hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১২২
আমদানী শুল্কের পরিমাণ
বলা বাহুল্য, ব্যবসায়ী তাহার ব্যবসায়পণ্যের যে শুল্ক আদায় করে, তাহা তাহাদের নিজ পকেট হইতে কখনও আদায় করে না, আদায করে ক্রেতার পক্ষ হইতে কারণ উহপর পণ্যের আসল মূল্যের উপর চাপাইয়অ দেওয়া হয় এবং সাধারণ ক্রেতাগণই তাহা আদায় করিয়া থাকে। এইভাবে বৈদেশিক ব্যবসায়ীদের নিকট হইতে তাহা আদায না করিলে তাহাদের পণ্যের মুল্য অপেক্ষাকৃত কম হইবে। পরিমাণে তাহাদর পণ্য অবিলম্বে বিক্রয় হইয়া যাইবে; কিন্তু বৈদেশিক পণ্যেল মূল্য বেশী হওয়ার কারণে তাহা সহজে বিক্রয় হইবে না। তখন তাহাকে বাধ্য হইয়া পণ্যমূল্য হ্রাস করিয়া দেশীয় শিল্পের সমানস্তরের মুল্য ধার্য করিতে হইবে। অন্যথায় তাহার পণ্য অবিক্রিতই থাকিয়া যাইবে। এই জন্র যে, একই প্রকার পণ্যের মূল্যে একই বাজারে কখনো অত্যধিক পার্থক্য থাকিতে পারে না।

বৈদেশিক পণ্যের শুল্ক মূল পণ্য মূল্যের এক-দশমাংশ ধার্য করা যাইতে পারে। আর কোন কারণবশতঃ যদি বেশী পণ্যের উপরও শুল্ক ধার্য করিতে হয়, তবে দেশের অমুসলিমদের পণ্যে এক-দশমাংমের অর্ধেক ধার্য করিতে হইবে। কারণ তাহাদের উপর জিজিয়া নামক আর একটি কর পূর্ব হইতেই ধার্য হইয়া রহিয়াছে। মুসলমানদের পণ্যের চল্লিশভাগের এক ভাগ শুল্ক বাবদ আদায় করা যাইতে পারে। যেহেতু নগদ টাকা ও পালিত জন্তুর যাকাত তাহাদিগকে অনিবার্যরূপে প্রদান করিতে হয়।

কিন্তু দুইশত মুদ্রার কম পুঁজির ব্যবসায়ের উপর এই শুল্ক আদৌ ধার্য হইতে পারে না। হযরত উমর ফারূক (রা)-এর বিভিন্ন নির্দেশনামা হইতে উল্লিখিত পরিমাণটি জানিতে পারা যায়।[কিতাবুল খারাজ আবূ ইউসুফ ১৩৫ পৃঃ] বর্তমান সময় সেই পরিমাণকেই যে বজায় রাখিতে হইবে এন কোন কথা নাই। বরং আধুনিক প্রয়োজন, পরিবেশ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা ও পরিপূর্ণ সহৃদয়তার সহিত এই শুল্কের পরিমাণ ধার্য করিতে হইবে।

ইসলামী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে পণ্যদ্রব্যের চলাচল- একই স্থান হইতে অন্য স্থানে আমদানী-রফতানী করার উপর কোনরূপ শুল্ক ধার্য হইতে পারে না। ইজতিহাদের সাহায্যেও ইহাতে কোনরূপ রদ-বদল করার অবকাশ নাই। যেসব ফল অল্প সময়ের মধ্যে খারাপ হইয়া যায়, তাহার উপর শুল্ক ধার্য না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। [কিতাবুল খারাজ ৮৬ পৃঃ] বৈদেশিক পণ্যের উপর একবারই শুল্ক ধারায হওয়াউচিত। অর্থাৎ বৈদেশিক পণ্যের সীমান্ত পার হইয়া দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার সময় তাহা হইতে একবার শুল্ক আদায় হইয়া গেলে, উহাকে যদি পুনরায় সীমান্ত পার হইতে হয়, তবে আবার উহা হইতে শুল্ক আদায় করা হইবে না। হযরত উমর ফারূক (রা)-এর খিলাফত কালে একজন বিদেশী খৃস্টান ব্যক্তি ঘোড়া বিক্রয় করিবার উদ্দেশ্যে ইসলামী রাষ্ট্রে আগমন করিয়াছিল এবং সীমান্ত পার হওয়ার সময় উহার শুল্ক আদায় করিয়া লওয়া হইয়াছিল। কিন্তু ঘোড়া বিক্রয় করিতে না পারায় তাহা লইয়া প্রত্যাবর্তনের পথে সীমান্ত পার হইতে চাহিলে তখন পুনরায় তাহার নিকট শুল্কের দাবি করা হইল। খৃস্টান ব্যবসায়ী অসন্তুষ্ট হইয়া উহরত উমরের নিকট আসিয়া বিষয়টি পেশ করিলে আমীরুল মু’মিনীন শুল্ক অফিসারকে লিখিয়া পাঠাইলেন- একবার যঝন ঘোড়ার শুল্ক আাদায় করিয়াছ, তখন পুনরায় উহা হইতেতাহা আদায় করিতে পারিবে না। [মবসুত- ২য় খণ্ড, ২০১ পৃঃ]

শুল্ক সম্পর্কে শেষ কথা এই যে, ইসলামী অর্থনীতি মূলত স্বাধীন ব্যবসায়ের পক্ষপাতী। সকল দেশের সকল পণ্যের উপরই যে শুল্ক ধার্য করিতে হইবে এমন কোন বাধ্য-বাধকতা নাই। ইসলামী রাষ্ট্র ইচ্ছা করিলে কোন কোন বিদশী রাষ্ট্রের সহিত শুল্ক গ্রহণ না করারও চুক্তি করিতে পারে এবং চুক্তিবদ্ধ দেশসমূহের পরস্পরের মধ্যে স্বাধীন ব্যবসায় চলিতে পারে। কিন্তু বিদেশী রাষ্ট্র যখনই ইসলামী রাষ্ট্রের পণের উপর শুল্ক ধার্য করিবে, তখনই ইলামী রাষ্ট্রও সকল প্রকার বিদেশী শিল্প-পণ্যের উপর অনুরূপ হারে শুল্ক ধার্য করিবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন