hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

১৫
নোট ও তথ্যসূত্র (ভূমিকা)
১. আল গাজালী, al-Mustafa (১৯৩৭), পৃষ্ঠা ১৩৯-৪০।

২. ইবন কাইয়্যেম আল-জাওজিয়াহ, I’lm al-Muwaqqi’in (১৯৫৫), খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৪।

৩. মানুষের বস্তুগত চাহিদা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে যে, মানুষের অস্তিত্ব, স্বাচ্ছন্দ্য ও মানবীয় উন্নয়নে কী কী বিষয় সত্যিকারভাবে অবদান রাখে। এ কাজ কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।এ বিষয়ে কেইনস এর মতামত সহায়ক হতে পারে। তিনি বলেন, যদিও “মানুষের চাহিদা দৃশ্যতঃ অপূরণীয়….; সেগুলো দু’টি শ্রেণীতে বিভক্ত। আমাদের চারপাশে মানব সমাজের অবস্থা যাই হোক না কেন, এক প্রকার চহিদা সুনিশ্চিতভাবে আমরা অনুভব করি, আর অপর এক প্রকার চহিদা পূরণ আমাদের চারপাশের মানুষের তুলনায় সৌভাগ্যের অধিকারী করে বা শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতি দান করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর যে সকল চাহিদা শ্রেষ্ঠত্বের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে, সেগুলো হয়ত সত্যিই অপূরণীয়। কারণ অবস্থান যত উপরেই হোক, আরো উপরে ওঠার সুযোগ থেকেই যায়। কিন্তু সুনিশ্চিতভাবে অনুভূত হয় এমন চহিদার ক্ষেত্রে একথা সঠিক নয়। (J. M. Keynes, The Collected Writtings of John Maynard Keynes, vol. IX, Essays in Persuasion, the essay on “Economic Possibilities for our Grandchildren”, ১৯৭২ পৃষ্ঠা ৩২৬)। এই শ্রেণীবিভক্তির কারণ থেকে বোঝা যায় যে,সুনিশ্চিত চাহিদাগুলো মানুষের নিজের মধ্যেই সৃষ্টি হয় এবং মানবীয় অবস্থার কারনেই আবশ্যক হয়। মানুষের অস্তিত্ব, স্বাচ্ছন্দ্য ও মানবীয় উন্নতির জন্য এগুলোর প্রয়োজন। পক্ষান্তরে যে সকল চাহিদা আপেক্ষিক সে সকল চাহিদা, Galbraith এর ভাষায়, তার নিজের কারণেই উদ্ভাবিত (Galbraith, The Affluent Society: পৃষ্ঠা ১৫২)। তারা মর্যাদা বৃদ্ধিকারী সামগ্রী ও অন্য এমন সকল দ্রব্য ও সেবাকে চাহিদার অন্তর্ভূক্ত করে ফেলে, যেগুলো তাদের কল্যাণ বাড়ায় না। প্রথমটিকে বলা যায় চাহিদা এবং অপরটিকে অভাব। এই অভাব পূরণ করার আকাঙ্ক্ষা প্রচারণা ও অন্যের সমতুল্য হওয়ার সামাজিক চাপ থেকে কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তির নিজের সম্পদ দ্বারা নিজের ও তার উপর নির্ভরশীল লোকদের বস্তুগত চাহিদা পূরণ করার অবমতাকে দারিদ্র্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তবে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও চাহিদা পূরণ করা এক বিষয় নয়। এক ব্যক্তির চাহিদা অপর কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের সহায়তায় পূরণ যায় যেতে পারে। তবে ব্যক্তিকে নিজের প্রচেষ্টায় স্বীয় আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সক্ষম করে তোলাই হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। তবে ব্যক্তির শারীরিক বা মানসিক অবমতা অথবা উপযুক্ত কর্মসংস্থান যোগাড়ে অসুবিধার কারণে এ লক্ষ্য সর্বদা সফল নাও হতে পারে।

৪. মুহাম্মদ বাকির আল সদর এ বিষয়ে ইসলামের অবস্থান যথার্থই বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন যে, অ-সুষম বণ্টন এবং ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে মানবীয় সম্পের্কের নৈতিক কাঠামোর অনুপস্থিতির ফলেই দারিদ্র্য ও বঞ্চনার জন্ম হয়েছে ( মুহাম্মদ বাকির আল সদর, Iqtisaduna (১৯৮১), পৃষ্ঠা ৩৪৩।

৫. এ বিষয়ে প্রচলিত অর্থনীতিবিদগণের উপস্থাপনা সুস্পষ্টভাবে জানার জন্য দেখুন Milton Rose Friedman, Free to Choose (১৯৮০), পৃষ্ঠা ৯-৩৭ এবং P.A. Samuelson, Economics (১৯৮০), পৃষ্ঠা ১৫-১৮।

৬. Arthur Lovejoy, The Great Chain of Being (১৯৬০), পৃষ্ঠা ৭।

৭. এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন Edward S. Greenberg, serving the Few: Corporate Capitalism and the Bias of Government Policy (১৯৭৪) এবং সেকুলার কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে দেখুন Claus Offe, Contradictions of the Welfare State, ed., John keane (১৯৮৪) সম্পাদিত।

৮. আম ও লেবু বীজের দৃষ্টান্ত সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী’র Islami Riyasat গ্রন্থের (১৯৮২), পৃষ্ঠা ৬৯৫ থেকে নেয়া হয়েছে।

৯. Edwin A. Burtt, The Metaphysical Foundations of modern Science (১৯৫৫), পৃষ্ঠা ২৭।

১০. ‘ফালাহ’ (কল্যাণ) শব্দটি আল কোরআনে অন্তত চল্লিশবার বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদের মিনার থেকে কল্যাণের দিকে ডাকা হয়। এ ভাষা আজানে দু’বার উচ্চারণ করা হয়, “কল্যাণের দিকে আস”। ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মিক উন্নতি হলো মানুষের কল্যাণের অপরিহার্য উপাদান। আত্মিক উন্নয়ন ব্যতীত কল্যাণের যে কোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।’হায়াতে তাইয়্যেবা’ ভাষ্যটি কোরআনের এ আয়াত থেকে এসেছে: “যে সকল পুরুষ ও নারী সৎকর্ম করে ও ঈমান আনয়ন করে, তাদেরকে নিশ্চয়ই ‘হায়াতে তাইয়্যেবা’ দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের (পরকালে) শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।” (১৬:৯৭)

১১. দেখুন, M. Anas Zarqa, “Capital Allocation, Efficiency and Growth in an Interest-free Islamic Economy, নভেম্বর ১৯৮২, পৃষ্ঠা ৪৯ এবং Islamics: An Approach to Human Welfare, K. Ahmed, Studies in Islamic Economics (১৯৮০), পৃষ্ঠা ৩-১৮। আরো দেখুন Benjamin Ward, What is Wrong with Economics? (১৯৭২), পৃষ্ঠা ২১১।

১২. দেখুন W. Breit এর Readings in Microeconomis (১৯৮৬) গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ৪) উল্লিখিত Frank H.Knight, The Economic Organisation এর পুন:মুদ্রিত Social Economic Organisation পৃষ্ঠা ৩-৩০. আমি (লেখক) ড. আনাস জাকরার নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি এ প্রযুক্তির প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

১৩. Arab News, ২ মার্চ ১৯৮৮।

১৪. এখানে Gottfried Haberler- কে উদ্ধৃত করা প্রাসঙ্গিক হবে। তিনি বলেন, “কতিপয় উন্নয়ন অর্থনীতিবিদগণ যাকে ‘monoeconomics’ বলেন অর্থাৎ যে সকল নীতি উন্নত ও অনুন্নত দেশে একইভাবে প্রযোজ্য- আমি তাতে বিশ্বাস করি। কিন্তু monoeconomics অনুসরণ করলেও সকল দেশের নীতি নির্ধারণের পরিপ্রেক্ষিত এক হবে এমন কথা নেই।” (M. Meier সম্পাদিত. Pioneers in Development, দ্বিতীয় সিরিজ (১৯৮৭), পৃষ্ঠা ৫৩ এ উল্লিখিত Gottfried Haberler, Liberal and Illiberal Development Policy).

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন