hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

৭০
আপষকামী নীতি
গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের মতাদর্শ সফলতার মুখ দেখতে পায়নি। বাজেট ঘাটতি ও করের গুরুভারের কারণে এর কৌশল ও পদ্ধতি আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। পরবর্তী পরিচ্ছেদে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এ কারণে আবেদন হারিয়েছে। যেসব দেশে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র শক্তি অর্জন করেছে, সেখানে ‘নব্য ডানপন্থীদের’ পুনরুত্থান ঘটেছে; সমাজতন্ত্র বিরোধীরা ভোটারদের সহানুভূতি লাভ করতে সক্ষাম হয়েছে।

ফলশ্রুতিতে ১৯৮৩ এবং ১৯৮৭ সালে বৃটিশ লেবার পার্টি ১৯২৯ সালে চেয়েও প্রকট অর্থনৈতিক মন্দার জন্যে দায়ী রক্ষণশীল দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনে জয়ের জন্যে তিন মিলিয়ন বেকারের ইস্যুকে ব্যবহারে লেবার পার্টির ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ইকনোমিস্ট’ ঘোষণা করে ক্রমবর্ধমান সরকারি ব্যয়ের সুবর্ণ যুগের বৈপ্লবিক ও উদার দানশীল মতবাদ সমাজতন্ত্রকে এখন পুরাতন ও সেকেলের বলে মনে হয়; সমাজতন্ত্র উত্তর ভবিষ্যতের ইউরোপের কাছে সমাজতন্ত্র আর কোনো আবেদন রাখে না।

আবার কতিপয় প্রথম সারির সমাজচিন্তাবিদ সম্পদ ও মুনাফার ব্যক্তি মালিকানাসহ ধনতন্ত্রের মৌল স্তম্ভগুলোর উপর সমাজতন্ত্রীদের আক্রমণের সারবত্তাকে প্রশ্ন করেছেন। ‘ফিউচার অব সোসালিজম’ গ্রন্থে ক্রসল্যন্ড মন্তব্য করেছেন, ‘মালিকানার ভিত্তিতে ধনতন্ত্রের সংজ্ঞা এবং একশত বছর পূর্বে ধনতন্ত্র কল্যাণকর ছিলো কিনা এ প্রশ্ন বর্তমান সকল তাৎপর্য হারিয়েছে, কেননা শুধু মালিকানা দ্বারা এখন আর সামাজিক সম্পর্কের সমগ্র প্রেক্ষাপট নির্মিত হয়না। রাজনৈতিক ব্যবস্থা এ সমাজের আন্তঃসম্পর্ক ও ন্যায়পরতার নিরিখে সমাজকে বিচার করা এখন বরং অধিক প্রাসঙ্গিক। জাতীয়করণ এখন আর গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত নয়। ফলে বৃটিশ এবং বহু ইউরোপীয় সমাজতন্ত্রী দল এখন নামে মাত্র যৌথ প্রথার সমর্থক। সমাজের উন্নয়ন ও দক্ষতার উপর মুনাফর প্রভাব এখন অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। তাই ক্রসল্যান্ড মন্তব্য করেন যে, ‘এটা চিন্তা করা ভুল যে মুনাফার সাথে পুঁজিবাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। পুঁজিবাদ বা সমাজতন্ত্রী যে, কোনো গতিশীল ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মুনাফা ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্যে অপরিহার্য ভিত্তি’। তাই ‘নোভাকের’ মন্তব্যের সাথ একমত হওয়া যায় যে ‘তত্ত্ব ও কার্য উভয় ক্ষেত্রে সমাজতন্ত্রীগণ পশ্চাৎপসরণ করেছে’। এমনকি সুইডেনের অর্থমন্ত্রী কিয়েল আরোফ ফেলট বলেন, আমাদের ধনতন্ত্র বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত হবার প্রয়োজন নেই। ধনতন্ত্রের অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু তার কোনো উপযুক্ত বিকল্প নেই।

আর যদি সমাজতন্ত্র সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানা ও মুনাফাকে স্বীকার করে নেয়, তাহলে ধনতন্ত্র থেকে সমাজতন্ত্রের পার্থক্য নিরূপণের কি মানদণ্ড অবশিষ্ট থাকে, বিশেষত যখন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রে আয়ের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ও সামাজিক শ্রেণী বিভক্তি প্রাধান্য বিস্তার করে? এমনকি ডানপন্থীরাও এখন রাষ্ট্র কর্তৃক অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহের সরবরাহের সমর্থক। ট্রেড ইউনিয়নের প্রতি দৃঢ় সমর্থ তাই গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বেকারত্বের বর্তমান উচ্চহারের কারণে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের শক্তি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন এখন আর ‘ক্ষমতার সম্পর্ক বিন্যাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সমর্থ নয়। তাই উইলিয়াম ফাফ মন্তব্য করেন, উদারননৈতিক বামপন্থী বা রক্ষণশীল বামপন্থী কারো নিকট এখন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বৃহৎ কোনো কর্মসূচি নেই। আরভিং হাউই আরো দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘সমাজতন্ত্র দ্বারা এখন আর দারিদ্র্য দূরীকরণ বা শিল্পসমূহের জাতীয়করণ বুঝায়না’। আইনসংগতভাবে ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টায় এক নির্বাচনী রাজনীতির প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে এতো বেশি আপোস করতে হয় যে, তার প্রাণশক্তি ও মৌলিক পরিবর্তন সাধনের নিজস্ব ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে- সেই পরিবর্তন যা চরিত্রকে পাল্টিয়ে দিতে পারে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী চাইলেই গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রকে সমর্থনের ক্ষেত্রে দোদুল্যমানতা দেখিয়েছে। এ আন্দোলন সুদৃঢ় শেকড় গাড়তে বাধ্য হয়েছে। এখনো এটা জনগণের খেয়াল বা শখের কাছে করুণা প্রার্থী। রক্ষণশীল বা সমাজতন্ত্রী দলের নেতৃত্বের শক্তির উপর এ দলগুলোর বিজয় নির্ভরশীল। জনগণ এ মতবাদের জন্যে দৃঢ় কদমে দাঁড়িয়ে জীবন মরণ লড়াই করতে রাজি নয়, যেমনভাবে তারা করে থাকে ধর্মীয় মতাদর্শের ক্ষেত্রে। জনচিত্তের এ ধরণের দোদুল্যমান অবস্থা কি গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের বিজয়কে নিশ্চিত করতে পারে? অপরদিকে বিপ্লবও কোনো সমাধান নয়। রাশিয়া এবং চীনের বিপ্লব অযুত-লক্ষ লোকের হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, পেছনে রেখে গেছে এমন তিক্ত স্মৃতি যা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সম্পর্কে সজাগ কোনো মানুষেরই সমর্থন লাভ করতে পারেনা। এমনকি যেসব উন্নয়নশীল দেশে বিপ্লব বা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে মানবতার যা কিছু আদি অতিহ্য ছিল তার উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন