hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৩০
মূলধন
প্রাকৃতিক উপাদানের সহিত মানুষের শ্রমের যোগ ইলে সম্পদ উৎপাদন সম্ভব হইতে পারে। পরিশ্রমলব্ধ ও উপার্জিত এই সম্পদকে আরও অধিক লাভের উদ্দেশ্যে অর্থকরী কাজে নিয়োজিত করিলে তখন উহাকে বলা হয় মূলধন (Capital)।

বস্তুত মূলধনও অর্থোৎপাদনে একটি উপায় (Factor)। মূলধন ব্যতীত মানুষের শুধু শ্রম কখনই কোন মূলোৎপাদন করিতে পারে না। শ্রমের সঙ্গে মূলধনের মিলন হইলেই মানবসমাজে প্রচুর অর্থোৎপাদনের দ্বার উন্মুক্ত হইয়া পড়ে।

এই জন্যই ইসলাম সঞ্চিত অর্থ সম্পদকে অব্যবহৃত ও বাক্‌স-বন্দী করিয়া রাখিতে স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করিয়াছে। ব্যষ্টি বা সমষ্টির নিকট কোন মূলধন সঞ্চিত হইলে উহা আরও অধিক অর্থোৎপাদনের কোন সুসংবদ্ধ কাজে নিয়োগ করার জন্য কুরআন মজীদে তীব্র ভাষায় নির্দেশদেওয়া হইয়াছে। আল্লাত তা’আলা বলিয়াছেন:

(আরবী)

যাহারা স্বর্ণ ও রৌপ্য (মূলধন) সঞ্চিত করিয়া রাখে, মানুষের কল্যঅণকর কাজে উহা খরচ করে না, তাহাদিগকে কঠিন শাস্তির সংবাদ দাও।

ধনসম্পদ সঞ্চিত করিয়া রাখা এবং তাহা অধিক জনকল্যাণকর কাজে নিয়োগ নাকরা ইসলামী অর্থনীতির দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ। ফী সাবিলিল্লাহ-আল্লাহর পথে খরচ করার অর্থ কেবল গরীব-দুঃখীদের মধ্যে মুক্ত হস্তে ধন-সম্পদ বন্টন বা দান করা নয়; জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির যে কোন কাজে, বেকার জনশক্তিকে কর্মে নিয়োগের যে কোন পন্থায় মূলধন বিনিয়োগ করাও আল্লাহর পথে খরচ করারই অন্তর্ভুক্ত। কারণ এই ধরনের কাজে একদিকে যেমন জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি পায়, অপরদিকে সমাজের অসংক্য বেকার ও জীবিকাহীন মানুষের জন্য জীবিকার সংস্থান করা সম্ভব হয়। বস্তুত ইহা অপেক্ষা ‘আল্লাহর পথের কাজ’ বড় আর কিছুই হইতে পারে না। এই জন্যই ইসলামী সমাজে অর্থগৃন্ধু-অর্থসঞ্চয়কারীকে তীব্র ভাষায় তিরষ্কার করা হইয়াছে। বলা হইয়াছে:

(আরবী)

অপরকে দোষারোপ করা এবং পরকে হীন প্রতিপন্ন করার জন্য অপমান সুচক কথা বলা যাহাদের অভ্যাস, তাহাদের প্রত্যেকের জন্য বড়ই দুঃখজনক পরিণাম। তাহারা কেবল টাকা-পয়সা জমা করে এবং (উহা কি রকম বৃদ্ধি পাইতেছে তাহা বার বার গণিয়া দেখে। উহারা ধারণা করে যে,তাহাদের ধনসম্পত্তিই তাহাদিগকে চিরঞ্জীব করিয়া রাখিবে।

ইসলামী সমাজের অর্থসম্পদ কোন ক্রমেই এক হস্তে বা একটি গোষ্ঠীর মুষ্ঠিতে পুঞ্জীভূত হইতে ও অব্যবস্থায় পড়িয়া থাকিতে পারে না। এমনকি, কোন ইয়াতীম শিশুরও কোন নগত অর্থ থাকি তাহাও যে কোন লাভজনক কাজে নিয়োগ করিতে হইবে। নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করিয়াছেন:

(আরবী)

সাবধান, তোমাদের কেহ ইয়াতীমের সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত হইলে এবং তাহাদের নগদ টাকা থাকিলে তাহা অবশ্যেই ব্যবসায়ে নিযুক্ত করিবে। তাহা অকাজে ফেলিয়া রাখিবে না। অন্যথায় বাৎসরিক যাকাত ও সাকাই উহার মূলধন নিঃশেষ করিয়া ফেলিবে।

কুরআন মজীদে এ সম্পর্কে চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হইয়াছে:

(আরবী)

ইসলামী সমাজে ধনসম্পদ যেন কেবল ধনীদের মধ্যেই কুক্ষিগত ও পুঞ্জীভূত হইয়া থাকিতে না পারে।

খুলাফায়ে রাশেদুনের যুগে ইয়াতীমদের অর্থসম্পদও অধিক ধন-উৎপাদনের কাজে নিয়োগ করা হইত। হযরত উমর ফারূক (রা) মূলধন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করার প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করিয়াছিলেন। এমন কি সরকারী বৃত্তিধারী লোকদেরকেও তিনি উদ্বৃত্ত অর্থ ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করিতে বলিয়াছেন। কারণ, তাহা হইলে তাহাদেরই সম্পদ বৃদ্ধি পাইবে, তাহাদিগকে অধিককাল পর্যন্ত সরকারের মুখাপেক্ষী হইয়া থাকিতে হইবে না এবং তাহাদের অন্তর্ধানের পর তাহাদের সন্তান-সন্ততি সহায়-সম্বলহীন হইয়া পরের দ্বারস্থ হইতে বাধ্য হইবে না।

একজন সাহাবীর নিকট কোন শ্রমিক মজুরীবাবদ প্রাপ্য কিছু পরিমাণ অর্থ রাখিয়া চলিয়া গিয়াছিল। বহুদিন পর্যন্ত তাহার কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যায় নাই। কিন্তু এই অবসরে তাহার টাকা আত্মসাৎ করিতে চেষ্টা না করিয়া উক্ত সাহাবী অধিক অর্থোৎপাদনের কাজে উহা বিনিয়োগ করিয়াছিলেন। ফলে তাহাতে প্রচুর মুনাফা অর্জিত হয়। কিছুকাল পর সেই মজুর ফিরিয়া আসিলে শুধুতাহার মজুরী বাবদ প্রাপ্য টাকাই তাহাকে প্রত্যার্পণ করা হইল না, সে সঙ্গে তদলব্ধ মুনাফঅও তাহাকেদেওয়া হইয়াছিল। ইসলামী সমাজে টাকা-পয়সা বিনা কাজে সঞ্চয় করিয়া রাখা- তাহা যে-কোন টাকাই হউক না কেন- নীতিগত ভাবেই অন্যায়। এই জন্যই উল্লিখিত সাহাবীও মজুরের প্রাপ্য অর্থকে বেকার ফেলিয়া না রাখিয়া লাভজনক কাজে বিনিয়োগ করিয়াছিলেন। বস্তুত ব্যক্তিগতপর্যায়ে কাহারও মূলধন বৃদ্ধি পাইলেইসলামী সমাজে পুঁজিবাদ মাথা চাড়া দিয়া উঠে না। ইসলামে পুঁজির ব্যবহার পদ্ধতি সুষ্ঠু ও সুসংবদ্ধভাবে নির্দিষ্টহইয়া আছে এবং উহার এমন সব বাধ্যবাধকতা ও বিধি-নিষেধ আরোপ করিয়া উহাকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রিত করা হইয়াছে যে, তদনুযায়ী পুঁজি বিনিয়োগ হইলেতাহা দ্বারা জাতীয় সম্পদই বৃদ্ধি পায় এবং তাহা সমাজের বিপুল জনগণের মধ্যেই তাহা দ্বারা জাতীয় সম্পদই বৃদ্ধি পায় এবং তাহা সমাজের বিপুল জনগণের মধ্যেই অব্যাহত ধারায় আবর্তিত হইয়া মানব সাধারণের অপূর্ব কল্যাণ সাধন করিতে পারে। এইজন্র নবী করীম (ﷺ) ব্যক্তি এবং সমষ্টি- উভয়কেই পুঁজি তথা মূলধন বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট থাকিতে বিশেষ উৎসাহ দান করিয়াছেন। বলিয়াছেন:

(আরবী)

তোমাদের উত্তরাধিকারীদের নিঃস্ব, পরমুখাপেক্ষী ও অপর লোকদের উপর নির্ভরশীল করিয়া রাখিয়া যাওয়া অপেক্ষা তাহাদিগকে সচ্ছল, ধনী ও সম্পদশালী করিয়া রাখিয়া যাওয়া তোমাদের পক্ষে অনেক ভাল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন