hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৯৫
মীরাসী আইনের মূলনীতি
ইসলামের মীরাসী আইনের মুলনীতি নিম্নলিখিত আয়াথে উল্লিখিত হইয়াছে;

(আরবী)

পিতা-মাতা এবং নিকটতম আত্মীয়দের পরিত্যক্ত সম্পত্তি পুরুষদের নির্দিষ্ট অংশ রহিয়াছে এবং পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে স্ত্রীলোকদের জন্যও নির্দিষ্ট অংশ রহিয়াছে। প্রত্রেকের জন্যই এই অংশ সুনির্দিষ্ট, পরিমাণে তাহা কমই হউক কি বেশীই হউক।

এই আয়াত হইতে তিনটিমূলনীতি প্রমাণিত হইয়াছে:

প্রথম এই যে, পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়গণ যে সম্পদ ও সম্পত্তি রাখিয়া যাইবে- তাহা স্থাবর হউক কি অস্থাবর, তাহাতে উত্তরাধিকারীদের অংশ রহিয়াছে এবং উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন অবশ্যই বন্টন করিতে হইবে।

দ্বিতীয়, পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের সম্পত্তির অংশ স্ত্রী-পুরুষ সকলেই লাভ করিতে পারিবে। স্ত্রীলোক বলিয়া কাহাকেও অংশীদার হওয়ার অধিকার হইতে বঞ্চিত করা যাইতে পার না কিংবা এমন কোন বাহ্যিক ব্যবস্থাও চালু করা যাইতে পারে না, যাহার ফলে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ভোগ-ব্যবহার করার অধিকার হইতে কাহাকেও বঞ্চিত করা যাইতে পারে।

মীরাসী আইন প্রসঙ্গে তৃতীয় মূলনীতিও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাহা হইল (আরবী) ‘সর্বাপেক্ষা অধিক নিকটবর্তী ব্যক্তি মীরাস লাভের অধিকারে সর্বাগ্রগণ্য।’ উদাহরণস্বরূপ বল যাইতে পারে যে, মৃত ব্যক্তির পিতা এবং পিতামহ বর্তমান থাকিলে মীরাস লাভের ব্যাপারে পিতাই অগ্রগণ্য হইবে। কারণ, উভয়েল মধ্যে পিতাই মৃত ব্যক্তির নিকটতম আত্মীয়। অনুরূপভাবে পুত্র এবং পৌত্র অপেক্ষা পুত্রই মৃত ব্যক্তির অপেক্ষাকৃত বেশী নিকটবর্তী।

এতদ্ব্যাতীত নিম্নলিখিত তিনজন লোক মীরাস হইতে বঞ্চিত হইবে”

(ক) হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির মীরাস লাভ করিতে পারিবে না। নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী) হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির মীরাস লাভ করিবে না।

(খ) ধর্মের বিভিন্নতার দরুণ একজন অপরজনের মীরাস হইতে বঞ্চিত হইবে। বুখারী শরীফের একটি হাদীসে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করা হইয়াছে:

(আরবী)

মুসলমান ব্যক্তি কাফিরের এবং কাফির ব্যক্তি মুসলিমের উত্তরাধিকার লাভ করিতে পারিবে না।[কোন মুসলমানের ওয়ারিস মুর্তাদ হইয়া গেলে সেও তাহার সম্পত্তির অংশ পাইবেনা। ইমম নবী লিখিয়াছেন: (আরবী)

‘মুর্তাদ মুসলমানের অংশীদার হইবে না, ইহাতে সকল বিশেষজ্ঞ সম্পূর্ণ একমত।’

তাহা হইলে তাহার অংশ কি করা হইবে? এ বিষয়ে ফিকাহবিদদের মধ্যে মতভেদ রহিয়াছে। কেহ বলিয়াছেন, উহা অবশ্যি অংশীদারদের মধ্যে বন্টন করা হহইবে। আর কেহ বলিয়াছেন, উহা বায়তুলমালে জমা হইবে।]

(গ) দেশ বা রাজ্যের বিভিন্নতার দরুনও এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির মীরাস লাভ হইতে বঞ্চিত হইতে পারে। বর্তমান আন্তর্জাতিক আইনের সহিত ইহার সামঞ্জস্য রহিয়াছে। ইসলামী রাজ্যের ধন-সম্পত্তি যাহাতে কাফির রাজ্যে স্থানান্তরিত হইতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই এই আইন বিধিবদ্ধ করা হইয়াছে। কিন্তু কেহ অস্থায়ীভাবে পর্যটন কিংবা ব্যবসায়-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে রাজ্যের বাহির চলিয়া গেলে, তাহার উপর মীরাস হইতে বঞ্চিত হওয়ার এই আইন প্রযোজয় হইবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন