hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৬৯
দ্বিতীয় খলীফার ভূমি-নীতি
হযরত উমর ফরুক (রা)-এর খলীফা নিযুক্ত হওয়ার প্রায় পাঁচ মাস পর সিরীয়া জয় করা হয়। প্রবল যুদ্ধের পর সিরীয়বাসীগণ মুসলমানদের সহিত সন্ধি করিতে বাধ্য হয়। তাহারা একদিকে ‘জিযিয়’ এবং অন্য দিকে ‘খারাজ’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়া সন্ধিচিুক্তিতে স্বাক্ষর করে। মুসলমানগণ তাহাদের জান ও মালের পূর্ণ নিরাপত্তা দান করেন।

হযরত উমর (রা) প্রথমে এই এলাকার জায়গা-জমি বিজয়ী সৈনিকদের মধ্যে বন্টন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কোন কোন সাহাবীর সহিত এ সম্পর্কে তিনি পরামর্শ করেন। কিন্তু সকলেই তাঁহাকে এই কাজ হইতে বিরত থাকিতে অনুরোধ করেন। তাঁহারা প্রশন করেন; “আজ সিরিয়ার এই বিরাট অঞ্চল বিজয়ী সৈনিকদের মধ্যে বন্টন করিয়া দিলে এবং উত্তরাধকার আইন বলে বংশানুক্রমিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হইলে রাষ্ট্রীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ কোথা হইতে আসিবে?” শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত এলাকা উহার মূল ভোদগখলকারীদের হস্তেই ন্যস্ত রাখিয়া তাহাদের নিকট হইতে রাজস্ব আদায় করার ব্যবস্থা করা হইল। রাজস্ব বাবদ আদায়কৃত অর্থ সর্বসাধারণের কল্যাণে বিনিয়োগ করার অধিকৃত এলাকার উপর পরোক্ষভাবে সব নাগরিকেরই অধিকার স্থাপিত হইল। সরকারী ব্যবস্থায় জমি-জায়গাকে সাধারণ জনমানবের কল্যাণে পরিচালনা করার ইহাই হইতেছে উত্তম ও আদর্শ দৃষ্টান্ত।

হিজরী ১৬ সনে ইরাক-অন্তর্ভুক্ত ‘সওয়াদ’ নামক স্থান অধিকার করা হয়। সওয়াদের বিলিব্যবস্থা সম্পর্কেও হযরত উমর ফারুক (রা) সাহাবাদের সহিত পরামর্শ করেন। তিনি তাহার নিজের মত প্রকাশ করার প্রসঙ্গে বলেন যে, রাষ্ট্রের সার্বজনীন ও সামগ্রিক দায়িত্ব এবং জরুরী কার্যবলী সুষ্ঠুরূপে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য অধিকৃত সমগ্র ভূমি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বলিয়া নির্ধারণ করা অপরিহার্য। অন্যথায় বায়তুলমাল শুন্য হইয়া যাইবে; দেশরক্ষা, অভ্যন্তরীণ শাসন-শৃংখলা ও জনগণের অভাব-অনটন পূরণ করার ঘোষিত দায়িত্ব পালন প্রভৃতি সামগ্রিক কাজ সাংঘাতিকরূপে ব্যাহত হইবে। অতঃপর তিনি তাঁহার মতের সমর্থনে নিম্নোদ্ধৃত আয়াত পাঠ করেন:

(আরবী)

জনপদের অধিবাসীদের বিত্ত-সম্পত্তি হইতে আল্লাহ তা’আলা তাঁহার রাসূলকে যাহা কিছুই দান করিয়াছেন, তাহা হইতে আল্লাহ, তাঁহার রাসুল, নিকটাত্মীয়, ইয়াতীম-মিসকীন ও সম্বলহীন পথিকগণ অংশ লাভ করিবে। এইভাবে সম্পদ বন্টন করা হইলে ধন-সম্পদ তোমাদের কেবলমাত্র ধনীদেরই কুক্ষিগত হইয়া থাকিবে না; কাজেই রাসূর তোমাদের যাহা কিছু দান করেন, তোমরা তাহাই গ্রহণ কর। আর যাহা হইতে তিনি তোমাদিগকে বিরত রাখেন, তাহা হইতে তোমরাও বিরত থাক। আল্লাহকে ভয় করিয়া চল, কারণ আল্লাহ কঠোর শাস্তিদানকারী।’

অর্থাৎ এইভাবে যে সব ধন-সম্পত্তি ইসলামী রাষ্ট্রের করায়ত্ত্ব হইবে, তাহা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসাবেই গণ্য হইবে। তাহা বিজয়ীদের মধ্যে বন্টন করিয়া জায়গীরদারী বা সামন্তবাদের সৃষ্টি করা যাইবে না। আর রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করার অর্থ এই যে, রাষ্ট্র-ই উহার বিলিব্যবস্থা করিবে, পারস্পরিক কৃষিনীতি অনুযায়ী লোকদের দ্বারা উহার চাষ করাইবে এবং উৎপন্ন ফসল হইতে রাষ্ট্র উহার প্রাপ্য অংশ (Right) আদায় করিয়া লইবে। এই সম্পর্কে ইমাম আবূ ইউসুফ (র) লিখিয়াছেন:

(আরবী)

হযরত উমর (রা) এই সমস্ত জমিকে তৎকালীন ও অনাগত মুসলমানদের জন্য ছাড়িয়া ও রাখিয়া দিলেন এবং ইহাকেই তিনি উত্তম নীতি বলিয়া ঘোষণা করিলেন।

হযরত উমর (রা) ইরাক বিজয়ী হযরত সায়াদকে লিখিয়া পাঠাইয়াছিলেন: যেসব অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গিয়াছে তাহা জনসাধরণের মধ্যে বন্টন করিয়া দাও, কিন্তু জমি ও খাল ইত্যাদি স্থাপর সম্পত্তি মুসলিম জনগণের সম্মিলিত মালিকানা সম্পদরূপে অক্ষুন্ন ও অবন্টিত রাখ। কেননা উহা যদি বর্তমান সময়ের লোকদের মধ্যে বন্টন করা হয়, তাহা হইলে অনাগত মানুষের জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকিবে না।

হযরত উমর (রা)-এর এই ভূমিনীতি সাহাবাদের পরামর্শ পরিষদ এক বাক্যে গ্রহণ ও সমর্থন করে এবং এই নীতি অনুযায়ী তখন কার্যকর পন্থা অবলম্বন করা হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন