hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

৬২
পুনর্গঠনের জটিলতা
‘নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে এলোমেলোভাবে বাজার অর্থনীতির কিছু দিক সংযোজনের চেষ্টা টেলিফোনের খুঁটিতে আঙ্গুর গাছের কলম লাগানোর প্রচেষ্টার মতোই ব্যর্থ হয়েছে’।

-জর্জ আর্বাতভ।

অবাস্তব চিন্তাধারার কারণে মার্কসবাদ যা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সমাজতন্ত্রীদের উপর ব্যাপক বুদ্ধিবৃত্তিক প্রভাব বিস্তার করেছিল, ক্রমান্বয়ে তা ক্রমবর্ধমান হারে আক্রমণের সম্মুখীন হলো। সংশোধনবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠল এবং মার্কবাদকে প্রায় ধ্বসিয়ে দিলো। সোভিয়েত অর্থনীতিবিদদের মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে এ উপলব্ধি সৃষ্টি হলো যে, সোভিয়েত অর্থনীতির ব্যাপক সংস্কার অত্যাবশ্যক। সোভিয়েত নেতৃত্ব রাজনৈতিক সংস্কারের অপরিহার্যতার উপর জোর দিতে লাগলেন, যা মিখাইল গর্বাচেভ প্রবর্তিত ‘গ্লাসনস্ত’ ও ‘পেরেস্ত্রয়কা’ ধারণার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হলো। কিন্তু সমস্যা হলো, এখনো এটা কারো কাছে সুস্পষ্ট নয় যে, সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে তাদের বিঘোষিত অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্যে কতটুকু সংস্কার ও পুনর্গঠনের প্রয়োজন। যুক্তি প্রদর্শন করা হয় যে, ব্যক্তিগত সম্পত্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিকেন্দ্রীকরণ ও পেরেস্ত্রয়কার প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টিকরণ প্রয়োজন। তা হচ্ছে বিকেন্দ্রীকরণ, প্রতিযোগিতা, মূল্য সংস্কার, বিরাষ্ট্রীয়করণ এবং সম্পত্তি অধিকারের ক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি নিজস্ব পরিচিত সম্পূর্ণ না হারিয়ে কতটুকু ছাড় দিতে প্রস্তুত। খণ্ড খণ্ড পরিবর্তন ও সুচিন্তিত ভিতহীন সংস্কার প্রচেষ্টা যেমন অকার্যকর হবে, তেমনি পুঁজিবাদের দিকে ত্বরিৎ যাত্রা প্রয়োজনীয় অবস্থার অনুকূল পরিবেশের অভাবে বর্তমান আর্থ-সামাজিক বৈষম্যকে আরো অবনতিশীল করে তুলবে মাত্র এবং সমাজতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্যের কফিনে শেষ পেরেক পুতে দেবে। প্রশ্ন হলো, সমাজতন্ত্রেও গায়ে ইতোমধ্যে ব্যর্থ পুঁজিবাদের কিছু উপাদান লেপনের মাধ্যমে সেই কাংখিত বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা কী সম্ভব, যা বিদ্যমান অর্থনৈতিক সমস্যা ও সামাজিক অস্থিতিশীলতাকে অতিক্রম করে সমাজতন্ত্রের বিঘোষিত লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করবে? দুর্ভাগ্যক্রমে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির পুনর্গঠনের বিতর্কে পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক উভয় বিশ্বের বুদ্ধিজীবী মহল একটি মৌলিক বিষয়কে ভুলে যাচ্ছেন এবং তা হচ্ছে এ পুনর্গঠনের জন্যে মূলত সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব দৃষ্টিভংগির নিজস্ব আদলেরই পরিবর্তন প্রয়োজন। আর্থ-সামাজিক পুনর্গঠন ও এর পেছনে প্রয়োজনীয় প্রেরণার ক্ষেত্রে নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির যে ভূমিকা রয়েছে, উপযুক্ত বিতর্কে তাকে সামান্যতম স্থানও প্রদান করা হয়নি, যেন এটা কোনো গুরুত্বই বহন করেনা।

এটা উপলব্ধি করা হয়নি যে, সমাজতান্ত্রিক দেশে ভোগ্য পণ্য ঘাটতির জন্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও বাজার মূল্যের অস্তিত্বহীনতাই যদি শুধুমাত্র দায়ী হয়, তবে পুঁজিবাদী দেশসমূহে ভোগ্য পণ্যের লক্ষ্য পূরণে সফল হবার কথা ছিলো। কিন্তু এ প্রয়োজন পূরণ কখনোই সম্ভব নয়, যতক্ষণ না এ খাতে প্রয়োজনীয় বিপুল সম্পদ বরাদ্দ করা হয়। ভোগ্য পণ্য খাতে প্রয়োজনীয় বাড়তি সম্পদের স্থানান্তর মানেই অন্য খাতসমূহ যথা প্রতিরক্ষা, মহাকাশ কর্মসূচি, ভারী শিল্প, মর্যাদাবৃদ্ধির খাত, এলিট শ্রেণীর জন্যে বিলাস সামগ্রী উৎপান এবং অন্যান্য বহু অর্থনৈতিক খাতসহ যেসব ভৌগোলিক এলাকা সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা ভোগ করে আসছে তাতে কম বরাদ্দ, সম্পদের এরূপ পুনর্বিন্যাস সহজ কাজ নয়। এর জন্যে শুধু সামাজিকভাবে সম্মত মানদণ্ডই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সুবিধাভোগী শ্রেণী ও এলাকার পক্ষ হতে ত্যাগ স্বীকারের শক্তিশালী প্রেরণা ও ইচ্ছা। ‘জীবন মাত্র একটিই -এ বিশ্বাসে বিশ্বাসী উপযুক্ত ভোগবাদীরা কেন এটা করতে যাবে? যদি উল্লিখিত অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করা না হয়, তবে বাড়তি সম্পদ কোথা থেকে আসবে? মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি? এটা সৃষ্টি করবে সীমিত সম্পদের উপর বাড়তি চাহিদা এবং সামাজিক অর্থনৈতিক ন্যায়পরতা, যার মুখোমোখি দাঁড়িয়ে আছে বর্তমানে পুঁজিবাদী ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সমূহ। ক্ষতিকর রাজস্ব ঘাটতি হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা মনে রাখলে এ সমস্যার ব্যাপ্তি হৃদয়ঙ্গম করা আরো সহজ হবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ছিলো ১৯৮০-৮৫ সালে ৩% এর কম। তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৮৭ সালে হয়েছে প্রায় ৭% এবং ১৯৮৮ সালে ১৪%। ভোগ্যপণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত না করে এটা কী করে কমানো যাবে। এ জটিল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব হয়নি। সরকারি ঋণের মাধ্যমে যদি এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়, তবে আগামি কয়েক বছরের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ঋণগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশসমূহের মতো ঋণের সুদ পরিশোধের তীব্র সমস্যায় নিপতিত হবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সামনে রয়েছে তাই অর্থনীতি পুনর্গঠনের পর্বত প্রমাণ কঠিন কাজ এবং তা তাকে করতে হবে ক্রমবর্ধমান ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বিকাশের যুগে অন্ধ ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থতার মুখে লাগাম পরানোর কোনো হাতিয়ারের যোগন ছাড়াই সবার চাহিদা পূরণের মাধ্যমে; বেকারত্ব না বাড়িয়ে বাজেট ঘাটতি হ্রাসের মাধ্যমে; মূল্যবৃদ্ধির প্লেগ আক্রান্ত অর্থনীতিতে বাস্তবসম্মত মূল্য কাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে। বাস্তবভিত্তিক পণ্য মূল্য ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার প্রবর্তন এবং জন বাজেট ঘাটতি হ্রাসের জন্যে ভর্তুকি কমানো মানেই পৃষ্ঠপোষকতার বর্তমান ব্যবস্থার অবসান, যেখানে উৎপাদন ও আমদানি ব্যয়ের সাথে খুচরা মূল্যের কোনো সম্পর্ক নেই, যেথায় অন্তত তাত্ত্বিকভাবে সস্তা খাদ্য, বস্ত্র, ও বাসস্থানের ব্যবস্থা আছে এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত বলে ধরে নেয়া হয়। বাস্তবভিত্তিক মূল্য প্রবর্তনের ফলে অবশ্যম্ভাবীরূপে দেখা দেবে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিক্রিয়া। যদি মজুরি ও পেনশন যুগপৎ বৃদ্ধি করা না হয়, তাহলে সর্বসাধারণ বিশেষতদরিদ্র শ্রেণীর জীবনযাত্রার মান তীব্রভাবে হ্রাস পাবে। ফলে গ্লাসনস্ত বা খোলামেলা সমালোচনার পরিবেশের প্রেক্ষিতে সামাজিকও রাজনৈতিক অীস্থতিশীলতা দেখা দেবে। আবার মূল্যবৃদ্ধির সাথে মজুরি বৃদ্ধি পেরেস্ত্রয়কা বা সংস্কার প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দেবে। পেরেস্ত্রয়কা দাবি করে যে, মজুরি বৃদ্ধি ঘটবেনা বা সে বৃদ্ধি আনুপাতিক হারে হবেনা। মজুরি নির্ধারণ করা হলোমূল্য ও মজুরি পরিবর্তন দ্বারা কিছু শ্রমিক অন্যদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে প্রকৃত আয়ের ব্যবধান বৃদ্ধি পেয়ে অধিকতর আয় ও সম্পদ বৈষম্যের সৃষ্টি হবে এবং গণচীনের মতো সামাজিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হতে পারে। বাজার অর্থনীতিতে এ ধরণের পরিবর্তন অল্প মাত্রায় প্রতি বছরই সংঘটিত হয়। কিন্তু তা দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে নজরে পড়েনা, যেরূপ জাজ্বল্যমানভাবে দৃষ্টিগোচর হবে সমাজতান্ত্রিক দেশে, যেখানে উপর্যুপরি দশরে ভ্রান্তি কয়েক বছরে অপনোদনের চেষ্টা নেয়া হবে। ফলে পৃথিবীর যে কোনো অর্থনীতির চেয়ে বিরাষ্ট্রীয়করণকৃত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে নৈতিক পুনর্জাগরণ ও আর্থ-সামাজিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। অধিকন্তু অধিক দক্ষতার আশা কখনো বাস্তবায়িত হবেনা, যদি প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদন উপকরণের মান, পরিমাণ ও উৎস নির্ধারণ এবং কর্মচারীদের কর্মসম্পাদনের ভিত্তিতে নিয়োগ ও বরখাস্তের স্বাধীনতা না থাকে। নিশ্চিত বাজারের যে সুবিধা বর্তমানে প্রতিষ্ঠানসমূহ ভোগ করছে, সে সুবিধা সম্ভবত প্রত্যাহার করতে হবে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান লোকসানের মুখোমুখি হবে। দক্ষতা অর্জনের জন্যে তাদেরকে শ্রমিক ছাঁটাই করতে হবে, যার ফলে দেখা দেবে বেকারত্ব। যেহেতু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিশালাকারের, লোকসানকারী এমনসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ফলে সৃষ্ট সমস্যা বিশেষত বেকারত্বের পরিমাণ হবে বিশালাকৃতির। বাজারব্যবস্থার দিকে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট সমস্যাবলী সামাল দেবার জন্যে সোভিয়েত ব্যবস্থা উপযুক্ত নয়। যে পর্যন্ত সোভিয়েত বাজারব্যবস্থার পৃষ্ঠপোষকতার ধারা ও আচরণ অব্যাবহত থাকবে, ততদিন বাজারব্যবস্থার আংশিক পুনরুজ্জীবন স্ববিরোধী বিষয়ে পরিণত হবে। পরিণত হবে। অধিকতর দক্ষতা অর্জনের জন্যে যদি যৌথ মালিকানা, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাসহ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্যসমূহ পরিত্যাগ করা হয়, তবে সমাজতন্ত্রের আলাদা ব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত হবার আর কী-ই বা অবশিষ্ট থাকে? বিরাষ্ট্রীয়করণের প্রশ্নটিও সমস্যাসংকুল। যেহেতু জাতীয়করণকৃত সকল সম্পদের মালিকানা সমগ্র জনগণের, তাই বিরাষ্ট্রীয়করণের মাধ্যমে কারো কাছে সম্পত্তির অধিকার হস্তান্তর প্রক্রিয়াও ইনসাফভিত্তিক হওয়া দরকার। এর জন্যে এ পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট ও স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে বলে মনে হয়না।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খামার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে শেয়ারভিত্তিক ব্যবস্থার মাধ্যমে হস্তান্তরের একটি ধারণা গড়ে উঠেছে। কিন্তু এরূপ নিলাম সংঘটিত হবার পূর্বে সঠিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রকৃত মূল্য নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন, যা আবার বাজারব্যবস্থা কর্তৃক মূল্য ও লাভের পরিমাণ নির্ণীত হবার সুযোগ না থাকায় একটি সময়সাপেক্ষ ও কঠিন কর্ম। এরূপ মূল্যায়ন ব্যতিরেকে যাদের ভিতরের বিষয়ে জ্ঞান নেই তাদের বিশাল ঝুঁকি নিতে হবে। উপরন্তু এ নিলাম ব্যবস্থার নেতিবাচক দিক হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক যুগে যারা সম্পত্তি পুঞ্জীভূত করতে পেরেছিল, শুধু তারাই এসব শেয়ার কিনতে সক্ষম হবে। ফলে যারা মালিকানাস্বত্ব ব্যতিরেকেই এতোদিন সুবিধাভোগী ছিলো, তারা এখন মালিকানাস্বত্ব লাভের মাধ্যমে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে। তাহলে যাদের নামে সমাজতন্ত্র আনা হয়েছিল এবং যাদের নামে আবার তা ভাঙ্গা হচ্ছে, সেই প্রলেতারীয় শ্রেণী এখন কোথায় যাবে? যাই হোক, সম্পদের মালিকানা যদি জনগণের মধ্যে ন্যায়পরতার সাথে বন্টন করতে হয়, তাহলে জটিল প্রশ্নটি থেকে যায় যে, কীভাবে এটা সম্পাদন করা হবে, কে কিসের মালিকানা লাভ করবে এবং কতটুকু পরিমাণ? যদি শ্রমিকদের তারা যে খামার বা কারখানায় কাজ করছে তার অংশীদারিত্ব প্রদান করা হয়, তাহলে যারা কাজ করছেনা বা কম উৎপাদনশীল খামারে কাজ করছে অথবা এমন কারখানায় কাজ করছে যা দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে বা শিগগিরই ঘোষিত হবে, তাদের বেলায় কী হবে? যদি সবাইকে ক্রয়ের জন্যে কুপণ দেয়া হয়, তাহেল ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া আরম্ভ করার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। এই পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ যা বর্তমান প্রেক্ষিতে বাস্তবায়নযোগ্য নয়। অধিকন্তু যারা অতীতে সম্পদ কুক্ষিগত করতে পেরেছে, তারা ক্রয়ের জন্যে প্রাপ্ত কুপনের সুবাদে অধিকতর সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসবে। ডারউইনীয় বাছাই পদ্ধতিও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গত কয়েকদশকে সোভিয়েত নেতৃত্বের কাঠামো দর্পভরে টিকে থাকার তত্ত্বের ভিত্তিতেই তা নির্ধারিত হয়েছে এবং বর্তমান ব্যবস্থার স্বপক্ষে একটি কায়েমী স্বার্থ তৈরি হয়েই আছে। নৈতিক পুনর্জাগরণ ব্যতিরেকে শুধুমাত্র পেরস্ত্রয়কা নীতির দ্বারা এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মকর্তাগণ বাজারনীতির বাস্তবতা মেনে নিতে মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রস্তুত নাও থাকতে পারে। তাই কলকারখানা ও খামারের অদক্ষ ব্যবস্থাপকদের অপসারণের জন্যে প্রয়াজন হবে নেতৃত্বের কঠোর হস্তক্ষেপ। যেহেতু এতে অসন্তোষ ও অস্থিরতা সৃষ্টি হবে, তাই নেতৃত্বকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে একই সাথে কায়েমী স্বার্থকে শান্ত করার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত হতে হবে। সমাজতন্ত্রের কুফলসমূহ তথা ক্ষমতা ও ব্যবস্থাপনার অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণ, বিশালায়তন প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক অসুবিধা ইত্যাদি দূরীকরণ তাই সহজ কাজ নয়। প্রকৃত প্রস্তাবে ‘সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রত্যেক ব্যক্তির সংস্কারের স্বপক্ষে থাকার, আবার একই সাথে তাকে বিরোধিতা করার কোনো না কোনো কারণ রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন