hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

২১৮
কাজের গুরুত্ব ও ত্বরা
অতএব উপসংহারে বলা যায়, অর্থনীতি ও সমাজের ইসলামীকরণ ব্যতিরেকে ইসলাম যে ধরনের উন্নয়ন কল্পনা করে, মুসলিম দেশগুলোর পক্ষে ভারসাম্যহীনতা দূরীকরণের সাহায্যে তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। মুসলিম দেশগুলোর পক্ষে ভারসাম্যহীনতা দূরীকরণের সাহায্যে তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। মুসলিম সরকারগুলো এ পর্যন্ত ইসলামকে কেবলমাত্র শ্লোগান হিসেবে ব্যবহার করেছে, ব্যর্থ হয়েছে তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে এবং সামাজিক ও অর্থনীতির উন্নতিতে যে ইতিবাচক অবদান ইসলাম রাখতে পারে তা অর্জনে। খুরশীদ আহমদ যথার্থই উল্লেখ করেছেন, ‘এমন কোনো প্রমাণ নেই যা থেকে সাধারণভাবে বলা যায় যে, নীতিনির্ধারকরা ইসলাম থেকে সত্যিকার অর্থে কোনো উৎসাহ নিয়েছেন এবং তার অর্থনৈতিক আদর্শসমূহকে উন্নয়ন নীতিতে বাস্তবায়িত করেছেন’। এমনকি দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিতে পরিবর্তন সত্ত্বেও সমন্বয় পুনর্গঠনের কাজ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হতে বাধ্য। নীতিনির্ধারকগণ যত তাড়াতাড়ি সময়ের চিহ্ন পড়বেন ততই তা তাদের ও উম্মাহর জন্য কল্যাণকর হবে।

যাইহোক, সেকুলার দৃষ্টিভঙ্গিতে ইসলামীকরণ সামান্য সমন্বয়ের চেয়ে আরো কঠিন কাজ। এতে আরো জোরদার ও সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। তথাপি সাধারণ জনগণ তার জন্য আবেগপ্রবণভাবে প্রস্তুত বলে মনে হয়। কারণ তাদের বিশ্বাস এটা দীর্ঘমেয়াদী কল্যাণ সাধন করতে পারবে। কায়েমী স্বার্থবাদী লোকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সরকারগুলো নিজেরাই নিজেদের প্রধান প্রতিবন্ধক। ইসলাম যে আর্থ-সামাজিক পুনর্গঠনের কথা বলে, তা তাদের স্বল্পমেয়াদী স্বার্থকে (দীর্ঘমেয়াদী নয়) শংকাগ্রস্ত করে তোলে। এটাই অন্যতম কারণ, যে জন্যে গণতন্ত্রকে পর্যন্ত এসব দেশে শিকড় গাড়তে দেয়া হয়নি। গণতন্ত্র সরকারগুলোকে ইসলামীকরণে বাধ্য করত।

বিশেষ সুবিধাভোগী লোকদেরকে অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, তারা ইসলামের মানবতাবাদী ধারণার মহাকর্ষীয় আকর্ষণকে দৃঢ় জনসমর্থন অর্জনে বেশি দিন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। মুসলিম দেশসমূহে ইসলামী পুনর্জাগরণ আন্দোলন যে গতি লাভ করেছে তা অবশ্যই আরো গতি সঞ্চার করবে এবং প্রতিরোধের সকল শক্তি মোকাবিলা করবে। সুবিধাভোগী শক্তি শেষ পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন হবে; যেমন কোরআনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ”ফেনা তো শুকিয়ে খতম হয়ে যায় এবং যা মানুষের উপকারে আসে তা অবশিষ্ট থাকে” (১৩:১৭)। একইভাবে কেইনস মন্তব্য করেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে চিন্তদারা যেভাবে ধীরে ধীরে জায়গা দখল করে, তার তুলনায় সুবিধাভোগী শ্রেণীর শক্তিকে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। অবশ্যই এখনি নয়, তবে কিছু বিরতির পর সুবিধাভোগী শ্রেণী নয়, বরং চিন্তাধারাই ভালো বা মন্দের জন্যে মারাত্মক হবে’। অতএব ধনী ও শক্তিশালী শ্রেণীর দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থেই উচিত হবে সমাজ সংস্কারের প্রবল স্রোতকে বাধা না দেয়া, বরং সংস্কারকে মেনে নেয়া।

তবে ইসলামীকরণকে মুসলিম দেশসমূহের সকল সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবে ধরে নেয়া ঠিক হবে না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক অধঃপতন, বিপথগামী ঘরোয়া নীতিসমূহ এবং অসুস্থ বহিঃপ্রভাবসৃষ্ট সমস্যাসমূহের কিছু কিছু অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করবে এবং এও অবশ্যই উপলদ্ধি করতে হবে যে, ইসলামীকরণ একটি পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়া যা শক্তি প্রয়োগ বা কড়াকড়ি করে তাৎক্ষণিকভাবে অর্জন করা যায় না। আল-কোরআনের প্রক্রিয়ায় (১৬:১২৫) ‘জ্ঞান ও বোধই হতে হবে ইসলামীকরণের স্তম্ভ। এমনকি নবী করীম (ﷺ) নিজে উদাহরণের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তনকে উৎসাহিত করেছেন।

দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ মুসলিম দেশ ইতোমধ্যেই যে পর্যায়ে উপনীত হয়েছে এবং এর ফলে দারিদ্র্য, অসমতা, অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, বৈদেশিক ভারসাম্যহীনতা ও বিরাট বৈদেশিক ঋণের জন্ম দিয়েছে তাতে খুব বেশি সময় দেয়ার সুযোগ নেই। এমনকি যদি উল্লেখযোগ্য নীতিনির্ধরাণী উদ্যোগও গৃহীত হয়, যে বৈষম্য ও ভারসাম্যহীনতা রয়েছে তা অবিলম্বে উল্টিয়ে ফেলা যাবে না। তাছাড়া সোভিয়েত হুমকির হ্রাস মুসলিম দেশগুলোর কৌশলগত গুরুত্ব এবং ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক সাহায্যের আগমন কমিয়ে দিতে পারে। এতে মুসলিম দেশগুলোর জন্য আর্থ-সামাজিক সংস্কারে গুরুত্ব সহকারে মনোনিবেশ করা আরো জরুরি হয়ে পড়েছে তাদের অধিকতর ইতিবাচক ও দৃঢ় ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে। যত আন্তরিকতা ও দৃঢ়তার সাথে তারা এ ভূমিকা পালন করবে এবং সামাজিক পরিবর্তনের জন্য যত বেশি সক্রিয় সমাজ সংস্কার কাজে নিয়োজিত সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে, রূপান্তরের জন্য সময় লাগবে তত কম। পবিত্র কোরআনে যেভাব বলা হয়েছে তা থেকে তাদের অবশ্যই উৎসাহ গ্রহণ করতে হবে।

“যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সঙ্গে আছেন” (২৯:৬৯)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন