রকৃতপক্ষে সে সমাজের চাকর, ‘চাকরী’ই তাহার ললাট লিখন, মৃত্যু পর্যন্ত তাহার একমাত রক্ষাকবর। বলা বাহুল্য, কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রের ইহাই সারকথা।[ইহা কমিউনিজমের তত্ত্বকথা। বাস্তবের সহিত ইহার মিল খুবই কম। কেননা উত্তরকালে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র ব্যক্তিদিগকে কিছুটা মালিকানা ভোগের সুযোগ দিয়াছে।]

কিন্তু ইসলামী অর্থনীতি সম্পদ ও সম্পত্তির এই নিরংকুশ রাষ্ট্রীয়করণ নীতিকে একটি জাতীয আদর্শ হিসাবে মাত্রই সমর্থন করে না। ইসলামী অর্থনীতি কোন একক ও বিচ্ছিন্ন ব্যবস্থা নয়, ইহা মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত পূর্ণাঙ্গ জীবন-ব্যবস্থার একটি শাখা এবং অর্থনৈতিক সমস্যা মানব-জীবনের অসংখ্য দিক ও বিভাগের একটি দিক মাত্র। কাজেই ইসলাম যেমন অর্থনৈতিক ভিত্তিতে কোন সমাজ গঠন করে না, অনুরূপভাবে ব্যক্তিকে অর্থনৈতিক গোলামীরদুশ্ছেদ্য বন্ধনে বাঁধিয়া সমাজের বেদীমূলে তাহাকে বলি দিতেও ইসলাম মোটেই প্রস্তুত নয়।

ইহার কারণ এই যে, ইসলামী জীবন-ব্যবস্থার দৃষ্টিতে প্রত্যেকটি জীব-জন্তু ও বস্তুর সর্ববিধ স্বাতন্ত্র্য অনস্বীকার্য। মানুষ প্রধানত ব্যক্তিগতভাবেই আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করিতে বাধ্য। ব্যক্তিতে লইয়াই সমাজ গঠিত হয়। ব্যক্তি হয় সমাজেরই একজন কিন্তু সমাজে ব্যক্তির ভূমিকা সুস্পষ্ট হইয়া থাকে সব সময়ই। ব্যক্তি-সত্তা সেখানে কোন ক্রমেই বিলুপ্ত হইয়া যায় না। নামায পড়া, রোযা রাখা ইত্যাদি ব্যক্তি-মানুষের কর্তব্য বলিয়া গণ্য হইয়াছে, যদিও এই সকল কাজ সম্পাদন করিতে হয় সামাজিকভাবে-সমষ্টিগতভাবে। ইসলামের অর্থনীতিও কখনো ব্যক্তিকে উপেক্ষা করিয়া সমাজের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব স্থাপন করে না। পক্ষান্তরে, ব্যক্তিকেও সেখানে নিরংকুশ স্বাধনিতা ও স্বেচ্ছাচারিতা করিবার অধিকার দেওয়া হয না। স্বেচ্ছাচারমূলক ব্যক্তিগত মালিকানা-অধিকার ব্যক্তিকে স্চেচ্ছাচারী ও নিরংকুশ স্বাধীন বানাইয়া দেয়। সমাজ ও মানব-সমষ্টিরও কোন গুরুত্ব তাহাতে স্বীকৃত হয় না। সমাজ থাকুক কি ধ্বংস হইয়া যাউক, দেশের কোটি কোটি মানুষ বাঁচুক কি অনাহারে মৃত্যুর মুখে পতিত হউক- স্বেচ্ছাচারমূলক ক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে অর্থাৎ পুঁজিবাদে সে প্রশ্ন একেবারেই অবান্তর। সে জন্য কাহারো এক বিন্দু মাথা-ব্যাথাও নাই। আর সমাজতান্ত্রিক সমাজে তো ব্যক্তিগত সমস্যা বলিতৈ কিছুই নাই। সেখানে সমাজের সমস্যা রাষ্ট্রের যাহাকিছু মাথাব্যথা।

বস্তুত, মানবসমাজে ব্যষ্টি ও সমষ্টির এই সমস্যা অত্যন্ত জটিল। যেখানেই ব্যক্তিকে অধিকতর স্বাধীনতা দান করা হইয়াছে, সেখানেই মানুষ হিংস্র পশুতে- অর্থনৈতিক গৃধ্মুতে- পরিণত হইয়াছে। আর যেখানেই ব্যক্তিকে উপেক্ষা করিয়া- পুঁজিবাদের এই অবিচারমূলক ব্যবস্থা দূর করার নাম করিয়া- মানুষকে শোষণ-মুক্ত করিবার গালভরা দাবি করা হইয়াছে এবং সমাজকেই সর্বশক্তির আধার করিয়া দেওয়া হইয়াছে, ব্যক্তির অর্থনৈতিক স্বাতন্ত্র্য ও স্বাভাবিক অধিকার হরণ করিয়া সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা স্থাপন করা হইয়াছে, সেখানেই সমাজের নামে মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোক কোটি কোটি মানুষের শুধু নিরংকুশ মাসকই হয় নাই, একমাত্র হইয়া বসিয়াছে। সেখানে ব্যক্তি-মানুষের কেবল অর্থনৈতিক স্বাতন্ত্র্যই বিলুপ্ত হয় না, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার হইতেও মানুষস নির্মমভাবে বঞ্চিত হইয়াছে। ব্যক্তি ও সমাজের এই সমস্যা দুনিয়ার কোন মতাদর্শেই আজ পর্যন্ত সমাধান করিতে পারে নাই। ইহার চূড়ান্ত, বারসাম্যপূর্ণ ও সুবিচারমূলক সমাধান করিয়াছে একমাত্র ‘রিযিকদাতা’ ‘ভাগ্যবিধাতা’- তথা জীবন ও মৃত্যুর একমাত্র মালিক ও ইসলাম। মানব-সমাজের অস্বাভাবিক ও অবিচারমূলক ব্যবস্থার এই দুই সীমান্তের মধ্যখান দিয়া চলিয়া গিয়াছে ইসলামের সুবিচারমূলক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থা। ইসলামী সমাজে- অর্থনীতেও- ব্যক্তিকে সমাজ-শৃঙ্খলার সহিত যুক্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছে। সেখানে ব্যক্তি যতখানি সত্য, সমাজ ও রাষ্ট্রও ঠিক ততখানিই সত্য। সেখানে ব্যক্তিকে তাহার জীবন রক্ষার জন্য যাবতীয় প্রয়োজন পুর্ণ করার ততখানি সুযোগ দেওা হইয়াছে, যতখানি দেওয়া হইয়াছে সমাজ ও রাষ্ট্রকে বাঁচাইবার জন্য। ব্যক্তিকে দায়ী বানানো হইয়াছে সমাজ ও রাষ্ট্রকে বাঁচাইবার জন্য। ব্যক্তিকে দায়ী বানানো হইয়াছে সমষ্টির জন্য। আবার সমাজ সমষ্টিকেও দায়ী বানানো হইয়অছে ব্যক্তির জন্য। ব্যক্তি ও সমষ্টি-এর কোনটিই ইসলামে উপেক্ষিত নয়।

অতএব ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় না ব্যক্তি-মালিকানার চরম ও নিরংকুশ অবকাশ রহিয়াছে, না জাতীয়করণ বা রাষ্ট্রীয়করণের নামে সমগ্র সম্পদ ও সম্পত্তির উপর মুষ্টিমেয় শাসক শ্রেণীর একচেটিয়া কর্তৃত্ব ও নির্মম নিষ্পেষণ নীতি স্থাপনের সুযোগ। ব্যক্তির মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ও সামঞ্জস্য স্থাপনন হইতেছে এই চিরন্ত সমস্যার একমাত্র সমাধান।

ইসলাম স্বাভাবিক, নৈসর্গিক ও সকল মানুষের পক্ষে সাধারণভাবে অপরিহার্য উপাদানসমূহকে ব্যক্তি-মালিকানার অধিকারভুক্ত করে নাই বলিয়া এবং ‘দুনিয়ার সবকিচুর মালিক আল্লাহ’ বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে দেখিয়া, ব্যক্তিগত ভোগাধিকার ও মালিকানাধিকার হরণ করা আর যাহাই হউক, ইসলামী মতাদর্শ হইতে পারে না। আল্লাহ তা’আলা তো সারেজাহানের প্রত্যেকটি বস্তুরই মালিক, তাহাতে কে সন্দেহ করিতে পারে? কিন্তু আল্লাহর এই ‘মালিকানা’-পূর্বে মেযন বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হইয়াছে- তাঁহার নিজের ভোগ-ব্যবহারের জন্য নয়; আল্লাহ নিজে কোন জিনিসেরই ভোগ বা ব্যবহার করেন না। আল্লাহর মালিকানা তাঁহার প্রবুত্ব ও বিধান পালনের ভিতর দিয়াই স্বীকৃত ও কার্যকর হইয়া থাকে। কাজেই দুনিয়ার সমস্ত জিনিস- যাহা মানুষের জন্য সৃষ্টি করা হইয়াছে- আল্লাহর নিয়ম ও বিধান অনুসারেই ব্যবহার করিতে এবং উৎপাদন ও বন্টন করিতে হইবে। সেজন্য মানুষ নিজেদের মনগড়া কোন বিধান রচনা করিতে পারিবে না, করিলে তাহা অনধিকার চর্চা হহইবে। কেননা মানুষ নিজস্বভাবে ধন-সম্পদের স্রষ্টা, উৎপাদক বা মালিক নহে। প্রকৃত মালিক তো আল্লাহ, আল্লাহর মর্জী ও আল্লাহরই আইন-বিধান পুরাপুরিভাবে তাহাতে কার্যকর হইবে। মানুষ যাহার প্রকৃত স্রষ্টা বা মালিক নয় তাহার উপর নিজের মর্জী চালাইবার ও স্বীয় মনগড়া বিধান ও ব্যবস্থা চালু করার মানুষের কি অধিকার থাকিতে পারে? বস্তুত, ইহাই হইতেছে আল্লাহর মালিকানার প্রকৃত তাৎপর‌্য। কাজেই এই দুইটি নতুন আবিষ্কৃত ছিদ্রপথ হইতে ইসলামী অর্থ-ব্যবস্থায় সমাজতন্ত্রের (Socialism) অনুপ্রবেশ কিছুতেই সম্ভবপর নয়।

পক্ষান্তরে, ইসলামে ব্যক্তিগত মালিকানা স্বীকৃত হইয়াছে বলিয়া ইহার সহিত পুঁজিবাদী মতাদর্শের সামঞ্জস্য খুঁজিয়া বেড়ান ব্যক্তিকে ইনসাফ ও অধিকার আদায়ের বিধি-নিষেধ পালনের অনিবার্যতা হইতে মুক্তি দিয়া চরম পুঁজিতন্ত্রের প্রসার করা কিছুতেই সম্ভব নয়। কারণ ইসলামের সহিত- বিশ্ব-প্রকৃতির স্বাভাবিক ব্যবস্থার সহিত – এই ধরনের কার্যকলাপের কোনই সামঞ্জস্য নাই।

বিশেষত, ইসলমেরধন-স্পদে ব্যক্তিগত মালিকানার কুরআনী মর্যাদা হইল খিলাফত। এই বিশ্ব-প্রকৃতির বুকে মানুষের যাহা আসল মর্যাদা, ধন-সম্পদের ভোগ ও ব্যবহারের অধিকারেও ঠিক সেই মর্যাদা-ই স্বীকৃত। এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে ঘোষণা হইল:

(আরবী)

তোমরা আল্লাহ এবং তাহার রাসুলের প্রতি ঈমান আনো এবং আল্লাহ তোমাদিগকে যে ধন-সম্পদে খলীফা নিযুক্ত করিয়াছেন তাহা হইতে ব্যয় ব্যবহার কর।

আল্লামা আলূসী এই আয়অতের তাফসীরে লিখিয়াছেন:

(আরবী)

আল্লাহ তা’আলা তোমাদিগকে তাঁহার তরফ হইতে ধন-সম্পদে হস্তক্ষেপ, ব্যয় ও ব্যবহার করার জন্য খলীফা বানাইয়াছেন, যদিও তোমরা উহার প্রকৃত মালিক নও।

আয়াতটির বক্তব্য হইল: দুনিয়ার ধন-সম্পদে মানুষকে খলীফা বানানো হইয়াছে। ইহার ব্যয় ও ভোগ ব্যবহার করার অধিকার মানুষকে দেওয়া হইয়াছে আল্লাহর দেওয়া আইন ও বিধানের মধ্যে থাকিয়া। কেননা প্রকৃত মালিক তো আল্লাহ নিজেই। মানুষ তাঁহার ‘খলীফা’ মাত্র এবং আল্লাহর খলীফা হিসাবেই তাহারা আল্লাহর দেওয়া ধন-মালের আমানতদার। এই খিলাফত মর্যাদাকেই অথবা আমানতদারীকেই আমাদের ভাষায় ‘মালিকানা’ বলি। প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার এই ধরনের ‘ব্যক্তিগত মালিকান’ এটা সামাজিক দায়িত্ব হিসাবেই প্রয়োগ করিবে। কেননা আল্লাহ তা’আলা কুরআন মজীদে ব্যক্তিগতভাবে প্রাপ্ত ধন মালকে সামষ্টিক ধন-মাল বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। বলা হইয়াছে:

(আরবী)

তোমরা তোমাদের ধন-মালকে পারস্পরিক বাতিল উপায়ে ভক্ষণ বা গ্রহণ করিও না।

বুঝা গেল যে, ব্যক্তিগত আমানতদারীতে রক্ষিত যাবতীয় ধন-মাল সমষ্টির অধিকারের ধন-মাল। সেই ধন-মালে সব ঈমানদার ব্যক্তিরই সমান অধিকার রহিয়াছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন