hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১২৩
জরুরী পরিস্থিতিতে কর ধার্য করণ
ইসলামী রাষ্ট্রের বায়তুল মাল কোন সময় এমন কোন পরিস্থিতিতে যদি যদি সম্পূর্ণরূপে শূন্য হইয়া পড়ে; কিয়বা ব্যয় অপেক্ষা আয় অত্যন্ত কম হইতে শুরু হয়, অথবা জরুরী পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার কারণ- কি কোন নতুন জাতীয় কল্যাণমূলক পরিকল্পনা কার্যকর করিবার জন্য- অধিক অর্থের প্রয়োজন হইয়া পড়ে, অথবা সকল প্রকার আয়ের পরেও রাজ্যের সকল মানুষের বুনিয়াদী প্রয়োজন পূর্ণ করা সম্ভব না হয়; বা বন্যা, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও বৈদেশিক আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দেয়, তাহা হইলে ইসলামী রাষ্ট্র দেশবাসীর উপর আরো অতিরিক্ত কর ধার্য করিতে পারিবে। ইসলামী রাজনীতিবিদ ইমাম মা-অর্দীর ‘আল-আহাকামু-সুলতানীয়া’ গ্রন্তের অষ্টাদশ অধ্যায়ে (২০৪ পৃঃ) লিয়িয়াছেন- ‘জরুরী অবস্থায় সকল প্রকার ব্যয় বহনের দায়িত্ব সমগ মুসলমানদের উপরই বর্তিবে, প্রয়োজনের সময় তাহাদের নিকট হইতে প্রয়োজন পরিমাণ অর্থ আদায় করা যাইতে পারিবে।

তবুও যুদ্ধের সময় নবী করীম (ﷺ) যাকাত, ওশর ইত্যাদি আদায় করার পরও আকস্মিকভঅবে আরো অধিক অর্থের প্রয়োজন বোধ করিয়াছিলেন এবং মুসলমানদের নিকট তিনি সে জন্য অর্থ সাহায্যের দাবি পেশ করিয়াছিলেন। হযরত উমর ফারূক ও উসমান (রা) এই সময় তাহাদের যাবতীয় ধন-সম্পদের অর্ধেক উপস্থিত করিয়াছিলেন এবং হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) তাঁহার সম্পূর্ণ বিত্ত-সম্পদ আনিয়া নবী করীম (ﷺ)-এ খিদমতে পেশ করিয়াছিলেন। তিনি তাঁহার পরিবারবর্গের জন্য কিছু অবশিষ্ট রাখিয়া আসিয়াছেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হইলে উত্তরে বলিয়াছিলেন: তাহাদের জন্য আল্লাহ এবংতাহার রাসলই যথেষ্ট, ইহার অতিরিক্ত আর কিছুরই প্রয়োজন নাই।

এইরূপ জরুরী অবস্থায় যে কর ধার্য করা হয় তাহা দুই প্রকার হইয়া থাকে:

প্রথম, সেইসব কর, যাহা সাধারণভাবে সকল মানুষের প্রয়োজন পূলণ ও কল্যাণ সাধনের জন্য ধার্য করা হয়।

দ্বিতীয়, সেই সব কর, যাহা অত্যাচারী ও শোষক-শাসনকর্তা কেবল বিলাসিতার পানপাত্র উচ্ছাসিত করিয়া তুলিবার জন্য আদায় করিয়া থাকে এবং প্রকৃত জনস্বার্থের সহিত যাহার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই। এই উভয়বিধ কর ককনো সাময়িকভাবে ধার্য করা হয়, আবার কখনো কখনো স্থায়ীভাবেও ধার্য হইয়া থাকে।

দ্বিতীয় প্রকারের কর সম্পর্কে এ কথা স্থির নিশ্চিত যে, ইসলামী রাষ্ট্রে ইহার বিন্দুমাত্র অবকাশ নাই। কিন্তু প্রথম প্রকারের কর ইসলামী অর্থনীতিতে সম্পূর্ণ সংগত- অবশ্য যদি তাহা সংগত ও ন্যায়নীতি অনুসারে ধার্য হয় এবং এইরূপ কর কোন ইসলামী রাষ্ট্রকর্তৃক ন্যায়সঙ্গতভাবে ধার্য করা হইলে তাহা আদান প্রদান করা দেশবাসীর একান্ত কর্তব্য- ফরয, এই সম্পর্কে ইসলামী অর্তনীতিবিদ সকলেই একমত। ইবনে হুম্মাম নামক একজন বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ ইহার কারণ দর্শাইয়া লিখিয়াছেন যে, এই ধরনের নূতন কর আদায় করা প্রত্যেক সমর্থ মুসলমানের (নাগরিকের) কর্তব্য। কেননা ইহা ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানের আদেশ ও ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানের ন্যায়সঙ্গত ও জনকল্যাণকর সকল আদেশ পালন করা সকল নাগরিকেরই কর্তব্য।

কিন্তু অন্যায়ভাবে জনস্বার্থ হানিকর কোন কাজের জন্য যদি অতিরিক্ত ট্যাক্স ধার্য করা হয় তবে তাহা প্রদান করামুসলমানদের কর্তব্য নয়। কারণ এই ধরনের ট্যাক্স ধার্য করা সম্পর্কে নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী)

অতঃপর জানিয়া রাখ, আল্লাহ তা’আলা শাসক ও রাষ্ট্র কর্তাদিগকে জাতি ও জনগণের সংরক্ষক ও রক্ষণাবেক্ষণকারী হওয়ার আদেশ করিয়াছেন এবং তাহাদিগকে এই জন্য রাষ্ট্রকর্তৃক নিযুক্ত করা হয় নাই যে, তাহারা জাতি ও দেশবাসীকে নূতন নূতন করভারে জর্জরিত ও নিঃস্ব করিয়া দিবে।

মুসলমানগণ এই ধরনর কর কেবল যে প্রদান করিবে না তাহাই নয়, ইহার বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিরোধ গড়িয়া তোলাও একান্ত আবশ্যক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন