hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১১৭
যাকাত ও সাদকা
সমাজে ধন-সম্পদের আবর্তন ও বিস্তার সাধনের উদ্দেশ্যেই ধনীদের উপর যাকাত ফরয করা হইয়াছে। দরদ্র ও অভাবগ্রস্ত লোকদের মধ্যে ইহা বন্টন করা হইবে। নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী)

যাকাত মুসলিম সমাজের ধনীদের নিকট হইতে আদায় করা হইবে এবং সেই সমাজেরই গরীবদের মধ্যে তাহা বন্টন করা হইবে।

বস্তুত সকল প্রকার বর্ধিষ্ণু বা পরিবর্ধনযোগ্য সম্পদের উপরই যাকাত ধার্য হইবে। ইহার লক্ষ্য হইতেছে যুগপৎভাবে ধনীর হৃদয় ও তাহার ধন-মালের পরিশুদ্ধি। আর যাকাত সঠিক ভাবে আদায় করিলে যে এই উদ্দেশ্য পুরাপুরিভাবেই বাস্তবায়িত হইতে পারে। তাহা সহজেইবুঝিতে পারা যায়।

যাকাত ধার্যযোগ্য সম্পদ প্রধানত দুই প্রকার। প্রথম, সাধারণ প্রকাশ্য সম্পদ, যথা- গরু, ছাগল, উট প্রভৃতি গৃহপালিত পশু। যাকাত আদায়কারী কর্মচারীগণ প্রকাশ্যভাবেই উহাদের যাঁচাই করিতে পারে। দ্বিতীয়, অপ্রকাশিত সম্পদ, যথা- স্বর্ণ, রৌপ্য বা টাকা ও ব্যবসায়পণ্য।

ব্যবসায়-পণ্যের যাকাত ফরয হওয়ার প্রমানস্বরূপ নিম্নলিখিত হাদীসটি উল্লেখযোগ্য:

(আরবী)

সামুরা বিন জুন্দুব হইতে বর্ণিত হইয়াছে- তিনি বলিয়াছেন যে, হযরত নবী করীম (ﷺ) আমাদিগকে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুতকৃত দ্রব্যাদি হইতে যাকাত আদায় করার নির্দেশ দিতেছিলেন।

ইমাম শাওকানী লিখিয়াছেন: (আরবী)

ব্যবসায় পণ্যের যাকাত দেওয়া যে ফরয, তাহা ইসরামের ইজমা’র দলীল দ্বরা প্রমাণিত।

বংশবৃদ্ধির উদ্দেশ্রে পালিত পশুর উপর যাকাত ফরয হইবে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা পর্যন্ত পৌঁছিলে। যমন- বিশটি গরুর মধ্যে একটি যাকাত বাবদ আদায় করিতে হইবে। আর ব্যবসায়ের জন্য পালিত হইলে ব্যবসায়ের পণ্য হিসাবে মোট মূল্যেল শতকরা আড়াই টাকা (৪০ ভাগের এক ভাগ) যাকাত আদায় করিতে হইবে। এই উভয়বিধ দ্রব্য-সম্পদের যাকাত আদায় করার জন্য পূর্ণ একটি বৎসর অতিবাহিত হইতে হইবে। কেননা নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী)

মালিকের মালিকানাধীন কোন সম্পদের পূর্ণ এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে উহার উপরকখনো যাকাত ধার্য হইবে না।

স্বর্ণ, রৌপ্য, নগদ টাকা, ব্যবসায়-পণ্য ও কারখানায় উৎপন্ন দ্রব্যের উপর যাকাত ফরয হওয়ার নিম্নতম পরিমাণ সাড়ে ৫২ তোলা। অলংকারে ব্যবহৃত স্বর্ণ বা রৌপ্যেও উক্ত হিসাব অনুসারে যাকাত ফরয হইবে। নবী করীম(ﷺ) বলিয়াছেন:

(আরবী)

রৌপ্যে শতকরা আড়াই টাকা (শতকরা এক-দশমাংশের এক-চতুর্থাংশ- অর্থাৎ আড়াই টাকা) ধার্য হয়। ইহার কম পরিমাণ হইলে তাহতে কোন যাকাত নাই।

ফকীহ আল-কাসানী লিখিয়াছেন: (আরবী)

ব্যবসায় পণ্যে যাকাতযোগ্য পরিমাণ নির্ধারণ করা হইবে উহার আর্থিক মূল্য অনুযায়ী টাকা ভিত্তিতে। তাই যাহার মুল্য দুইশ’ বিশ মিসকাল স্বর্ণ পরিমাণ হইবে না, উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। এই পরিমাণ হইলে তাহাতে অবশ্য যাকাত ধার্য হইবে। সর্বসাধারণ আলিম এই মতই পোষণ করেন।

নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন: (আরবী)

মুসলিম নারীদেরকে তাহাদের অলংকারর যাকাত আদায় করার নির্দেশও দাও।

ধাব মুদ্রা ও কাগজের নোট উভয়েল উপর যাকাত ফরয হইবে। কারণ, এই উভয় প্রকার মুদ্রারই সমান পরিমাণ ক্রয়-ক্ষমতা বিদ্যমান। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকায়ও এক বৎসরান্তে যাকাত ফরয হইবে। অন্যান্য রেজিষ্ট্রীকৃত প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত টাকায়ও অনুরূপভাবে যাকাত ফরত হইবে।

বৈদেশিক মুদ্রাকে দেশীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করা সহজ হইলে তাহা নিঃসন্দেহে নগদ টাকার সমতুল্য। অতএব তাহা হইতেও যাকাত আদায় করিতে হইবে, কিংবা তাহাতে যাকাত ফরয হওয়ার পরিমাণের স্বর্ণ-রৌপ্য থাকিলে উহার উপরও যাকাত ধার্য হইবে।

(১) ওর্‌য়া ইবনে জুবাইর, সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়্যেব ও কাসেম প্রমুখ মণীষী বলিয়াছেন:

(আরবী)

এই যাকাত প্রতি বৎসরই আবর্তিত হইবে এবং পরবর্তী বৎসরের সেই নির্দিষ্ট মাস- যে মাসে একবার যাকাত দেওয়া হইয়াছে- না আসা পর্যন্ত যাকাত আদায় করা যাইবে না।

যাকাত সম্পর্কে নীতিগতভাবে মনে রাখা দরকার যে, ইহা কোন ট্যাক্স নয়- মূলত, ইহা অর্থনৈতিক ইবাদত মাত্র। ট্যাক্স ও ইবাদতের মৌলিক দারণা ও নৈতিক ভাবধারার দিক দিয়া উভয়েল মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রহিয়াছে। কাজেই যাকাতকে কোন দিনই যেন ট্যাক্স মনে না করা হয় সেদিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখা ইসলামী জনতার অন্যতম দায়িত্ব।

যাকাতকে রাষ্ট্রীয় আয় হিসাবে গণ্য করার কারণেও কাহারো মনে উক্ত ধারণা সৃষ্টি হওয়া উচিত নয়। কেননা, মুসরমানদের সকল প্রকার সমষ্টিগত ইবাদাত-বন্দেগীর নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার ও সুষ্ঠুতা বিধানের উদ্দেশ্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা ইসলামী রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব বলিয়া অর্থনৈতিক ইবাদাত- যাকাত-আদায়কেও উহারই একটি খাত হিসাবে গণ্য করা হইয়াছে মাত্র। প্রসঙ্গত স্মরণ করাইয়া দিতে চাই যে, যাকাতের যে হার নবী করীম (ﷺ) ইসলামী শরীয়তের বিধানদাতা হিসাবে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী নির্দিষ্ট করিয়াছেন, তাহাতেও বিন্দুমাত্র পরিবর্তনস ও পরিবর্ধন করার কাহারো ক্ষমতা নাই। আর অর্থনৈতিক দৃষ্টিতে যাঁচাই করিলে উহার অপ্রয়োজনীয়তাও সমপ্রমাণিত হয়। কারণ, অভাবগ্রস্ত নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধান সংক্রান্ত রাষ্ট্রের সকল দায়িত্ব পালনের জন্য শুধু যাকাতের অর্থ যথেষ্ট না হইলে স্বতন্ত্রভাবে প্রয়োজনীয় অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। কাজেই প্রয়োজনের তুলনায় যাকাতের হার স্বল্প মনে করিয়া উহাতে হ্রাস-বৃদ্ধি করা আল্লাহর শরীয়তের উপর হস্তক্ষেপ এবং বড় অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে। ইসলামী অর্থনীতিতে সেই জন্য এই মূলনীতি সর্বজনস্বীকৃত হইয়া রহিয়াছে।

(আরবী) তোমার ধন-সম্পদে যাকাত ছাড়াও (সমাজের) অধিকার রহিয়াছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন