hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১৫৮
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
ইসলামী রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বীয় দায়িত্ব নিম্নোদ্ধৃত কার্যাবলীর মাধ্যমে পালন করিবে:

(১) মুদ্রা প্রচলন উহার নিয়ন্ত্রণ: ব্যাংক রাষ্ট্রের পক্ষ হইতে এই দায়িত্ব পালন করিবে, ইহা সম্পূর্ণ সুদ বিবর্জিত পদ্ধতিতে। বর্তমান ব্যাংক-কারবারের এই কাজে কোন সুদের অবকাশ নাই।

(২) Supply of credit: বর্তমানে এই কাজ সম্পূর্ণরূপে সুদের ভিত্তিতে সম্পন্ন হইতেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বীয় সদস্য ব্যাংকও অন্যান্য মূলধন সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান (Credit agencies) সমূহের মাধ্যমে সমগ্র দেশে ঋণ বিতরণ করিবে। ইসলামী কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমগ্র দেশ হইতে সুদী কারবারকে সম্পূর্ণরূপে উৎখাত করিবে এবং স্বীয় সদস্য-ব্যাংক গুলিকে ঋণ দেওয়ার পরিবর্তে পুঁজি বিনিয়োগ করিবে। এই পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সদস্য ব্যাংকসমূহের লাভ-লোকসানের অংশীদার হইবে।সারা দেশের ঋণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার ইহা এক উত্তম পন্থা। সদস্য ব্যাংক সঠিকভাবে কাজ না করিলে উহা কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রদত্ত যাবতীয সুযোগ সুবিধা হইতে বঞ্চিত হইবে এবং স্বীয় কাজ-কারবারকে সম্প্রসারিত করিতে সমর্থ হইবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সদস্য ব্যাংকসমূহকে উহাদের কারবারের লাভ-লোকসানে শরীক না হইয়াও ঋণ দিতে পারে। দেশের মূলধন (credit) সহস লভ্যতাকে অধিক ব্যাপক করা এবং উহার মাধ্যমে জাতীয় কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যেই এই কাজ ক রিবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক উহার অকাজে পড়িয়া থাকা মূলধন সদস্য ব্যাংকগুলিকে বিনাসুদে ঋণ বাবদ দিতে পারে। ফলে ব্যাংকসমূহ প্রয়োজনানুযায়ী সাধ্যমত কেন্দ্রীয় ব্যাংক হইতে বিনাসুদে ঋণ লাভ করিতে পারিবে।

(৩) ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ (control of banking system) কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি পন্থাই প্রয়োগ করিতে পারে, তাহা হইল, ব্যাংকের রিজার্ভ পরিমাণ, খোলা বাজারের রীতিনীতি ও ব্যাংকের হার-এর সীমা নির্ধারণ প্রভৃতি। ইসলামী কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদবিহীন নীতি ও সার্বিক কল্যাণকর যাবতীয পন্থায়ই কাজ করিতে পারিবে।

(৪) রাষ্ট্রীয় অর্থ ও জনগণের ফান্ড : মূলত রাষ্ট্র সরকারই ইহার নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণকারী। রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন হইবে। ইহার দুইটি খাত থাকিবে: আয় ও ব্যয়। অনেক সময় ব্যয় আয়ের তুলনায় অনেক বেশী হইয়া থাকে। তখন নূতন কর ধার্যের সাহায্যে অভাব পূরণ করা হয়; কিংবা সরকারী দায়িত্বে বন্ড্‌স আকারে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ইহাকে গণ-ঋণ (Public Debit) বলা হয়। প্রত্যেকটি উন্নত রাষ্ট্রই এইরূপ ঋণ গ্রহণ করিয়া থাকে। ইহাতে যে সুদ দেওয়া হয় তাহার বোঝা প্রকারন্তরে সমগ্র দেশের করপ্রদাতা জনগণের উপরই চাপানো হয় এবং ইহা অত্যন্ত নিকৃষ্ট ধরনের সুদ।

বস্তুত, প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই গণ-ঋণ গ্রহণে বাধ্য। না নিলে উহা কোন কাজই করিতে পারে না, এমন কোন কথা নাই। কেননা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াজন ভিন্নতর উপায়েও পূরণ করা যাইতে পারে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলা যায়, আমেরিকার ফেডারেল সরকার ও রাজ্য সরকার সমূহও গণ-ঋণ গ্রহণ করে এবং আর্থিক উন্নয়নে গণ-ঋণ অপরিহার্য বলিয়া মনে করে। কিন্তু এই দেশেরই ইন্ডিয়ান রাজ্য সরকার কোন গণ-ঋণ গ্রহণ করিতেছে না। এই রাজ্যসরকার গৌরব সহকারে বারবার ঘোষণা করিয়াছে।

‘ইন্ডিয়ানা- সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত, প্রথম বৎসরকারলীন শিল্পোন্নয়নে অগ্রবর্তী, অধিকাংশ শিল্প-সংস্থা ঋণ-বিমুক্ত ইন্ডিয়ানা রাজ্যেই কারবার করিতে চাহে কেন?

আমেরিকার Capital journal পত্রিকা ১৯৫৯ সালের নভেম্বর সংখ্যাংয় ইহার কারণ পর্যালোচনা করিয়া লিখিয়াছে:

‘এই রাজ্যে গণ-ঋণ বলিতে কিছুই নাই। ইন্ডিয়ানা আজও সেই ষোলটি রাজ্যের অন্যতম, যাহা স্বীয় আয়ের দ্বারাই চলিতেছে। ১৯৪৬ সনে এইরূপ রাজ্যের সংখ্যা ছিল ৪১টি। ইন্ডিয়ানা রাজ্যে সরকার কোন গণ-ঋণে ঋণী নয়। অথচ পূর্বে ইহার ষাট বিলিয়ন ডলারের রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় ঋণে ঋণী ছিল। অতঃপর ইহাতে গণ-ঋণ গ্রহণ করা শাসনতান্ত্রিকভাবেই নিষিদ্ধ করা হইয়াছে। এই কারণে, এখানকার শিল্পসংস্থা অতীতের ঋণের ভিত্তিতে কোন সওদা করে না।’

(Reported bu Indiana Department of commerce, Indiana P. 45 Indiana, U.S.A)

ইহা হইতে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, গণ-ঋণ ব্যতীত এবং কেবলমাত্র নিজস্ব আমদানীর উপর নির্ভর করিয়া প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই সুষ্ঠুরূপে চলিতে পারে এবং সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করিতে পারে। তাই ইসলামী রাষ্ট্র সাধারণত সুদভিত্তিক ঋণ তো দূরের কথা, কোন প্রকার ঋণ ব্যতীতই স্বীয় কাজ সমাধা করিবে ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর উন্নতির দিকে অগ্রসর হইতে থাকিবে।

এতদসত্ত্বেও আমরা এখানে এমন একটি পন্থা নির্দেশ করিতে পারি, যাহা অবলম্বন করিয়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য প্রয়োজন পূরণের জন্য বিনাসুদে অর্থ সংগ্রহ করা যাইতে পারে।

ইসলামী রাষ্ট্র জনগণের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া পাবলিক ফান্ড শুরু করিবে না। এই ফান্ডটিকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে কায়েম করিয়া জনগণকে উহাতে অর্থদানের সাধারণ আহ্বান জানান হইবে। ইহাতে যে মূলধন সংগৃহীত হইবে, সরকার তাহা বিভিন্ন জাতীয় কল্যাণমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিনিয়োগ করিবে। উহা হইতে লব্ধ মুনাফা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হার মত বন্টন করা হইবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, সরকার রেল বিভাগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করিবে। উহার জন্য জনগণের মধ্যে অংশ বিক্রয় করিয়া মুলধন সংগ্রহ করা হইবে। এজন্য সরকারী পর্যায়ে সিকিউরিটি সার্টিফিকেট (Investment securities) ইস্যু করা হইবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার পর ইহাতে যে মুনাফা হইবে তাহা মূলধন প্রদাতাদের মধ্যে তাহাদের মূলধনের পরিমাণ অনুপাতে ভাগ করিয়া দেওয়া হইবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটা Trut Fund-ও সরকারী নেতৃত্ব চালাইতে পারে। তাহাতে ব্যাংক উহার উদ্ধৃত্ত সম্পদ বিনিয়োগ করিতে পারে। যেসব সরকারী পরিকল্পনায় মুনাফা হওয়ার সম্ভাবনা নাই, মুনাফামূলক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের কাজ শুরু করাও উহার পক্ষে সম্ভবপর হইবে। বস্তুত ইসলামী রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করিতে হইবে। সর্বাপেক্ষা বড় দায়িত্ব হইল ইসলামের ব্যাংক-ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা। যাহার ফলে আধুনিক ইসলামী সমাজের সমস্ত আর্থিক প্রয়োজন ইসলামসম্মত পন্থায় পূরণ হইতে পারিবে ও আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থার সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুকাবিলাও করিবে। উহার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হইল, জাতীয় সম্পদকে জনগণের মধ্যে ইনসাফ মুতাবিক বন্টন ও আবর্তিত হওয়ার নির্ভযোগ্য ব্যবস্থা করা, উহাকে মুষ্টিমেয় কতিপয় ধনীদের মুষ্টির মধ্যে সীমাবদ্ধ হইতে না দেওয়া, কেবল বড় বড় পুঁজিপতি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানাকেই ঋণ দানের ব্যবস্থা করিয়া ক্ষুদ্রায়তন শিল্প-ব্যবসায়েও যাহাতে প্রয়োজন পরিমাণ ঋণ ও মূলধন সংগ্রহের ব্যবস্থা করা যায়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা। ইহার ফলে দেশের সর্বসাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত ও সুখ সমৃদ্ধিপূর্ণ হইতে পারিবে। এই উদ্দেশ্যে আধুনিক ব্যাংক-ব্যবস্থার ব্যপকতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সমস্ত ব্যাংক ব্যবসায়ের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করিতে হইবে, যেন সমাজেসুস্থ ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতা ও সুষ্ঠু ব্যাংক ব্যবসায় ব্যাপকভাবে চালু হইতে পারে।

এই পর্যায়ে মনে রাখিতে হইবে:

কুরআন ও হাদীসের অকাট্য দলীল সুদ কে শুধু হারাম বলিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই। উহা যে সর্বাধিক ঘৃণ্য ও বীভৎস তাহা ও স্পষ্ট করিয়া তুলিয়াছে। সব গুনাহ সর্বতোভাবে এক ও অভিন্ন নহে। কোন কোন কবীরাহ্ গুনাহ অপর কোন কবীরাহ্‌ গুনাহ অপেক্ষা অধিক মারাত্মক ও ভয়াবহ হইতে পারে। সুদ এই পর্যায়ের একটি গুনাহ। ইহা গোটা অর্থনীতি ও অর্থব্যবস্থাকেই সম্পূর্ণ নাপাক বানাইয়া দেয়। ইহার দরুন ব্যক্তির মনে স্বার্থপরতা ও স্বার্থান্বেষণ তীব্র হইয়া উঠে। স্বার্থান্ধ মানুষ ভাল-মন্দ-ন্যায়-অন্যায় যে কোন পথে ও উপায়ে স্বীয় হীন-স্বার্থোদ্ধারের জন্য পাগলের মত ছুটিতে থাকে। স্বার্থলিপ্সা কুটিল হইতেও কুটিলতর পন্থা উদ্ভাবন ও অবলম্বনের জন্য প্রতিমুহূর্তেই উদগ্রীব হইয়া থাকে। মানবীয় দায়-সহানুভূতি, কল্যাণ কামনা ও সম্প্রীতি হৃদয়-মন হইতে কর্পূরের ন্যায় উঠিয়া যায়। সাধারণ মানবীয় মন-মানসিকতা ও চরিত্রহীন হইতেও হীন হইয়া যায়।

এই পরম সত্যকে সম্মুখে রাখিয়া সেইসব অর্থনৈতিক লেন-দেন দূরে থাকিতে চেষ্টা করিতে হইবে যাহাতে সুদের বিন্দুমাত্র চিহ্ন ও সাদৃশ্যও পাওয়া যাইবে। বহু সংখ্যক হাদীসেসুদের সন্দেহ হয় এমন সব ক্রয়-বিক্রয় ও লেন-দেনকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হইয়াছে। একালে সুদের নূতন নূতন সংজ্ঞা রচিত হইয়াছে ও নানা প্রকারের নবতর ব্যাখ্যা দানের মাধ্যমে সুদকে জায়েয বানাবার উদ্দেশ্যে অভিনব উপায়ে ইজতিহাদ করিতে চেষ্টা করা হইতেছে। এই কারণে এ ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন দেখা দিয়াছে। কেননা বর্তমানে সুদ মুক্ত ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন দেখা দিয়াছে। কেননা বর্তমানে সুদ মুক্ত ব্যাংকের নামে নূতন গজাইয়া উঠা বহু ব্যাংকিং পদ্ধতিতে অজ্ঞাতসারে কিংবা হীন কৌশলের সাহায্যে ভিন্নতর পথে সুদী কারবারই চালাইয়া যাওয়া হইতেছে। এই জঘন্য কার্যকলাপ ঈমানদার লোকদের গোচরীভূত হইলে তাঁহারা চিৎকার করিয়া উঠেন। কিন্তু প্রতিকারের পথ না পাইয়া সুদে মুক্ত ব্যাংক কিংবা পূর্ণাঙ্গ ইসলামী পদ্ধতিতে ব্যাংক পরিচালনার সম্ভব্যতা সম্পর্কেও তাহারা সন্দেহের মধ্যে পরিয়া যান অতি স্বাভাবিকভাবে।

এই পর্যায়ে মনে রাখিতে হইবে, সুদ মুক্ত ব্যাংক, কিংবা ইসলামী ব্যাংকের নাম দিয়া ভিন্নতর পন্থায় এমনভাবে লেন-দেন করা- যাহাতে কোন না কোন মাত্রায় সেই সুদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়- লোকদেরকে বেঈমান বানাইবার কারণ ঘটাইতে পারে। নগদ মূল্যে ক্রয় করিলে পণ্যের এক মূল্য এবং বাকি মূল্যে ক্রয় করিলে সেই পণ্যকেই অধিক মূল্যে বিক্রয় করা সুস্পষ্টরূপেসুদী কারবার। অথচ কোন কোন ইসলামী নামধারী ব্যাংক এই পন্থায় কাজ করিতেছে। ইহাকে শুধু সুদকেই প্রশ্রয় দেওয়া হয় না, একটা প্রচণ্ড ধোঁকাবাজিও করা হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন