hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

২১
সমুদ্র – সম্পদ
সৃষ্টির আদিকাল হইতে পৃথিবীর বহু দেশ ও দ্বীপপুঞ্জ সন্নিহিত সমুদ্রের মধ্যে নিমজ্জিত হইয়া যাইতেছে। তাহার ফলেসমুদ্র-গর্ভে অশেষ অসীম পরিমাণ খনিজ, উদ্ভিজ ও প্রাণীজ সম্পদ সঞ্চিত হইয়া রহিয়াছে।

ভূভঅগের শতকরা ৭১ ভাগ সমুদ্র পরিবেষ্টিত। বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণকরিয়া দেখিয়াছেন, এই বিশাল সামুদ্রিক ভান্ডারে ৫ কোটি লক্ষ টন পরিমাণ দ্রবীভূত উপাদান বা লবন বর্তমান আছে। পৃথিবীব্যাপী প্রগতিশীলসমাজের খনিজ ও ধাতববস্তুর চাহিতা মিটাইবার পক্ষে এই পরিমাণ যথেষ্ট। এতদ্ব্যতীত সমুদ্রে বিপুল পরিমাণ মাছ, খাদ্য উপযোগী কঠিন আবরণ বিশিষ্ট জীবসমূহ বিড়ি মাছ ইত্যাদি শৈবাল ওসামুদ্রিকগাছ-পালাও রহিয়াছে- তাহা দ্বারা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার খাদ্যসংস্থান অনায়াসেই হইতে পারে।

উর্বরতার দিক হইতে সমুদ্র যে-কোন সু-উর্বর জমির সঙ্গে তুলনীয়। প্রকৃতপক্ষে প্রতি একর জমির উর্বরতার তুলনায় সমুদ্র অধিক উর্বর। ইহার ছাড়া পৃথিবীর উপরিভাগের জমির বেলায় যেমন জলাভাব বা বন্যার ভয় রহিয়াছে, সমুদ্রে তাহা নাই। উপরন্তু পোকা-মাকড়ের আক্রমণে বা গাছপালার ব্যধির ফলে জমিতে উৎপন্নশশ্যাদি অনেক পরিমাণ নষ্ট হয়, সমুদ্রে তাহা হইতে থাকে অতি সামান্য পরিমাণে। কিন্তুমানুষ সমুদ্রের উদ্ভিজ্জও প্রাণীজ সম্পদের অতি অল্প অংশ মাত্র এখন পর্যন্ত তাহারা কাজে লাগাইতে সামর্থহইয়াছে।

অধিকন্তু, সামুদ্রিক প্রাণীদের সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিকগণ যতখানি অবহিত, সামুদ্রিক আগাছা বা অন্যান্য উদ্ভিদ সম্বন্ধেততদূর অভিজ্ঞ নহেন।

রাষ্ট্রসংঘের পার্থিব সম্পদের সংরক্ষণ ও সদ্ব্যাবহার সম্পর্কি সাম্প্রতিক এক সম্মেলনে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা এই অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন যে, বর্তমানে যে গড়ে দুই কোটি পরিমাণ মাছ পৃথিবীর সম্সত সমুদ্রহইতে আহরত হয়, যথোপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করিলে ২০ বছরের মধ্যে উহার পরিমাণ শতকরা ১০০ ভাগ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।

সামুদ্রিকসম্পদের এই বিপুল সম্ভাবনার জন্যই আল্লাহতা’আলাঅশান্ত তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ ও সর্বগ্রাসী নদী-সমুদ্রকে মানুষের আয়ত্বাধীন করিয়া দিয়াছেন। মানুষ ইহারতলদেশে অবস্থিত সকল প্রকার সম্পদই আহরণ করিতে পারে।

নদী-সমুদ্র হইতে একদিকে যেমন মানুষের প্রধান খাদ্যমৎস্য আহরণ করা যায়, অপরদিকে মুক্তা-মুংগা প্রভৃতি বহুমূল্য সম্পদও লাভ করা যায়। এইসব সম্ভাবনার দিকে ইংগিত করিয়া আল্লাহ তা’আলা বলিয়াছেন:

(আরবী)

‘সমুদ্রকে তোমাদের জন্য বাধ্যও অধীন বানাইয়া রাখা হইয়াছে- যেন তাহা হইতে তোমরা টাটকা মাংস (মাছ) এবং মুক্তা-মুংগা প্রভৃতি অলংকার ও ধাতব দ্রব্য আহরণ করিতে পার।

বস্তুত মাছ মানব সভ্যতার শুরু হইতেই মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। আগুন আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বেই ইহার সন্ধান পাওয়া গিয়াছিল বর্তমান যুগেও মৎস্য শিকার এক উল্লেখযোগ্য অর্থকরী শিল্প বিশেষ। মানুষের খাদ্যের মধ্যে ‘প্রোটিন’ একটি অপরিহার্য দ্রব্য। মাছের মধ্যে ইহা যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়।

এতদ্ব্যাতীত সমুদ্র হইতে নানাপ্রকার জলজন্তুও শিকার করা যায়, যাহামানুষের বিবিধ উপকারেব্যবহৃত হইয়া থাকে এবং যাহা বিদেশে রপ্তানি করিয়া বিপুলপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাইতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন