hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

১২০
আদল (ন্যায়বিচার)
তাওহীদ ও খিলাফতের ধারণার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ভ্রাতৃত্বের সঙ্গে আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার না থাকলে তা একটি অন্তঃসারশূন্য ফাঁপা ধারণায় পর্যবসিত হবে। ন্যায়বিচারকে ইসলামী আইনশাস্ত্রবিদগণ মাকাসিদ আল-শরীয়াহরও প্রশ্নাতীতভাবে অপরিহার্য উপাদান বলে মনে করেছেন। এ ব্যাপারে তারা এতই গুরুত্ব দিয়েছেন যে, ন্যায়বিচারহীন কোনো সমাজকে একটি আদর্শ মুসলিম সমাজ হিসেবে কল্পনা করাই অসম্ভব। মানব সমাজ থেকে জুলুমের সকল দিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যের ব্যাপারে ইসলাম দ্ব্যর্থহীন। ইসলামের পরিভাষায় জুলুমকে সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, শোষণ, নির্যাতন ও অপকর্মের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এর সাহায্যেই একজন ব্যক্তি অন্য সকলকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অথবা তাদের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করে না।

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও সকল প্রকার অবিচার নির্মূল করাকে কোরআনে আল্লাহর রাসূলগণের প্রধান লক্ষ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে (কোরআন-৫৭:২৫)। কম করে হলেও কোরআনে প্রায় শতাধিক স্থানে ন্যায়বিচারের দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করা হয়েছে; কোথাও প্রত্যক্ষভাবে আদল, কিশত, মিজানের মতো শব্দ দ্বারা অথবা বিভিন্ন প্রকার পরোক্ষ বর্ণনা ও বর্ণনাভঙ্গির সাহায্যে। এছাড়া, জুলুম, ইজম, দালাল বা অন্যান্য শব্দের মতো শব্দসমষ্টি ব্যবহারের মাধ্যমে অবিচারের বিরুদ্ধে কোরআনে দুই শতাধিক স্থানে তিরস্কার করা হয়েছে। মূলত ইসলামী বিশ্বাসের গুরুত্ব অনুসারে কোরআনে ন্যায়বিচারকে আল্লাহ ভীতির পরেই স্থান দেয়া হয়েছে (কোরআন-৫:৮)। আল্লাহ ভীতিই স্বভাবত সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এর কারণে মানুষ ন্যায়বিচারসহ সকল ভালো কাজে প্রবৃত্ত হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ন্যায়বিচারের উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন। তিনি ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতিকে নিশ্ছিদ্র অন্ধকারাচ্ছন্নতার সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ‘অবিচার থেকে সতর্ক হও, কারণ শেষ বিচারের দিনে তা গহীন অন্ধকারে নিয়ে যাবে’। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ইবনে তাইমিয়া এতদূর পর্যন্ত বলেছেন যে, ‘অবিশ্বাসী হলেও আল্লাহ ন্যায়বিচারকারী রাষ্ট্রকে রক্ষা করবেন এবং বিশ্বাসী হলেও অন্যায় আচরণকারী রাষ্ট্রকে রক্ষা করবেন না এবং বিশ্ব অবিশ্বাস ও ন্যায়বিচার নিয়ে টিকে থাকতে পারে, কিন্তু ইসলাম অবিচার নিয়ে টিকে থাকতে পারে না’। ইসলাম ও অবিচার পরস্পর বিরোধী এবং যে কোনো একটির দুর্বল বা নির্মূল হওয়া ছাড়া একসঙ্গে চলতে পারে না। ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়বিচারের প্রতি ইসলামের দৃঢ় অঙ্গীকারের দাবি হচ্ছে, মানবসত্তার নিকট গচ্ছিত আল্লাহর পবিত্র আমানত সকল সম্পদকে মাকাসিদ আল শরীয়াহর লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করতে হবে।

শরীয়াহ সম্পর্কে আলোচনার কাঠামোর মধ্যে চারটি বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে:

(১) চাহিদা,

(২) আয়ের সম্মানজনক উৎস,

(৩) সম্পদ ও আয়ের ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন এবং

(৪) প্রবৃদ্ধি ও স্থিতি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন