hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের অর্থনীতি

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)

১১৩
একাধিকারভুক্ত ব্যবসায়ের রাজস্ব
ইসলামী রাষ্ট্র ন্যায়-নিষ্ঠার সহি কাহাকেও বিশেষ কোন ব্যবসায় বা শিল্পকর্মের (Industries) একচেটিয়া অধিকার দান করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করিলে তাহা কার্যকর করিতে পারিবে, ইসলামী অর্থনীতির দৃষ্টিতে ইহা নিষিদ্ধ হওয়ার কোন কারণ নাই। কিন্তু তাহাতে সাধারণভাবে জনগণের কোনরূপ অসুবিধার সৃষ্টি হইলে যে এইরূপ একচেটিয়া অধিকার দান সঙ্গত হইবে না, তাহা বলাই বাহুল্য। হযরত নবী করীম (ﷺ) তায়েফ ইত্যাদি এলাকায় কোন কোন লোককে মধুমক্ষিকা পালন ও মধু উৎপাদন শিল্পের একচেটিা উপত্যকা নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছিলেন। সেইসব উপত্যকায় অন্য কাহারো কিছু করিবার অধিকার ছিল না। সংশ্লিষ্ট শিল্প মালিকগণ উৎপনট্ন পণ্যের এক-দশমাংশ রাজস্ব বাবদ বায়তুলমালে জমা করিত। কারণ হযরত নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন (আরবী) ‘মধুতেও ওমর (এক-পঞ্চমাংশ রাজস্ব বাবদ) ধার্য হইবে। হযরত উমর ফারূক(রা)-এর খিলাফতকালে এইসব একচেটিয়া শিল্প সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা করা হয়। তখন আমীরুল মু’মিনীন এক ফরমানে বলিয়াছেন:

(আরবী)

তাহারা নবী করীমের জীবদ্দশায় রাজস্ব বাবদ যাহা দিত, আজও তাহাই রীতিমত আদায় কর। তবে সংশ্লিষ্ট উপত্যকা তাহাদের জন্য নির্দিষ্ট থাকিবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট উপত্যকা ফেরত লওয়া হইবে। কেননা মধু মৌমাছির ফসল। যাহার-ই-ইচ্ছা উহা খাইবে।

অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগ্রত হয় যে, এইরূপ একচেটিয়া শিল্প-ব্যবসায়ের সুযোগ ইসলামী সমাজে ধন-বন্টনের ক্ষেত্রে বিরাট বৈষম্যের সৃষ্টি করিবে না কি?…. এই সম্পর্কে অধ্যাপক বেন্‌হাম-এর নিম্ন লিখিত উক্তিটি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলিয়াছেন:

একচেটিয়অ শিল্প ব্যবসায় ধন-বন্টনে অসাম্য ও বৈষম্য সৃষ্টি করে বলিয়া সাধারণতঃ মনে করা হয়; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই আশংকা অনেক সময় বাস্তব না-ও হইতে পারে। [বেনহাম-কৃত ইকনমিকস-২২৫৬ পৃঃ]

বস্তুত বাহ্যদৃষ্টিতে ‘মনোপলি’ ব্যবসায়ে পুঁজিবাদ সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকিলেও তাহা কেবলমাত্র অনৈসলামিক সমাজেই থাকিতে পারে। ইসলামী সমাজে ‘মনোপলি’ ব্যবসায়েও কোন প্রকার পুঁজিবাদ সৃষ্টির সম্ভাবনা নাই।

তাহার কারণ এই যে, প্রথমতঃ এইরূপ ব্যবসায়ের উৎপন্ন দ্রব্যের এক-দশমাংশ রাজস্ব বাবদ রাষ্ট্রীয় বায়তলমালে বাধ্যতামূলক জমা করিতে হইবে। ইহাতেই পুঁজিবাদের মেরুদণ্ড চূর্ণ হইয়া যাইবে। এতদসত্ত্বেও কাহারো নিকট অধিক পরিমাণ পুঁজি জমা হইলে তাহার যাকাত, সদকা, ইত্যাদি আদায় করা অপরিহার্য কর্তব্য হইবে। ফলে একজনের চেষ্টা, শ্রম ও তত্ত্বাবধানে সঞ্চিত পুঁজি বহুজনের জন্য অন্য কথায় সমগ্র দেশের জনসমষ্টির সাধারণ কল্যাণে- ব্যয়িত হইবে। বস্তুত এই সুনিয়ন্ত্রিত পুঁজির সমাবেশে কাহারোই আপত্তি হইতে পারে না। কারণ, ধন-সম্পদের এইরূপ সমাবেশকে রাজবাড়ীর রিজার্ভ ট্যাংকের সহিত নয়- পর্বত নির্ঝরের নিরন্তন পানি নিস্কাশনের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন