hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৭৫
ভূমি উন্নয়ন ও বন্টন
রাষ্ট্র সরকারের দখলে যে সব মালিকহীন পড়োজমি থাকে, সরকার তাহা ভূমিহীন জনগণের মধ্যে বন্টন করিবে। ইসলামী অর্থনীতির ইহা এক বিশেষ উল্লেখযোগ্য নীতি। স্বয়ং রাসূলে করীম (ﷺ) এই ধরনর জমি জনগণের মধ্যে বন্টন করিয়াছেন, তাহা পূর্বে বিস্তারিত আলোচিত হইয়াছে। নিম্নোক্ত হাদীসটি এই প্রসংগে উল্লেখযোগ্য:

(আরবী)

নবী করীম (ﷺ) বিলাল ইবনে হারেস নামক এক ব্যক্তিকে কাবলিয়া এলাকার উচ্চ ও নিম্ন এলাকার খনি এবং কুদসের চাষযোগ্য জমিসমূহ দান করিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি কোন মুসলমানের হক অপরকে দেন নাই।

কাবলীয়া ও কুদস এলাকা মুসলিম মুজাহিদদের অধিকৃত এলাকা। এই এলাকার খনি ও চাষযোগ্য জমি রাসূলে করীম (ﷺ) ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে বিলাল ইবনুল হারেসকে দান করিয়াছিলেন। এই সব খনি ও জমির কেহ মালিক ছিল না। কাজেই রাষ্ট্র সরকারের পক্ষেতাহা বন্টন করা খুবই সংগত কাহ। আল্লামা শওকানী উপরোক্ত হাদীসের ভিত্তিতে লিখিয়াছেন:

(আরবী)

এই পর্যায়ের হাদীসসমূহ হইতে প্রমাণিত হয় যে, নবী করীম ও তাঁহার পর ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানদের পক্ষে জনগণের মধ্যে খনি বন্টন করাও সম্পূর্ণ জায়েয কাজ।

(আরবী)

বস্তুত ইমাম বা রাষ্ট্রপ্রধান পড়ো, মালিকবিহীন ও দখলহীন জমি লোকদের মধ্যে বন্টন করিতে পারে।

এইভঅবে যখন কোন জমি বা খনি কাহাকেও বন্টন করিয়া দেওয়া হয়, আর যদি তাহাতে দখল লইয়া চাষাবাদর কাজ করে এবং উহাকে চাষযোগ্য ও ফসল দাত্রী বানাইয়া লয়, তখন সে উহর মালিক হইবে এবং তাহার মালিকানা কখনই হরণ করা যাইবে না।

আর যদি কোন জমি বা খনি এইভাবে বন্টন করনা হয় এবং পরে লক্ষ্য করা যায় যে, তাহা হইতে বিনা পরিশ্রমে উৎপাদন করা সম্ভব, তাহা হইলে উহা প্রত্যাহার করিতে হইবে। কেননা উহার ফল তো সহজলভ্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য অধিক প্রয়োজনীয়। কাজেই যে-ই উহা প্রথম দখল করিবে, সে-ই উহার ভোগাধিকার পাইবে। কাহেো পক্ষে উহার একচ্ছত্রভাবে মালিক হইয়া বসা এবং সাধারণ মানুষকে উহার ভোগ ও ব্যবহজার হইতে বঞ্চিত করার কোন অধিকার নাই।

খনি যদি স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র ও ভূমি গর্ভস্থ কোন ধাতুর হয়, যাহা মাটি ও পাথরের সঙ্গে মিশ্রিত হইয়অ থাকে এবং যাহা কঠিন ও কঠোর শ্রম ব্যতীত উত্তোলন ও পরিশোধন করা সম্ভব হয় না, তাহলে উহা কাহাকেও দান করা যাইতে পারে। তবে সে উহার নিরংকুশ মালিক হইয়া বসিতে পারিবে।

এই ধরনের খনি কাহাকেও দান করা হইলে দানপ্রাপ্ত ব্যক্তি উত্তোলেন ও পরিশোধন কার্য বন্ধ রাখিতে পারিবে না। কেননা তাহার ফলে উহার অভাবে সাধারণ মানুষের বিশেষ অসুবিধা হওয়ার আশংকা রহিয়াছে। তাহাকে উহা দান করা হইয়াছে উহাতে কাজ করার উদ্দেশ্যে এবং যত দিন তাহার পক্ষে সম্ভব সে উহাতে করিয়া যাইবে। যদি সে উহাতে কাজ বন্ধ করে, তখন উক্ত খনি তাহার অধিকার হইতে মুক্তি ও নিষ্কৃতি লাভ করিবে। ইমাম শাফেয়ীর ইহার মত।

হাদীসের শেষ অংশ (আরবী) ‘তাহাকে কোন মুসলিমের অধিকার দিয়া দেওয়া হয় নাই’ –ইহা হইতে ইহাই প্রমাণিত হয় যে, কেহ যদি একবার কোন জমির মালিণক হয়, তাহার পর সে উহাকে বেকার ফেলিয়া রাখে, কিংবা সে জমি হইতে সে অনুপস্থিত থাকে তবে প্রথম দান ও আবাদ করার কারণেই তাহার মালিকানা স্থায়ী হইবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন