hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৫৮
সরকারী নিয়ন্ত্রণ
শ্রমিক-মালিকের দ্বন্দ-কলহের মীমাংসা করা যেমন ইসলামী রাষ্ট্রের কর্তব্য, শ্রমিক ও মালিক-প্রত্যেকেই নিজ-নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথরূপে পালন করিতেছে কিনা তাহার প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লক্ষ্য রাখাও ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।

আবূ মাসউদ (রা) নামক এক সাহাবী একদা তাঁহার ক্রীতদাসকে প্রহার করিতেছিলেন। পশ্চাদ্দিক হইতে সহসা আওয়াজ উঠিল: ‘হেত আবূ মাসউদ জানিয়া রাখ, আল্লাহ তোমার অপেক্ষা শক্তিমান। আবূ মাসউদ মুখ ফিরাইয়া নবী করীম (ﷺ) কে দেখিতে পাইলেন। তখনি বলিলেন: ‘আমি এই দাসকে মুক্ত করিয়া দিলাম। নবী করীম (ﷺ) বলিলেন: তুমি যদি ইহা না করিতে তাহা হইলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে জ্বালাইয়া ভস্ম করিয়া দিত।

হযরত উমর ফারূক (রা) প্রত্যেক শনিবার মদীনার নিকটে ও দূরবর্তী অঞ্চলে ঘুরিয়া লোকদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষভাবে অবহিত হইতে চেষ্টা করিতেন। কোথাও কোন মজুর-দাসকে নির্যাতিত হইতে দেখিলে কিংবা কোন প্রাণান্তকর শ্রমে নিযুক্ত দেখিলে সঙ্গে সঙ্গে তাহার দুঃখ দূর করিবার ব্যবস্থা করিতেন। [তারীক-ই তাবারী]

অতএব ভৃত্য, দাস-মজুর কাহারো উপর জুলুম, শোষণ, পীড়ন হইলে সরকারী নিয়ন্ত্রণ-বিভাগ তাহাতে সরাসরি ও অনতিবিলম্বে হস্তক্ষেপ করিবে, ইহা ইসলামী রাষ্ট্রের একটি অন্যতম প্রধান কর্তব্য।

হযরত উমর ফারূক (রা) এক জিম্মিকে ভিক্ষা করিতে দেখিয়া বিশেষ দুঃখিত হইলেন এবং বলিলেন: ‘এক ব্যক্তির যৌবনকালে তাহাদ্বারা (ট্যাক্স, কাজ ইত্যাদি দিক দিয়া) উপকৃত হওয়ার পর তাহার বার্ধক্য অবস্থায় তাহাকে অসহায় করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া আমাদের পক্ষে মোটেই শোভনীয় নয়।’ ইহা হইতে প্রমাণিত হয় যে, কোন শ্রমিক বা কর্মচারী যদি বার্ধক্রে বা অপর কোন কারণে কর্মক্ষমতা হারাইয়া ফেলে তবে তাহাকে অসহায় করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া সুস্পস্ট রূপে জুলূম। বরং এইরূপ অবস্থায় ভরণ পোষণ ইত্যাদি মৌলিক প্রয়োজন পূরণ পরিমাণ ‘পেনশানের’ ব্যবস্থা করা ইসলামী রাষ্ট্রের কর্তব্য।

মজুর-শ্রমিকদের স্বাস্থের প্রতি লক্ষ্য রাখাও ইসলামী হুকুমাতের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ﷺ) নিজে ভৃত্য-কর্মচারীর স্বাস্থের প্রতি লক্ষ্য রাখিতেন, কেহ অসুস্থ্য বা রোগাক্রান্ত হইয়া পড়িলে তাঁহার চিকিৎসার ব্যবস্থা করিতেন। হযরত উমর ফারূক (রা) তাঁহার খিলাফতের বিভিন্ন বিভাগে ও বিভিন্ন অঞ্চলে নিযুক্ত অফিসারগণ তাঁহাদের কর্তব্য যথাযথরূপে পালন করিয়াছেন কিনা, তাহা জনসাধরণের নিকট জিজ্ঞাসা করিতেন। এমন কি অসুস্থ্য কর্মচারীদের শুশ্রূষা বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় কিনা, তাহও তিনি জানিতে চাহিতেন। কোন অফিসার তাহার এই কর্তব্যে অবহেলা করিতেছেন জানিতে পারিলে তাহাকে পদচ্যুত করিতেন। হযরত উমর (রা) সৈনিকদের জন্য চিকিৎসকও নিযুক্ত করিয়াছিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন