hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১৪৪
আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থার রূপ
ব্যাংক আধুনিক পুঁজিতান্ত্রিক অর্থনীতির সর্বশেষ অবদান। আর সত্য কথা এই যে, ব্যাংকের বর্তমান রূপ ও সংগঠন পুঁজিবাদীদের শোষন-পীড়নের একটি মারাত্মক হাতিয়ার। ব্যাংকে সাধারণত দুই প্রকারের পুঁজি সংগৃহীত হইয়া থঅকে, প্রথম, অংশীদারদের দেওয়া পুঁজি এবং দ্বিতীয়ত, ধনীদের আমানতস্বরূপ প্রদত্ত টাকা। আমানত স্বরূপ রক্ষিত টাকা তিন প্রকার। প্রথম, যাহা চাওয়া মাত্রই ফিরাইয়া পাওয়া যায়, যাহাকে বলা হয় Corrent deposit! দ্বিতীয, যাহা এক নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ব্যাংকের নিকট অর্পণ করা হয়; ইহাকে বলা হয় Fixed Deposit তৃতীয় হইতেছে Savint Deposit; সপ্তাহে একবার ইহার এক-তৃতীয়াংশ অর্থ-ফিরাইয়া লওয়া যায়। [ধন-সম্পদ আমানতস্বরূপ গ্রহণকারী ঋণ ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানকেই বলা হয় ব্যাংক। হোরেস হোইট (Horac white) তাঁহার Money and Banking গ্রন্থে লিখিয়াছেন Bank a manufacturer of credit and a machine for facilitng exchange –ব্যাংক হইল মূলধন সংগ্রহকারী ও বিনিয়োগ সুবিধার মাধ্যম।] ব্যাংক সংগৃহীত পুঁজির একাংশ নিজের নিকট সংরক্ষিত পুঁজি (Reserved capital) হিসাবে সব সময়ের জন্য জমা রাখিয়া দেয়। উহার নিত্য-নৈমত্তিক প্রয়োজন ইহা হইতে পূর্ণ করা হয়। ইহার পর কিছু পরিমাণ পুঁজি বাজারে (Money Market) ঋণ বাবদ দেওয়া হয়। এই পুঁজিও নগদ রিজার্ভ টাকার ন্যায় সকল সময়ই আদায়যোগ্য ও ব্যবহরযোগ্য। (Liquid) হইয়া থাকে। এই পুঁজিও নর্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরাইয়া পাওয়া যোগ্য বলিয়া ইহাতেও সুদে পরিমাণ খুবই সামান্য। অতঃপর ব্যাংক-পুঁজির একটি বিরাট অংশ এমন সব কাজ লগ্নি করা হয় যাহাতে পুজির নিরাপত্তা সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত অধিকক নিশ্চিত হওয়া চলে। প্রয়োজন হইলে তাহা বিক্রয় করিয়াও মূল পুঁজি উদ্ধার করা যাইতে পারে। এইরূপ অর্থ বিনিয়োগ শতকরা ২-৪ টাকা সুদও পাওয়া যায়। সরকারী সিকিউরিটি এবং কোম্পানীর অংশ ও ডিবেঞ্চারস (Debentures) ইত্যাদি এই শ্রেণীতেই পড়ে। নগদ রিজার্ভ পুঁজির পর ব্যাংক এই সব ক্ষেত্রেও পুঁজি বিনিয়োগ করিয়া থাকে। কারণ ব্যাংকের আত্মরক্ষা ও স্থিতিস্থাপনের জন্য ইহা অপরিহার্য। ইহার ফলেই ব্যাংকের মেরুদন্ড অধিকরত দৃঢ় হয়, বিপদের সময় ইহা উহার পৃষ্ঠপোষক হইয়া দাঁড়াইতে পারে।

ব্যাংকপুঁজির সর্বপ্রধান অংশ নিয়োগ করা হয় কারবারী ও ব্যবসায়ী লোকদিগকে এবং প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি ও সমবায় প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রদত্তঋণ বাবদ। বস্তুত ব্যাংকর আমদানী সর্বপ্রথম উপায় ইহাই। এই ক্ষেত্রেই সর্বাপেক্ষা উচ্চহারে সুদ লাভ হইয়া থাকে। এই জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংকই স্বীয় পুঁজির সর্বপ্রধান অংশ ব্যবসায়- সংক্রান্ত কাজ কারবারে বিনিয়োগ করিতে চেষ্টা করে। প্রত্যেক ব্যাংকই সাধারণত শতকরা ৩০ হইতে ৬০ ভাগ পর্যন্তপুঁজি এই কাজেই বিনিয়োগ করিয়া থাকে।

মোট কথা, ব্যাংক আমানতদারদের নিকট হইতে প্রাপ্ত এবং নিজেদের লগ্নিকৃত পুঁজি যতভাবেই বিনিয়োগ ও ব্যয় করে, তাহা সবই সুদের ভিত্তিতে হইয়া থাকে। বস্তুত এই সুদ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্থানীয় সমাজের জনগণের নিকট হইতেই আদায় করা হয় এবং তাহাদের শ্রমার্জিত অর্থ সুদ বাবদ শোষিত হইয়া (জাতীয সম্পদ) মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুঁজিপতির নিকট পুঞ্চীভূত হয়। আমানতকারীগণ সুদ-বাবদ যাহা পায় তাহা ঋণ-বাবদ লগ্নিকৃত অর্থের নির্দিষ্ট হারে আদায়কৃত সুদেরিই অংশ মাত্র। ঋণ গ্রহণকারীদের নিকট হইতে ব্যাংক উচ্চহারে সুদ আদায় করে এবং আমানতদারীদিগকে ব্যাংক অপেক্ষাকৃত কম হারে সুদ দেয়। এইভাবে ব্যাংকের ভাগের সুদের অবশিষ্ট অংশ হইতে ব্যাংকের যাবতীয় খরচপত্র নির্বাহ করা হয় এবং তাহার পরও যে অংশ উদ্ধৃত্ত থাকে, তাহাই ব্যাংক ব্যবসায়েরমূল অংশীদারদের মধ্যে ঠিক সেই নিয়মেই বন্টন করা হয়, যেমন অংশীদার-ভিত্তিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সমূহের লভ্যাংশ বন্টন করা হয় উহার অংশীদারদের মধ্যে।

বস্তুত ব্যাংক ছোট-বড় যত কাজেই করে, সুদের বিনিময়ে টাকা খাটানোই হইল উহার আসল ও প্রধান কাজ। ব্যাংক সাধারণত নিজে কোন ব্যবসায় করে না, ব্যবসায়ীদের জন্য সুদের বিনিময়ে পুঁজি যোগার করাই উহার দায়িত্ব। ব্যাংক নিজে কোন করখানা খোলে না, বরং শিল্পোৎপাদনের জন্য কারখানা স্থাপনকারী লোকদের পুঁজি সংগ্রহ করিয়া দেওয়া এবং তাহদের নিকট হইতে উচ্চহারেসুদ আদায় করা উহার কাজ।

এক্সচেঞ্জ ব্যাংকসমূহ সাধারণ বৈদেশিক পণ্য বা পুঁজি বিনিময়ের কাজ করিয়া থাকে। বাংলাদেশের কোন ব্যবসায়ী আমেরিকা হইতে কোন পণ্য ক্রয় ও আমদানী করিতে চাহিলে কিংবা অন্য কোন কারণে মূলধন বিনিময় করিতে ইচ্ছা করি তাহাকে এই ব্যাংকের আশ্রয় লইতে হয়। এক্সচেঞ্জ ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় (কিংবা ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বিভাগ) টাকা জমা দিলেই উহার মার্কিন মূল্যমান অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা উহার আমেরিকাস্থ শাখা কিংবা Coresponent Blance এর মারফতে পণ্য বিক্রয়কারী ফার্মে আদায় করা হয়। এই রূপ এক্সচেঞ্জের কাজ করিয়া ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন লাভ করিয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত হুন্ডীর বিনিমযে এল.সি.খোলার মাধ্যমেও সুদ লইয়া থাকে।

এ সম্পর্কে স্পষ্ট কথা এই যে, ব্যাংকের এই সমস্ত কাজে সামগ্রিকভাবে সমস্ত মানুষেরই অসাধারণ কল্যাণ সাধিতগ হইয়া থাকে, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু এই কল্যাণকর- আধুনিক যুগের এই অপরিহার্য- প্রতিষ্ঠানটি প্রধানত যে কারণে কলুষিত ও সমষ্টিগতভাবে মানবসমাজের জন্য মারাত্মক হইয়া দাড়াইয়াছে তাহা হইল সুদ। এই সুদ বন্ধ করিয়া দিলেই এই প্রতিষ্ঠানটি সর্বতোভাবে গ্রহণযোগ্য ও গোটা মানবতার পক্ষে প্রকৃতভাবে কল্যাণকর হইতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন