hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৭০
সারকথা
হযরত নবী করীম (ﷺ) এবং প্রথম ও প্রধান দুই খলীফার গৃহীত ভূমি নীতির সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক আলোচনা হইতে আমরা নিম্নলিখিত মূলনীতিসমূহ লাভ করিতে পারি:

১. অমুসলিমদের যুদ্ধ-পরাজিত হওয়ার পর যে ধন-সম্পত্তি ইসলামী রাষ্ট্রের অধিকারভুক্ত হইবে, বিজয়ী সৈনিকদের মধ্যে উহার একটি বিরাট অংশ বন্টন করা যাইতে পারে। আর অবশিষ্ট অংশ রাষ্ট্রের নিজ তত্ত্বাবধানেই থাকিবে। খায়বরে এই নীতিই কার্যকর করা হইয়াছিল।

২. কোনরূপ যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সশস্ত্র আক্রমণ-ব্যতীত যাহা ইসলামী রাষ্ট্রের হস্তগত হইবে, তাহা ‘খালেসা’ হইা একান্তভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসাবে গণ্য হইবে। রাষ্ট্র নিজ ক্ষমতায় সর্বসাধারণের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া উহার বিলিব্যবস্থা ও বন্দোবস্ত করিবে। বনউ নজীর গোত্রের সম্পত্তিতে এই মূলনীীতই আরোপিত হইয়াছিল।

৩. যুদ্ধের পূর্বেই সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষরিত হইলে অমুসলিমদের যাবতীয় ধন-সম্পত্তি তাহাদেরই অীধকারভূক্ত থাকিবে, উহার উপর কোনরূপ হস্তক্ষেপ করা যাইবে না। রাষ্ট্রের পক্ষ হইতে তাহাদের প্রতি নিয়মতন্ত্র অনুযায়ী যাহা কিছু ধার্য হইবে, তাহা তাহারা আদায় করিতে অবশ্যই বাধ্য থাকিবে। ফিদাক, তাইমা ইত্যাদি এলাকার ক্ষেত্রে এই নীতিই গৃহীত হইয়াছিল।

৪. যেসব অমুসলিম ভূমি-মালিক মুসলমানদের সহিত যুদ্ধ করিয়া নিহত হইবে, তাহাদের জমি এবং যেসব জমির কোন মালিক বা উত্তরাধিকারী নাই অথবা যেসব অমুসলিম দেশ ত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইবে তাহাদের সব জমি-জায়গা রাষ্ট্রায়ত্ত ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত হইবে।

৫. মুসলমানদের ভোগাধিকারভুক্ত ভূমি সম্পর্কে নব-প্রতিষ্ঠিত ইসরামী রাষ্ট্রের কি নীতি হইবে, তাহাও উপরোক্ত ঐতিহাসিক আলোচনা হইতে সুস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। মুসলমানগণ নূতন ইসরামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করিলে এবং অমুসলমানগণ ইসলাম গ্রহণ করিলে উভয় অবস্থাতেই তাহাদের যাবতীয় সম্পত্তি তাহাদেরই তত্ত্বাবধানে ও মালিকানার অধীনে থাকিবে। ইসলামী রাষ্ট্র ইহাদের কাহারো ন্যায়সংগত ও বৈধ উপায়ে অর্জিত মালিকানার উপর কোনরূপ হস্তক্ষেপ করিবে না। তাহাদের উপর ইসলামের সামাজিক ও সামগ্রিক অধিকার হিসাবে যাহা কিছু ধার্য হইবে, তাহা তাহাদের অবশ্যই আদায় করিতে হইবে।

কিন্তু এই সময় কাহারো মালিকানার বৈধতা, সততা ও মৌলিকতা সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় এবং কাহারো মালিকানা অন্যায় ও জুলুম ভিত্তিক হওয়ার কথা বলিয়া যদি চ্যালেঞ্জ করা হয়, তাহা হইলে ইসলামী রাষ্ট্র এ সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করিবে। তদন্তের পর যাহার মালিকানা ও দখলীসত্ব অবৈধ প্রমাণিত হইবে, তাহা হয় উহার প্রকৃত মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা হইবে, কিংবা ইসলামী হুকমত তাহা রাষ্ট্রয়ত্ব করিয়া লইবে।

এই ব্যাপারে ইসলামী রাষ্ট্রের সম্মুখে হযরত উমর ইবনে আবদুল আজীজ (রা)-এর কর্মাদর্শই উজ্জ্বলতম নিদর্শন হইবে। তাঁহার গৃহীত পন্থা অনুসারে ইসলামী রাষ্ট্র এই ধরনের সকল প্রকার জমীদারী-জায়গীরদারীকে রাষ্ট্রয়ত্ব করিতে কোনরূপ কুণ্ঠাবোধ করিবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন