hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৯৯
একটি আশংকার জওয়াব
ধন-সম্পত্তি ও জায়গা-জমিকে মীরাসী আইন অনুসারে সঠিকভাবে বন্টন করিলে তাহা টুকরা টুকরা হইয়া যাইবে এবং প্রত্যেক ভূমিখন্ডের সীমা নির্দেশের জন্য আল বাঁধিতে হইবে। ফলে উহাকে আধুনিক যান্ত্রিক পদ্থরি সাহায্যে চাষ করা কিছুতেই সম্ভব হইবে না। অন্য কথায়, বিংশ শতাব্দীর ইসলামী রাষ্ট্রের চাষে জমি পরিমাণ কম হইবে, উৎপাদন শক্তি হ্রাস পাইবে এবং ভূমিচাষ প্রথা চিরদিন মধ্যযুগের পদ্ধতিতেই সীমাবদ্ধ থাকিয়া যাইবে। তাহা যেমন কখনও ‘আধুনিক’ হইতে পারিবে না, অনুরূপভাবে তাহা কোনদিনই রাষ্ট্রের সামগ্রিক খাদ্য প্রয়োজন পূরণ করিতে সমর্থ হইবে না। অন্যদিকে এক ব্যক্তির হাতে একিভূত মূলধন, শতহাতে বন্টন হইয়া গেলে ইসলামী সমাজে বৃহদাকার শিল্প ও ব্যবসায় কার্যের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে পুঁজি লাভ করা অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইবে। ফলে ইসলামী রাষ্ট্রকে শিল্পায়িত করা এবং আধুনিক সভ্যতার সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়অ চলা সম্ভবপর হইবে না।

ইসলামের মীরাসী আইন সম্পর্কে বর্তমান কালের এক শ্রেণীর লোক উল্লিখিত রূপ আশংকা প্রকাশ করিয়া থাকে। কিন্তু এই আশংকা যে কতখানি অমূলক, কত অন্তঃসারশূণ্য এবং ভিত্তিহীন, তাহা অর্থনীতি সম্পর্কে সামান্য জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিও অনুধাবন করিতে পারেন। প্রথম কথা এই যে, ইসলামে ব্যক্তিগত মালিকানা স্বীকৃত হওয়ার অর্থ এই নয় যে, ইসলামী সমাজের ব্যক্তিগণ নিজেরা পরস্পর মিলিত হইয়া কোন বৃহত্তর অর্থোৎপাদনকারী কাজও করিতে পারিবে না। এইরূপ ধারণা মূলত সত্য নয়। ইসলাম ব্যক্তিকে কেন্দ্র করিয়া যেমন সমাজ সৃষ্টি করে, তদ্রুপ ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকারীগণ পরস্পর মিলিত হইয়া বহৃত্তর জাতহীয় ও সমষ্টিগত কল্যাণ লাভ করিবার জন্য সকল প্রকার সামগ্রিক প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করিতে পারে। শুধু তাহাই নয়, একাধিক লোক মিলিত হইয়া সকল প্রকার কল্যাণকর কাজ করিবে, এ জন্য ইসলাম স্পস্ট ভাষায় নির্দেশেও দিয়াছে:

(আরবী)

তোমরা সকল প্রকার সৎ ও কল্যাণকর কাজে পরস্পরের সহিত সহিযোগিতা কর- পরস্পর মিলিত হইয়া বৃহত্তর কল্যাণ লাভ করিবার জন্য কাজ কর। পাপ ও খোদাদ্রোহিতার কাজ পরস্পর মিলিত হইও না- এই কাজে কাহারো সহযোগিতা করিও না।

কাজেই ইসলামী সমাজের ভূমি মালিকগণ পরস্পর মিলিত হইয়া সমবায় ব্যবস্থা স্থাপন করিতে পারিবে এবং ইহার পক্ষ হইতে আধুনিক যন্ত্রপাতি খরিদ করিয়া চাষের কাজ করিতে পারিবে, সার ইত্যাদির ব্যবস্থা করিয়া ভূমির উর্বরতা শক্তির উৎকর্ষ সাধন করিতে পারিবে। তাহতে ভূমির সীমা নির্দেশক আল নিশ্চিহ্ন করিয়া দিলেও কোন ক্ষতি নাই। প্রত্যেকেরই অংশের পরিমাণ লিখিত থাকিবে এবং সমবায় প্রথায় চাষের পর প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভূমির অংশ অনুপাতে ফসল বন্টন করিয়া লইতে পারিবে। যৌত প্রথায় ভূমি চাষ করার সকল সুফলই এইভাবে লাভ করা যাইতে পারে, অথচ ব্যক্তিগত মালিকানার দরুন জমির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র খন্ড হওয়ার ফলেও তাহা কোনরূপ অনিষ্ট করিতে পারিবে না।

বৃহদাকার শিল্প-ব্যবসায়ও অনুরূপভাবে সামষ্টিক মুলধন ও সমবেত চেষ্টা সাধনার মারফতে সুসম্পন্ন হইতে পারিবে। মূলত তাহাতেও কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হইতে পারিবে না।

এখানে আরও একটি প্রশ্ন রহিয়াছে। বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতির ফলে শিল্প-ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পরিবার কেন্দ্রিক গোষ্ঠিবদ্ধতা মাথা চাড়া দিয়া উঠিয়াছে। একই গোষ্ঠির মধ্যেই বৈবাহিক সম্পর্ক ও সীমাবদ্ধ হইয়া থাকে। ফলে এই গোষ্ঠির লোকদের মধ্যে সম্পদ ও সম্পত্তি মীরাসী আইন অনুযায়ী বন্টন করা হইলেও তাহা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিস্তৃতি পাইতে পারে না। ইহাতে মীরাসী আইনের ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয় নাকি? এহার জওয়াবে আমাদের বক্তব্য এই যে, এইরূপ গোষ্টিবদ্থতা(Grouping) কেবল পুঁজিবাদী সমাজেই সম্ভভ। ইসলামী সমাজে এইরূপ গোষ্ঠিবদ্ধ জীবন অবিচল থাকিবে না। সেখানে বৈবাহিক সম্পর্ক সাধারণ সমাজের মধ্যে সম্প্রসারিত হইবে। ফলে উত্তরাধিকারীদের সূত্রে এক গোষ্ঠী বা বংশের ধন-সম্পদ সম্পূর্ণ ভিন্ন বংশের লোকদের মালিকানায় চলিয়া যাইবে। বস্তুত সম্পত্তি-মালিকের বংশ, পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সীমাবদ্ধ পরিবেশে ধন-বন্টনের স্থায়ী ব্যবস্থা কার্যকর করাই মীরাসী আইনের লক্ষ্য।

সোভিয়েট ইউনিয়নেও মীরাসী আইন কার্যকর এবং উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ-সম্পত্তি লাভের অধিকার শাসনতন্ত্রের ভিত্তিতে স্বীকৃত। ইহার ফলে উচ্চমাত্রায় উপার্জনকারীদের (Highest inmcome earners) সন্তানরা তাহাদের সমগ্র সম্পত্তির উত্তরাধিগকারী হইতে পারে। আর ইহার দরুন ধনী আরো অধিক পরিমাণ ধন-সম্পত্তির মালিক হইয়াও বসিতে পারে।

অনুরূপভাবে গরীবরা গরীবই থাকিয়া যাইবে, অথমা মূল্যাধিক্য ও সরকারী প্রাপ্যেল দুর্বিসহ চাপের তলায় পড়িয়া তাহারা আরো অধিক মাত্রায় দরিদ্র হইয়া যাইতে পারে। শুধু তাহাই নয়, কাজ অনুযায়ী মজুরী দেওয়ার নিয়ম যদি রাশিয়ায় স্থায়ীভাবে কার্যকর হইয়া থাকে, তাহা হইলে ইহার উদ্দেশ্য তথায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হইয়া যাইতে বাধ্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন