hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

৮২
(ঙ) উচ্চ প্রবৃদ্ধি
কল্যাণ রাষ্ট্রের ইতঃপূর্বে আলোচিত ব্যবস্থাসমূহ আয় ও সম্পদের বৈষম্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য কোনো ভুমিকা রাখতে পারেনি। তেমনি উচ্চ প্রবৃদ্ধির কৌশলও অধিকতর কোনো অগ্রগতি সাধন করতে সমর্থ হয়নি। কল্যাণ রাষ্ট্রের কর্মকৌশলে উচ্চ প্রবৃদ্ধিই হচ্ছে একমাত্র অস্ত্র, যা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, ফলে তা সার্বজনীন সমর্থন লাভ করে। যেহেতু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে দীর্ঘকালীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণাটি গতি লাভ করেছিল, তাই প্রবৃদ্ধিই শেষতক শ্রেণীহীন সমাজ রচনায় সক্ষম হবে মর্মে গভীর আস্থা প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রকৃত প্রস্তাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এডহক অঙ্গ হিসেবে সামাজিক কর্মসূচিগুলো কাজ করছিল। কিছু কিছু লেখক প্রবৃদ্ধি ছাড়া পুনর্বণ্টনকে সামঞ্জস্যহী বলে অভিহিত করেছেন। এমনকি এস্থনি ক্রশল্যাল্ড এর মতো বিখ্যাত সমাজতন্ত্রীও অনুভব করেছেন যে, প্রবৃদ্ধি অর্জনই পুনর্বণ্টনের জন্য একমাত্র কার্যকর পন্থা। কেননা আয়ের যে কোনো উল্লেখযোগ্য হস্তান্তরের ফলে জনসংখ্যার অধিকতর স্বচ্ছল অংশের প্রকৃত আয় হ্রাস পাবে এবং এর ফলে তাদের মাঝে হতাশার সঞ্চার হবে। কিছু বিখ্যাত নীতি নির্ধারক উপদেষ্টা আরো দ্রুততর প্রবৃদ্ধিকেই উন্নয়নশীল ও উন্নত নির্বিশেষে সকল দেশের সকল সমস্যার সমাধান বলে মনে করেন।

যাই হোক, দু’দশক যাবত উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার এবং ক্রমবর্ধমান সম্পদ দারিদ্র্য দূরীকরণ, প্রয়োজন পূরণ ও বৈষম্য হ্রাসে ব্যর্থ হয়েছে। অধিকতর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র বলে পরিচিত পশ্চিম জাম্রআনী, যুক্তরাজ্য ও জাপান নির্বিশেষে বিশ্বের সকল ধনী রাষ্ট্রে দরিদ্র জনগণের কিছু অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গৃহায়ন চাহিদা পূরণ হয়নি। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রব্যসামগ্রীর যে সয়লাব বয়ে এনেছে, তা মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে কোনো অবদান রাখতে পারেনি। একটি সামগ্রিক বিশৃঙ্খলার লক্ষণসমূহ ক্রমবর্ধমান প্রকাশ লাভ করছে। মিশান এর ভাষায় সর্বত্র স্থিতি ও পরিমিতির বদলে অস্থিরতা ও অপরিমিতি বিরাজ করছে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি এরূপ ক্রমাগত ধেয়ে চলা পুনর্বণ্টন লক্ষ্য অর্জনে যেমন সহায়তা করেনি, তেমনি অপরদিকে প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি ও বেসরকারি খাতে ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সুদের হার ও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উচ্চহারের প্রবৃদ্ধির ধারণাটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। World Commission on Environment and Development (ব্রান্ড-ল্যান্ড কমিশন) ১৯৮৭ সাল থেকে ‘টেকসই’ উন্নয়নের ধারণাটি জনপ্রিয় করে তুলেছে। টেকসই উন্নয়নের ধারণা আন্তঃপ্রজন্ম ও অন্তঃপ্রজন্ম ন্যায়পরতাকে ক্ষুণ্ণ না করে উন্নয়নের উপর জোর প্রদান করে। তবে ন্যায়পরতা ক্ষুণ্ণকারী কিছু উপাদান, যেমন উচ্চমাত্রার মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ, দূষণ ও অনবায়নযোগ্য সম্পদের ক্ষয় যদি বিবেচনায় আনা হয়, তবে ‘টেকসই’ উন্নয়নের কোনো উজ্জ্বল ছবির পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়।

অদূর ভবিষ্যতে শিল্পোন্নত দেশগুলোতে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল তার পুনরাবৃত্তি ঘটানো সম্ভব নয়। আইএমএফ এর হিসেব অনুযায়ী ৯০ দশকের প্রথমার্ধে প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ৩% হতে পারে। এ ধরনের অবস্থার প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নির্ভর করে সামষ্টিক ও বৈদেশিক অন্যায়পরায়নতা ও পুনর্বণ্টন সমস্যার সমাধান আশা করা যায় না। তাই সময়ের দাবি হচ্ছে কার্যকর নতুন কোনো কৌশল উদ্ভাবন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন