hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৫৩
মজুর ও মালিকের সম্পর্ক
মজুর ও মালিকের মধ্যে কিরূপ সম্পর্কে হওয়া উচিত উল্লিখিত দীর্ঘ হাদীস হইতে সে সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশ পাওয়া গিয়াছে। তাহাতে মালিকের সম্বোধন করিয়া বলা হইয়াছে:

(আরবী)

মজুর শ্রমিকগণ তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাহাদিগকে তোমাদের দায়িত্ব, ব্যবস্থাপনা ও সংস্থার অধীন করিয়া দিয়াছেন।

কুরআন মজিদে দুইজন নবীর একজনকে মালিক ও মুনীব এবং অন্যজনকে মজুর-শ্রমিক হিসাবে পেশ করিয়অ উভয়ের মধ্যস্থিত সম্পর্ক ও প্রয়োজনীয় গুণাগুণ ওজন করিয়া সকলের সমক্ষে পেশ করা হইয়াছে। বলা হইয়াছে:

(আরবী)

তুমি যাহাকেই মজুর হিসাবে নিযুক্ত করিবে, তন্মধ্যে শক্তিমান ও বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিই সর্বপেক্ষা উত্তম।

ইহা হইতে জানা গেল যে, ইসলামী সমাজের মজুরদের মধ্যে দুইটি গুণ অপরিহার্য। পথম- শক্তিমান, কর্মক্ষম ও সুদক্ষ হওয়া এবং দ্বিতীয় বিশ্বাস পরায়ণ ও আস্থাভাজন হওয়া। মজুরদের মধ্যে এই দুইটি গুণ যথেষ্ট পরিমাণে বর্তমান না থাকিলে কোনরূপ পণ্যোৎপাদন যে সম্ভব নয়, তাহা অতি সুস্পষ্ট কথা। প্রসংগত উল্লেখযোগ্য যে, মজুরদের মধ্যে উল্লিখিত উভয় প্রকার গুণের সঞ্চার করার উপযুক্ত শিক্ষা ও ট্রেনিং দানের ব্যবস্থা করা ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

মালিক (নবী), মজুর (নবী) কে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন:

(আরবী)

আমিম তোমার উপর কোনরূপ কঠোরতা করিতে চাহি না, কোন কঠিন ও দুঃসাধ্য কাজ তোমার উপর চাপাইতেও চাহি না, আল্লাহ চাহিলে তুমি আমাকে সজ্জন ও সদাচারী হিসাবেই দেখিতে পাইবে।

অন্য কথায়- ইসলামী সমাজে মালিক ও পুঁজিদারকে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল জনদরদী , সততাপূর্ণ ও সত্যপ্রিয় হইতে হইবে। সে মজুরকে যেমন শোষণ করিবে না, কোন দুঃসহ কষ্টকর ও সাধ্যাতীত বা স্বাস্থ্যহানিকর কাজে নির্দয়ভাবে নিযুক্ত করিবে না এবং নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্তকাল কাজ করিতেও বাধ্য করিবে না। অনুরূপ সে তাহাকে কোনরূপ শাস্তি দিয়া অভাব, দারিদ্র ও বেকারত্বের মুখে ঠেলিয়া দিয়া সমাজ-শৃংখলা চূর্ণ করিবে না।

নবী করীম (ﷺ) মজুরদের সহিত সহৃদয়তাপূর্ণ ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, ‘মজুর ও চাকরের অপরাধ অসংখ্যবার ক্ষমা করা মহত্বের লক্ষণ।’ তিনি নিজেও তাহাদের প্রতি মধুর ব্যবহার করিতেন। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) দীর্ঘ দশ বৎসরকাল পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে নবী করীম (ﷺ)-এর সঙ্গে খাদেম হিসাবে ছায়ার মত রহিয়াছেন। কিন্তু এই দীর্ঘ কালের মধ্যেনবী করীম (ﷺ) তাহা নিকট কোন কৈফিয়ত চাহেন নাই, কোন কাজের দরুন তাহাকে ভর্ৎসনাও করেন নাই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন