hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

৯৬
অসিয়ত
ব্যক্তিগত সম্পত্তির অবকাশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসলামী অর্থনীতি সম্পত্তির উপর ব্যক্তির নিজ ইচ্ছা-বাসনা কার্যকর করার সীমাবদ্ধ অধিকার দান করিয়াছে। মৃত্যুর পূর্বে ব্যক্তির অসিয়ত করার অধিকার তন্মধ্যে অন্যতম। এই পর্যায়ে প্রথমে যে আয়াতটি নাযিল হইয়াছে তাহা এই:

(আরবী)

তোমাদের কাহারও মৃত্যু উপস্থিত হওয়া কালে ধন-মাল রাখিয়া যাইতে থাকিলে অসিয়ত করা তোমাদের জন্য ফরয করা হইয়াছে।

এই আয়াত অনুাযায়ী ইসলামী সমাজে অসিয়ত চালু হইয়া যায়। কেননা তখন পর্যন্ত মীরাসের আয়াত নাযিল হয় নাই। অতএব প্রত্যেক সম্পত্তি-মালিক মৃত্যুর পূর্বে নিজ ধন-সম্পত্তি সম্পর্কে যদি কোন অসিয়ত করে, তবে মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই তাহার অসিয়ত পূরণ করিতে হইবে। প্রকৃত পক্ষে ধন-বন্টনের দিক দিয়া ইসলামী অর্থনীতিতে এই অসিয়তেরও যথেষ্ট মুল্য রহিয়াছে। এমন অনেক নিকটাত্মীয় থাকিতে পারে যাহারা বাহ্যিক বা আইনগত কোন কারণবশতঃ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি হইতে মীরাস লাভ করিতেপারে না- বরং বঞ্চিত হয় এবং তাহা হইতে বঞ্চিত হইয়া সম্পূর্ণরূপে নিঃস্ব ও সর্বস্বান্ত হইয়া পড়ে, নিতান্ত অসহায় হইয়া পড়ে। তখন সম্পত্তি-মালিকের কর্তব্য আল্লাহর দেওয়া এই সুযোগকে ব্যবহার করা এবং বঞ্চিত নিকটাত্মীয় ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের জন্য মৃত্যু পূর্বেই অসিয়ত করিয়া যাওয়া।

মূলত নিকটাত্মীয়দের মধ্যে সম্পত্তি বন্টনের জন্য এই অসিয়তই ছিল সর্ব প্রাথমিক ব্যবস্থা। মীরাসী আইন নাযিল হওয়ার পূর্বে এই অসিয়তের প্রচলন করা হয়। কিন্তু মিরাসী আইন জারী হওয়ার পর হযরত নবী করীম (ﷺ) অসিয় ও মীরাস সংক্রান্ত আইনের ব্যাখ্যা করিয়া দুইটি মুল নিয়ম নির্ধারণ করিয়া দিয়াছেন:

প্রথম নিয়ম এই যে, মীরাসী আইন জারী হওয়ার পর কেহ ওয়ারিস বা উত্তরাধিকারীর জন্য কোন অসিয়ত করিতে পারে না। অর্থাৎ মীরাসী আইনের মাধ্যমে যে সব নিকটাত্মীয়ের অংশ কুরআন মজীদে নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছে, তাহাদের জন্য অসিয়ত করিয়া উক্ত অংশে কোনরূপ হ্রাস-বৃদ্ধি করা যাইতে পারে না। কোন ওয়ারিসকে মীরাস হইতে অসিয়তের সাহায্যে বঞ্চিত করা সম্পূল্ণ বেআইনী কাজ; আর কোন অংশীদারকে তাহার বিধিসম্মত অংশ ব্যতীত অসিয়তের সাহায্যে অতিরিক্ত জিনিস দেওয়া বিধেয় নহে। নবী করীম (ﷺ)-এর কথাটি এই:

(আরবী)

নিশ্চয়ই মীরাসী আইনের মাধ্যমে আল্লাত তা’আলা প্রত্যেক হকদারকে তাহার হক দিয়া দিয়াছেন। যে লোক উত্তরাধিকারী তাহার জন্য কোন অসিয়ত নাই।

দ্বিতীয় নিয়ম এই যে, অসিয়ত মোট সম্পত্তির মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণেল উপরই কার্যকর হইবে, তাহার বেশী অংশ সম্পর্কে অসিয়ত করিলেও তাহা কার্যকর হইবে না। নবী করীম (ﷺ) হযরত সায়াদ বিন্‌ আবী-অক্কাস (রা)-এর এক প্রশ্নের জওয়াবে বলিয়াছিলেন: (আরবী)

হ্যাঁ, এক-তৃতীয়াংশ মাত্র এবং এই এক-তৃতীয়াংশই অনেক।[নবী করীম (ﷺ) এই কথাটির প্রেক্ষিতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলিয়াছেন:

(আরবী)

লোকেরা যদি অীসয়তে এক-তৃতীয়াংশ হইতে এক-চতুর্থাংশে নামিয়া আসে, তবে তাহা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।]

অর্থাৎ প্রত্যেক সম্পত্তির মালিক তাহার মেটা সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ নিজ আইন-সম্মত-উত্তরাধিকারীদের জন্য রাখিয়া অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তি অ-উত্তরাধিকারীদের জন্য- নিজ ঘরের বা বাহিরের অভাবী নিকটাত্মীয়দের জন্য, কিংবা জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠান বা কাজের জন্য- অসিয়ত করিয়া যাইতে পারিবে।[বিশেষজ্ঞদের মত হইল, নবী করীমের কথা হইতে স্পষ্ট হয় যে, এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি অনেক বেশী। কাজেই উহার কম অংশের অসিয়ত হওয়া উচিৎ। ইহাম নববী লিখিয়াছেন: উত্তরাধিকারীরা গরীব হইলে তাহাই হওয়া উচিৎ। আর ধনী হইলে এক-তৃতীয়াংশ হওয়া উচিত।

বস্তুত ইসলামী অর্থনীতিতে অসিয়ত একটি সুপারিশ মাত্র নয়, ইহা অনিবার্যরূপে কার্যকর করিতেই হইবে। কুরআন মজীদ এই অসিয়ত সম্পর্কে বলিয়াছেন: (আরবী)[সূরা আল-বাকারা: ১৮০ আয়াত] ইহা মুত্তাক্কীন ও আল্লাহভীরু লোকদেন প্রতি আল্লাহর তরফ হইতে ধার্য করা একটি অনিবার্য অধিকার বিশেষ।[এমনকি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে মীরাস বন্টনের পূর্বেই এই অসিয়ত পূরণ ও কার্যকর করতে হইবে বলিয়া কুরআন মজীদে পর পর তাকীদ করা হইয়াছে। বলা হইয়াছে:

(আরবী) যে অীসয়ত করা হইয়াছে তাহা পূরণের পরই মীরাস বন্টন করা যাইবে।]

অধিকার যথাযথরূপে আদায় করা হইলে পিতামহ কিংবা মাতামহের বর্তমানে যাহাদের পিতা কিংবা মাতার মৃত্যু হয়, তাহাদের মীরাস হইতে বঞ্চিত হওয়ার কারণ কোনরূপ অসুবিধায় পড়িবার কথা নয় এবং তাহা লইয়া কোনরূপ অভিযোগও করা চ লেনা।

পূর্বেই বলা হইয়াছে, ধন-সম্পদের সমধিক বন্টন এবং অবাধ, অজস্র ও অবিশ্রান্ত আবর্তন সৃষ্টি করাই ইসলামী অর্থনীতির মূল লক্ষ্য। ইহার ফলে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিই দায়িত্বপূর্ণ সাংসারিক জীবন শুরু করার জন্য এই সংঘাত-সংকূর জীবন যুদ্ধে ঝাপাইয়া পড়ার অনুকূলে কিছু না কিছু কাজ-কারবার ব্যবসায়-বাণিজ্য বা শিল্প-কার্য শুরু করিবার সুযোগ পায়। -নিজের প্রাপ্ত অংশকে অধিকতর বর্ধিত করিতে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করিতে পারে। উপরন্তু ইহারই পরিণামে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি পাইবার বিরাট সুযোগও ঘটে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন