hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১১২
বিভিন্ন সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ
গণীমতের মাল, খনিজ ও সামুদ্রিক সম্পদ প্রভৃতির প্রত্যেকটি হইতে এক-পঞ্চমাংশ ইসরামী রাষ্ট্রের বায়তুলমালে জমা করা হইবে।

কাফিরদরে সহিত যুদ্ধ করিয়া ইসলামী মুজাহিদগণ যে ধন-সম্পদ ও আসবাবপত্র লাভ করিয়া থাকে, ইসলামী পরিভাষায় উহাকে বলা হয় গনীমতের মাল (Booty)। এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে বলা হইয়াছে:

(আরবী)

তোমরা জানিয়া রাখ, গণীমতের যে কোন মাল তোমাদের হস্তগত হইবে, তাহার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহর জন্য, রাসূলের জন্য, রাসূলের নিকটাত্মীয়দের জন্য এবং ইয়াতীম, অভাবী ও নিঃসম্বল পথিকদের জন্য।

অর্থাৎ কাফির ও মুশরিকদের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া জয়লাভ করলে যুদ্ধের ময়দানে শত্রুপক্ষের যে সব ধন-সম্পদ, অস্ত্র-শস্ত্র যানবাহন ও খাদ্যসামগ্রী মুসলমানদের হস্তগত হইবে, উহার পাঁচ ভাগের চার ভাগ বিজয়ী মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করা হইবে, আর অবশিষ্ট এক-পঞ্চমাংশ ইয়াতীম, মিসকীন, অভাবী ও নিঃসম্বল পথিকদের মদ্যে বিরতণের জন্য ইসলামী রাষ্ট্রের বায়তুলমালে জমা করা হইবে।[ মনে রাখিতে হইবে যে, ইসলামের প্রথম দিকে মুজাহিদদের জন্য কোন নির্দিষ্ট বেতন ছিল না। এই জন্য গনীমতের মালের চার-পঞ্চমাংশই তাহাদের মধ্যে বন্টন করা হইত। বর্তমান যুগে যেখানে সৈনিকদের বেতন নির্দিষ্ট রহিয়াছে বা নির্দিষ্ট হওয়া অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছেসেখানে গণমতের মালতাহাদের মধ্যে বন্টন করার প্রয়োজন নাই। বরং এই সম্পদ সৈনিকদের বেতন বাবদ খরচ করার জন্য সরকারী কোষে নির্দিষ্ট রাখা হইবে।]

খনিজ সম্পদের ‘রয়ালটি’ বাবদ উহার এক-পঞ্চমাংশ বায়তুলমালে জমা হইবে। কোন কোন ইসলামী অর্থনীতিবিদের মতে উহার শতকরা চল্লিশভাগ রাষ্ট্রের প্রাপ্য হইবে। এই মতের সমর্থনে বলা যাইতে পারে যে, হযরত উমর বিন্‌ আবদুল আজীজ (রা) খনিজ সম্পদের শতকরা চল্লিশভাগ রাষ্ট্রীয় বায়তুলমালে গ্রহণ করিয়াছিলেন।[কিতাবুল আমওয়াল- আবূ উবাইদা ৩৩৯ পৃঃ]

কিন্তু আমাদের মতে ‘রয়ালটি’র পরিমাণ সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যাপর। সকল খনির অবস্থা একইরূপ নহে। সকলটির উৎপন্ন দ্রব্যের পরিমাণও কখনো সমান হয় না। এতদ্ব্যতীত উৎপন্ন খনিজ দ্রব্যের রকম-ভেদের দরুন মূল্যের দিক দিয়াও যথেষ্ট পার্থক্র হইয়া থাকে। এমন কি খনিজ দ্রব্য উৎপাদনের ব্যয়ও সকল খনিতে সমান হয় না।কাজেই প্রত্যেকটি খনির ‘রয়ালটি’র কোন স্থায়ী পরিমাণ নির্ধারণ সম্ভব নহে। বরং উহার পরিমাণ নির্ধারণের ভার ইসলামী রাষ্ট্রের উপরই ন্যস্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। উপরন্তু খনিজ সম্পদ হইতে গৃহীত পরিমাণকে ‘যাকাত’ মনে করা হইবে কি গণীমত, সে সম্পর্কেও ইসলামী রাষ্ট্রই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারে।

ইসলামী অর্থনীতিকদের মতে খনির ‘রয়ালটি’ কৃষিজাত দ্রব্রের ন্যায় উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গেই আদায় বাঞ্ছনীয়। সে জন্য বৎসর সমাপ্তির অপেক্ষা করিতে হইবে না। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য যে, রয়ালটি বাবদ খনিজ দ্রব্য কিংবা রয়ালটির পরিমাণের মূল্য- উভয়েল যে কোন একটি আদায় করা যাইতে পারিবে। বলা বাহুল্য, প্রথম ইসলামী রাষ্ট্রের বায়তুলমালকৈ এই খনিজ সম্পদই বিপুলভাবে সমৃদ্ধ ও ঐশ্বর্যশালী করিয়া তুলিয়াছিল। ইমাম আবূ ইউসুফ লিখিয়াছেন:

(আরবী)

এইভাবে স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, লৌহ ও সীসা-দস্তা প্রভৃতির যাবতীয় খনিজ সম্পদ হইতে (এক-পঞ্চমাংশ) রাজস্ব আদায় করিতে হইবে।

খনিজ সম্পদের ন্যায় ‘রোকাজ’ –‘ভূগর্ভ হইতে প্রাপ্ত ধন’ –হইতেও ইসলামী রাষ্ট্রের যথেষ্ট আয় হইতে পারে। এ সম্পর্কে নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন: (আরবী) ‘রোকাজ বা ভূগর্ভ হইতে প্রাপ্ত সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ রাষ্ট্রীয় বায়তুলমালে জমা হইবে’। (কিতাবুল আমওয়াল ৩৩৬ পৃঃ) ইমাম আবূ ইউসুফ লিখিয়াছেন:

(আরবী)

সমুদ্র হইতে যেসব সম্পদ লব্ধ হইবে তাহা হইতেও গণীমতের মালের মতই রাজস্ব গ্রহণ করিতে হইবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন