hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

১০৮
আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও রপ্তানি উন্নয়ন
সামাজিক মূল্যবোধগুলো এসব দেশে জাতীয় সঞ্চয় বৃদ্ধির সাথে সাথে অপ্রয়োজনীয় আমদানি হ্রাসে সহায়তা করল। পক্ষান্তরে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে জাতীয় উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় এ সঞ্চয় যোগাড় করা হলো উচ্চ আমদানি শুল্ক ও কঠোর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। যার ফলে সৃষ্টি হলো চোরাচালান, আন্ডার ইনভয়েসিং এবং দুর্নীতি। এসব দেশের মানুষের প্রাত্যতিক প্রয়োজন পূরণে ভোগ ব্যয়ে সংযম ও কৃচ্ছ্রতাসাধন কোনোটাই জোর করে করা হয়নি; বরং সামাজিক মূল্যবোধ দ্বারা তা উজ্জীবিত ছিল। আমদানি নিয়ন্ত্রণের উপর কঠোর কোনো বিধিবিধান না থাকা সত্ত্বেও এসব দেশ আমদানিমুখী না হয়ে রপ্তানি বহুমুখীকরণের স্পৃহার দিকে উদ্বুদ্ধ ও তাড়িত হয়েছিল। জাপানের বিষয়ে লেস্টার থুরোর পর্যবেক্ষণ এখানে প্রণিধানযোগ্য, ‘জাপানে শিল্পফার্মগুলো তাদের নিকটতম সরবরাহকারীরে সাথে শিল্প যন্ত্রাংশের যখন যা প্রয়োজন, তখন তা সঠিক ও সুনির্দিষ্টবাবে সরবরাহের বিষয়ে এমন দীর্ঘকালীন নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখে যে, নতুন কোনো বিদেশী ফার্মের জাপানী বাজারে প্রবেশের কোনো সুযোগই ছিল না’।

তবে এসব দেশের বহির্মুখী দৃষ্টিভঙ্গি ও ভূমিকাকে অত্যধিক ফলাও করে তুলে ধরা হয়েছে। বস্তুত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি জাপানে একটি নতুন বিষয়। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে জাপান ছিল একটি বাণিজ্য ঘাটতির দেশ। দেশীয় বাজারের চাহিদা পূরণের মধ্য দিয়েই জাপানী কোম্পানীগুলো প্রথমত সফলতা অর্জন করে। অপরদিকে কোম্পানীর আয়তন বৃদ্ধির ফলে তুলনামূলক যে উৎপাদন খরচ কমে আসে, সে সুযোগ গ্রহণ করে জাপান রপ্তানি বাজারে প্রবেশে করে। অভ্যন্তরীণ বাজার চাহিদাই শেষতক রপ্তানিমুখীতা সৃষ্টিতে সফলতা এনে দিয়েছে। উল্টোভাবে নয় অর্থাৎ প্রথমেই রপ্তানির দ্বারা জাপান সাফল্যের মুখ দেখেনি। কোরিয়া, তাইওয়ান ও আরো অনেক দেশ যারা রপ্তানি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে, তারা সবাই প্রথম পর্যায়ে আমদানি প্রতস্থাপনের পথ অনুসরণ করেছে। এসব দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশীয় শিল্প সংরক্ষণ নীতি গ্রহণ করে এবং পরবর্তী পর্যায়ে তারা আমদানি প্রতিস্থাপন থেকে রপ্তানি উন্নয়নের দিকে মোড় নেয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রথম দিকে উপার্জিত সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার সবটুকু বিদেশী প্রযুক্তি ও যন্তপাতি ক্রয়ে। ব্যয় হতো। অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর আমদানি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হয়।

শিল্পায়নের জন্য সংরক্ষণবাদী নীতির প্রয়োজন নেই মর্মে সম্প্রতি যে মতামত ব্যক্ত করা হচ্ছে তা তথ্য নির্ভর নয়। জার্মান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপান পর্যন্ত সকল ঐতিহাসিক উদাহরণ হতে দেখা যায় যে, এসব দেশে সংরক্ষণবাদী শিল্পনীতির মাধ্যমেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি লাভ করেছে। এমনকি এখনো এসব দেশসমূহ শিল্প ও কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সংরক্ষণবাদী নীতি প্রয়োগ করছে, যা উন্নত দেশগুলো করেনি এবং এখনো করছে না, তা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে করতে বলা অবাস্তব পরামর্শ মাত্র।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন