hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১৩২
রাষ্ট্র-প্রধানের বেতনের হার
রাষ্ট্র-প্রধানকে কি পরিমাণ বেতন দেওয়া হইবে, এ সম্পর্কে হযরত উমর ফারূক (রা)-এর একটি নীতি কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি বলিয়াছেন:

(আরবী)

‘তোমাদের সামগ্রিক ধন-সম্পদ ইয়াতীমেরধন-সম্পদের সমতুল্য এবং আমি যেন ইয়াতীমের মালেরই রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব আমি যদি ধনী হই- অভাবী না হই তবে আমি বায়তুলমাল হইতে কিছুই গ্রহণ করিব না। আর যদি দরিদ্র ও অভাব হই, তবে অপরিহার্য পরিমাণ কিংবা সাধারণ প্রচলিত মানের বেতনেই আমি গ্রহণ করিব।

হযরত উমর ফারূক (রা)-এর এই বাণীটি ইয়াতীমের ধন-সম্পত্তির হিফাজতকারী সম্পর্কে আল্লাহর নিম্নলিখিত বাণীর ভিত্তিতেই উক্ত হইয়াছিল:

(আরবী)

ইয়াতীমের ওলী বা অভিভাবক যদি ধনী হয় তবে ইয়াতীমের মাল হইতে তাহার বেতন গ্রহণ না করাই উচিত। আর সে গরীব হইলে সাধারণ প্রচলিত পরিমাণ অনুযায়ী (বেতন) গ্রহণ করিবে।

মোট কথা ইসলামী রাষ্ট্রর রাষ্ট্র-প্রধানের বেতনের হার এই আয়াত অনুসারে তাহাই হইবে, যাহা তাহার প্রয়োজন ও সাম্প্রতিক দ্রব্য-মূল্য অনুসারে সাধারণ প্রচলিত পরিমাণ বলিয়া বিবেচিত হইবে।

হযরত আবূবকর (রা)-কে প্রথম দৈনিক ‘তিন দিরহাম’ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ঐতিহাসিক ইবনে সায়াদের বর্ণনা অনুসারে প্রথম তাঁহার জন্য বার্ষিক ‘দুই হাজার’ দিরহামৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু হযরত আবূ বকর (রা) যখন ইহা দ্বারা তাঁহার প্রয়োজন পূর্ণ হইবে না বলিয়া মত প্রকাশ করিলেন, তখন বাৎসরিক আরো পাঁচশত দিরহাম বৃদ্ধি করিয়া দেওয়া হয়।

হযরত উমর ফারূকত (রা) বায়তুলমাল হইতে বার্ষিক পাঁচ হাজার দিরহাম বেতন গ্রহণ করিতেন।

হযরত উসমান (রা) খলীফা হইয়াও বায়তুলমাল হইতে কিছুই গ্রহণ করিতেন না। কারণ আল্লাহ তাহাকে বিপুল ধন-সম্পদ দান করিয়াছিলেন। এই জন্য তিনি বায়তুলমাল হইতে কিছু গ্রহণ না করিয়া বরং নিজের ধন-সম্পদ দ্বারা বায়তুলমালকে অধিকতর সমৃদ্ধ করিয়া তুলিয়াছিলেন।

এ সম্পর্কে চূড়ান্ত কথা এই যে, নিম্নতম প্রয়োজন নিশ্চিতরূপে পূর্ণ হওয়ার পরিমাণ যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করিতে পারিতেন না। জনগণের মঞ্জুরী ব্যতীত নিজের জন্যও কোন জিনিস গ্রহণ করা সম্পূর্ণ নীতি-বিরোধী কাজ বলিয়া মনে করিতেন। হযরত আবূবকর (রা) নিজের জন্য নিম্নতম প্রয়োজন পূর্ণ করার উপর এত বেশী গুরুত্ব আরোপ করিতেন যে, উহা এক বিন্দু পরিমাণ বেশী গ্রহণ করিতে তিনি কখনই প্রস্তুত হইতেন না। তাঁহার স্ত্রী দৈনিক প্রয়োজন পূর্ণ করার পরও একটি বিশেষ খাধ্য প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে মাসিক বেতন হইতে কিছু পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করিয়াছিলেন। কিন্তু হযরত আবূবকর (রা) উহাকে নিজের নিম্নতম প্রয়োজনের অতিরিক্ত মনে করিয়া উহার সবটাই বায়তুলমালে পিরাইয়া দিলেন। এমনকি, মৃত্যুর পর তাহার নিজ ধন-সম্পদ হইতে সেই পরিমাণ সম্পদই পিরাইয়া দিয়াছিলেন- যাহা তিনি বেতন বাবদ বায়তলমাল হইতে ইতিপুর্বে গ্রহণ করিয়াছিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন