hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৭৬
ধন-বিনিময়
ইসরামের সুবিচারপূর্ণ ও ন্যায়নিষ্ঠ অর্থনীতিতে ধন-উৎপাদনের প্রধান দুইটি উৎসের (Source) আলোচনার পর ধন-বিনিময় সম্পর্কেও আলোকপাত করা আবশ্যক। যদিও প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজ নিজ প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্যই শ্রম ও মেহনতের সাহায্যে ধন-উৎপাদন করিয়া থাকে; কিন্তু অনেক সময়ই নিজ শ্রমোৎপন্ন দ্রব্য ব্যবহার করিয়া সরাসরিভাবে উহা হইতে উপকৃত হওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না; বরং সেইজন্য নিজের উৎপন্ন দ্রব্রের সহিত অপরের উৎপন্ন দ্রব্যের বিনিময় করিয়া লওয়া অপরিহার্য হইয়া পড়ে।

মানুষ স্বভাবতই অপরের মুখাপেক্ষী, কোন মানুষই-অন্য নিরপেক্ষ হইয়া, অপরের শ্রমের সাহায্যনা লইয়া বাঁচিতে পারে না। অনুরূপভাবে একটি দেশেযে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য থাকে, অন্যদেশে উহার অপরিহার্য প্রয়োজন থাকার সঙ্গে সঙ্গ তথায় তাহা দুর্লভ হইতে পারে। কাজেই লোকদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্য পাস্পরিক সম্পদ বিনিময় যতখানি আবশ্যক বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক পণ্যবিনেময়ও অনুরূপভাবে আবশ্যক। বস্তুত, কর্মবন্টনের উন্নতির ফলে ধন-বিনিময়ে ক্ষেত্রও অধিকতর প্রশস্ত হইতে পারে।

ধন-বিনিময় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে কুরআন শরীফের এই মূল নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে অনুধাবন করিয়া লইতে হইবে:

(আরবী)

হে ঈমানদারগণ, তোমরা বাতিল উপায়ে পরস্পরের ধন-সম্পদ ভক্ষণ করিও না; বরং পারস্পরিক সন্তোষভিত্তিক ব্যবসায়ের মাধ্যমেই তোমাদের সম্পদের লেন-দেন হওয়া আবশ্যক; এবং তোমরা আত্বমহত্যা বা আত্মধ্বংস করিও না।

আয়াতে উল্লেখিত ‘বাতিল উপায়ে’ বলিতে সত্য-বিরোধী তথা শরীয়ত ও নৈতকতার দিক দিয়া অন্যায়- এমন সকল পন্থাই বুঝায়। আর লেনদেন অর্থ- পরস্পরের স্বার্থ ও মুনাফার বিনিময় ব্যবসায়, বাণিজ্য, শিল্প ও কৃষির ক্ষেত্রে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির পয়োজন পূরণের জন্য শ্রম করে, এবং সে তাহাকে পারিশ্রমিক দেয়। ইসলামী সমাজের সকল প্রকার লেন-দেন এইভাবেই হওয়া আবশ্যক। পারস্পরিক ব্যবসায় অর্থাৎ লেন-দেন কোনরূপ অন্যায় পাচে পড়িয়া কিংবা প্রতারণা ও ধোঁকায় পড়িয়া সম্পন্ন হওয়া কোন ক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়। ঘুষ এবং সুদ-ভিত্তিক লেন-দেনে পারস্পরিক সন্তুষ্টি ও সম্মতি রহিয়াছে বলিয়া বাহ্যত মনে হইলেও প্রকৃত পক্ষে ইহা জবরদস্তিমূলক; অনিচ্ছা-সত্ত্বেও তাহা হইয়া থাকে। কোন লোকই সন্তুষ্টি চিত্তে ঘুষ বা সুদ দিতে প্রস্তুত হইতে পারে না; বরং বাহ্যিক কিংবা অভ্যন্তরীন চাপে পড়িয়াই মানুষ ইহা করিতে বাধ্য হয়্ জুয়ার ক্ষেত্রেও বাহ্য দৃষ্টিতে সন্তুষ্টি রহিয়াছে বলিয়াই মনে হয়; কিন্তু উহাতে প্রত্যেক ব্যক্তিই হারিবার জন্য নয়, জিতিবার প্রচুর অর্থ লাভ করার গোপন আশা লইয়াই খেলায় মাতিয়া উঠে। ধোঁকা-প্রতারণার ক্ষেত্রেও উভয়ই প্রথমতঃ রাযী হয় বটে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এ ব্যাপারে পরাজিত পক্ষের রাযী হওয়ার কোনই কারণ থাকিতে পারে না।

আয়াতের শেষ বাক্যাংশ ‘তোমরা আত্মহত্যা বা আত্মধ্বংস করিও না’ হইতে ইহাই সুস্পষ্টরূপে বুঝা যায় যে, উক্ত নিষিদ্ধ পন্থায় লেন-দেন বা ধন-বিনিময় করা আত্মহত্যা বা আত্মধ্বংসেরই শামিল। উক্তরূপে লেন-দেন ব্যক্তিগতভাবে একটি জাতিকে নিশ্চিরূরে ধ্বংসের করাল গ্রাসে নিক্ষেপ করে।

অতএব নিজের পণ্যদ্রব্যকে অপরের পণ্যদ্রব্যের সাহিত পারস্পরকি সদিচ্ছা ও আগ্রতের ভিত্তিতে বিনিময় করিয়া লওয়াই ইসলাম অর্থনীতিতে ধন-বিনিময়ের মূল কথা।

ধন-বিনিময়ের প্রাচনি পদধতি হইতেছে একটি পণ্যের পরিবর্তে অন্য একটি পণ্য গ্রহণ করা। কিন্তু ইসলামী অর্থনীতি ধন-বিনিময়ের ক্ষেত্রে মুদ্রা প্রবর্তনের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করিয়াছে। খায়বরের শাসনকরাতা মদীনায় আসিয়া নবী করীম (ﷺ)-এর সম্মুকে খুব উৎকৃষ্ট খেজুর পেশ করিলে পর তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন; ‘খায়বর এলাকায় সাধারণ এই প্রকার খেজুরই কি উৎপন্ন হইয়া থাকে? উত্তরে শাসনকর্তা বলিলেন: সাধারণত এইরূপ খেজর সর্বত্র ফলে না। এইজন্য আমরা এই ধরনের এক সের খেজুর সাধারণ ও নিম্নশ্রেণীর দুই সের খেজুরের বিনিময়ে খরীদ করিয়া থাকি।’ নবী করীম (ﷺ) ইহা শুনিয়া বললেন:

(আরবী)

এইরূপ করিও না, বরং সাধারণ খেজুর মুদ্রার বিনিময়ে বিক্রয় কর এবং উৎকৃষ্ট খেজর মুদ্রার বিনিময়ে ক্রয় কর।[বুখারী, ১ম খণ্ড, ২৯৩ পৃঃ]

বস্তুত পণ্য-দ্রব্যের মুল্য মুদ্রার মানদন্ডেই সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। ‘বার্টর’ বা পণ্য-বিনিময়ের প্রাচনি রীতিতে অন্যান্য অনেক প্রকার বাস্তব অসুবিধা ছাড়াও পণ্যদ্রব্যের সঠিক মুল্য নির্ধারণ অসম্ভব হওয়াও একটি উল্লেখযোগ্যঅসুবিধা, সন্দেহ নাই। পরন্তু একই জাতীয় বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে গুণগত পার্থক্রেরদরুণ বেশী ও কম পরিমাণের সহিত বিনিময় হইলে তাহাতে সুদ হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে। এই জন্যেই নবী করীম (ﷺ) এই ধরনের পণ্য-বিনিময় সম্পর্কে বলিয়াছেন: ইহাতে সুদ। নবী করীম (ﷺ)-এর সমীপে হযরত বিলাল (রা) কিছু পরিমাণ খেজুর উপঢৌকন-স্বরূপ পেশ করিলে পর তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন- “ইহা কোথা হইতে আনা হইয়াছে?” উত্তরে বেলাল (রা) বলিলেন: “আমাদে দুই ‘ছা’ (আরবীয় পরিমাণ- এক ‘ছা’ দুই সেরের সমান) নিকৃষ্ট খেজুর বিনিময়ে এক ‘ছা’ ভাল খেজুর আনিয়াছি, শুধু আপনার সম্মুখে পেশ করার উদ্দেশ্যে। নবী করম (ক) এই কথা শুনিয়া বিশেষ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করিয়া চলিলেন: “ইহা স্পষ্টরূপে সুদ, এইরূপ বিনিময় করিও না। এইরূপ বিনিময়ের প্রয়োজন অনুভূত হইলে নিকৃষ্ট খেজর অন্য কোন দ্রব্যের বিনিময়ে বিক্রয় করিয়া, সে দ্রব্রের বিনিময়ে ভাল খেজুর ক্রয় করিও। (বুখারী)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন