hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৭১
ইসলামী অর্থনীতিতে ভূমিস্বত্তের স্বরূপ
প্রসঙ্গত ইসলামী অর্থনীতিতে ভূমিস্বত্বের প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা করা আবশ্যক, কুরআন, হাদীস ও ইসলামের ইতিহাস আলোচনা করলে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, ইসলামী অর্থনীতিতে মাত্র এক প্রকার ভূমিস্বত্বই স্বীকৃত হইয়াছে। জমিদারী, জায়গীরদারী বা তালুকদারী ও হাওলাদারী প্রভৃতি কর আদায়কারী মধ্যস্বত্বের কোন অবকাশের ইসলামী অর্থনীতিতে স্বীকৃত হয় নাই। এই সব স্বত্ব মূলত পুঁজিবাদী ও সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তি। মূল জমির সহিত এই স্বত্তাধিকারীদের কোন নিকট সম্পর্ক থাকে না। সরকারের সহিত খুব নিম্নতম হারে কর দানের প্রতিশ্রুতিতে এক একটি বিরাট এলাকার উপর তাহাদের একচ্ছত্র প্রভূত্ব স্থাপিত হয় এবং জমির মালিক চাষীদের নিকট হইতে নিজেদের ইচ্ছামত হারে কর আদায় করে। কৃষক বা ভূমি মালিক জমি হইতে কিছু লাভ করুক আর নাই করুক; বন্যায়, প্রতিকুল আবহাওয়ায বা পংগপালের দুর্ধর্ষ আক্রমণের ফলে সমস্ত শস্য ধ্বংস হইয়া গেলও বাৎসরিক দেয় খাজনা মাত্রই ক্ষমা করা হয় না। কাজেই ইসরামী অর্থনীতি এইরূপ জমিদারী বা নিছক খাজনা আদায়কারী মধ্যস্বত্ব কিছুতেই বরদাশত করিতে পারে না।

ইসলাম এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় বলিয়াছে যে, এক ব্যক্তি কিছু পরিমাণ জমির মালিক হইতে পারে। এই ‘কিছু’র কোনরূপ পরিমাণ বা সংখ্যা ইসলাম নির্ধারিত করে নাই। কারণ একজন ভূমি-মালিকের উপর ইসলাম এত বেশী বাধ্যবাধকতা আরোপ করে যে, তাহাতে কাহারও পক্ষেই এলাকার সমস্ত বা অধিকাংশ জমিক্ষেত গ্রাস করিয়া লওয়া সম্ভব নয়। কাজেই উহার কোন প্রান্তিকহ পরিমাণ নির্ধারণ করা ইসলামের দৃষ্টিতে বাতুলতা, অনুরূপভাবে তাহা অস্বাভাবিকও বটে।

ভূমি-মালিক নিম্নলিখিত উপায় ও পন্থায় ভূমি ভোগ ও ব্যবহার করিতে পারে:

(ক) ভূমি মালিক নিজে তাহার ভূমি চাষ করিবে।

(খ) নিজে চাষ করিতে না পারিলে বা না করিলে কিংবা নিজে যে পরিমাণ চাষ করিতে পারে, তাহার বেশী জমি থাকিলে অপরের দ্বারা তাহা চাষ করা হইবে; অথবা চাষের কাজে অন্য লোকের সাহায্য গ্রহণ করিবে।

অপরের দ্বারা চাষ করাইবার তিনটি উপায় হইতে পারে:

(১) কোন দিন-মজুরের দ্বারা নিজের তত্তাবধানে জমি চাষ করাইবে; (২) উৎপন্ন ফসলের নির্দিষ্ট অংশ দেওয়া শর্তে কাহাকেও উহা চাষ করিতে দিবে। এবং (৩) প্রচলিত বাজার দর অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ টাকার বিনিময়ে কাহাকেও এক বৎসর এক ফসলের জন্য উহার ভোগাধিকার দান করিবে।

(গ) নিজের ভোগ ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন না হইলে- অন্য কথায় প্রয়োজনতিরিক্ত জমি থাকিলে- তাহা অন্য কোন ভূমিহীনকে চাষাবাদ ও ভোগদখল করিতে দিবে।

ইসলামী অর্থনীতি অনুযায়ী ভূমিস্বত্বের প্রয়োগ উল্লিখিত যে কোন পন্থায়ই সংগত বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে।

ভূমি-মালিকের নিজেই যে জমি সাছ করা উচিৎ, তাহা নিম্নলিখিত হাদীস হইতে নিঃসন্দেহে বুঝিতে পারা যায়। হরত নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী)

যাহার জমি রহিয়াছে, তাহার নিজেরই উহা চাষাবাদ করা এবং তাহাতে কৃষি করা কর্তব্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন