hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

৭৮
উচ্চমাত্রার কর এবং ঘাটতি
সরকার কর্তৃক কর আদায় বা ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমেই সরকারি ব্যয় বাড়ানো যেতে পারে। ওইসিডি দেশসমূহে করের পরিমাণ ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ছে। এ দেশসমূহে ১৯৬০ সালে যে করের পরিমাণ ছিল জাতীয় আয়ের ২৭.৭%, তা ১৯৮৮ সালে ৩৮.৪% এ পরিণত হয়েছে। সর্বোচ্চ মাত্রা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ২৯.৮% ও তুরস্ক ২২.৯%। ফলে ‘Welfare State Backlash’ অভিধায় অভিষিক্ত কর-বিরোধী এক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

যেহেতু এ Backlash এর কারণে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সাথে কর বৃদ্ধি করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই ঘাটতি পূরণের জন্য ঋণ গ্রহণের উপর সরকারকে অধিকতর নির্ভরশীল হতে হয়েছে। ১৯৬০ সালে ওইসিডি দেশসমূহের বাজেট উদ্বৃত্ত ছিল জিডিপির ১.৩%। ১৯৮৪ সালে বাজেট ঘাটতি দাঁড়ায় জিডিপি’র ২%। বড় বাজেট ঘাটতির নানা প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ নিরুৎসাহ বাজেট ঘাটতির অন্যতম বিরূপ প্রতিক্রিয়া। বাজেট ঘাটতি সরকারি সুদ পরিশোধের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়। ১৯৭৫ সালে সরকারি সুদের পরিমাণ ছিল সরকারি ব্যয়ের ৫%, যা ১৯৮২ সালে ১০% এ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু সরকারি ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, তাই সুদের হার যদি হ্রাস পেত তবে ঋণের ভার কিছুটা লঘব হতো। কিন্তু ১৯৮৮ সাল হতে সুদের হার বেড়েই চলেছে।

ক্রমবর্ধমান সরকারি ব্যয় যোগান দেবার জন্য উচ্চহারের কর ও ঋণের দ্বারস্থ হওয়া তাই সকল কল্যাণ রাষ্ট্রে সরকারি ব্যয়-ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নের একটি সমস্যাকীর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর দিক হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এ ঘাটতি আরো বেসরকারি খাতের সঞ্চয়কেই শুধু শুষে নেয়া হয়নি, বরং বৈদেশিক ঋণেরও দ্বারস্থ হতে হয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র বেসরকারি খাতের বিনিয়োগই ব্যাহত হয়নি, প্রথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে ঋণগ্রস্থ দেশে পরিণত হয়েছে। যদি ঘাটতি অব্যাহত থাকে তবে বিদেশী পুঁজি আকর্ষণের জন্য সুদের উচ্চ হার বজায় রাখতে হবে যা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও চলতি হিসেবকেই ক্ষতিগ্রস্থ করবে না, অন্যান্য দেশসমূহ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশকেও ক্ষতিগ্রস্থ করবে। সুদের হার বৃদ্ধির ফলে এদর ঋণের সুদ পরিশোধের বোঝা বেড়ে যাবে এবং অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় হতে উন্নয়নের অর্থ যোগান দেয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন