hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

৪০
স্থিতাবস্থার পক্ষে চুক্তি
প্রচলিত পশ্চিমা অর্থনীতিতে লভ্যাংশ বণ্টনের বিষয়টি বিভিন্ন উৎপাদন খাতে বিভিন্ন উৎপাদন উপকরণের বণ্টনের ন্যায় গুরুত্ব লাভ করেনি। কারণ এটা স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে যে, উৎপাদন উপকরণসমূহের যদি বিভিন্ন উৎপাদন খাতে দক্ষতার সাথে বিলিবণ্টন নিশ্চিত করা যায়, তবে বিভিন্ন উৎপাদন উপকরণসমূহ মোট উৎপাদনে প্রত্যেকে নিজস্ব অবদান অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের প্রাপ্য আয় পেয়ে যাবে। যদি কোনো উৎপাদন উপকরণের আয় উপযুক্ত নীতি অনুযায়ী প্রাপ্ততার চেয়ে কম দেখা যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদে ঠিক মাত্রায় পৌঁছে যাবে। যেহেতু সম্পদ হচ্ছে মানুষের দীর্ঘকালীন সঞ্চয়ের ফসল, তাই অর্থনৈতিক যুক্তি অনুযায়ী সমাজে বিরাজিত বর্তমান সম্পদ বণ্টনের অবস্থানকে ন্যায়সংগত বলা ছাড়া উপায় নেই। অধিকাংশ পশ্চিমা অর্থনীতিবিদ সমাজে সম্পদ বণ্টনের বর্তমান স্থিতাবস্থার পক্ষে অর্থনীতির শাণিত যুক্তি প্রদর্শন করেছেন। স্যামুয়েলসন স্বীকার করেছেন, “সম্পদ ও আয় বণ্টনের নীতি ও তত্ত্ব এখনো স্থিতিশীলতা লাভ করেনি”। অর্থনীতির এরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের অবস্থা কেন বিরাজ করছে সে বিষয়ে সংগতভাবেই প্রশ্ন তোলা যায়। উৎপাদনশীল অবস্থার প্রান্তিক তত্ত্ব মোট উৎপাদনে প্রত্যেক উৎপাদন উপকরণের অবদান বা হিস্যা কতটুকু তা প্রদর্শনের চেষ্ট করেছে। অপরদিকে ‘প্যারিটো অপটিমালিটি’ তত্ত্ব আয় বণ্টনের বর্তমান স্থিতাবস্থার কোনোরূপ পরিবর্তনের চেষ্টাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে বর্ণনা করেছে। এ তত্ত্ব অনুযায়ী আয় ও সম্পদের পুনর্বণ্টন ‘প্যারিটো অপটিমালিটি’ অনুযায়ী সমাজের সব মানুষের সর্বমোট যে সুখবোধ থাকে তা বিনষ্ট হবে। বিভিন্ন মানুষের মাঝে উপযোগ-উপভোগের পারস্পরিক তুলনা সম্ভব নয়- এ ধারণায় বিশ্বাসী অর্থনীতিবিদগণ বলেন যে, আয়ের অধিকতর সুষম বণ্টন আয়ের বৈষম্যমূলক বণ্টনের চেয়ে শ্রেয়তর বা অধিকতর কল্যাণকর হতে পারে মর্মে কোনো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত উপসংহার টানা যায় না। পুঁজিবাদী সমাজে বলবৎ বর্তমান আয় বণ্টনব্যবস্থা প্রকৃতির কঠিন নিয়মের ফল এবং সংগত বলে তারা রায় প্রদান করেন।

তাই সামাজিক ন্যায়পরতা কোনো অলীক আদর্শের ভিত্তিতে আয়ের পুনর্বণ্টনের যে কোনো উদ্যোগ শুধু যে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে তা নয়, এ প্রচেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিতও বটে। বর্তমান অর্থনৈতিক মতবাদসমূহ সমাজে বলবৎ আয়বণ্টন ব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে। আয়ের বিশাল বৈষম্যকে এসব অর্থনীতিবিদগণ প্রকৃতির নিয়ম ও অনিবার্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাদের মতে, অর্থনৈতিক বা সামাজিক ন্যায়পরতা একটি অবাস্তব স্বপ্নমাত্র। এ ধরনর ন্যায়পরতা প্রচেষ্টা বরং সামাজিক দুঃখ-কষ্টকে বৃদ্ধি করবে। এ ধরনের চিন্তাধারার ফলে প্রতীয়মান হয় যে, পুঁজিবাদী হচ্ছে সম্পূর্ণ নৈতিকতাহীনভাবে অন্যায় ও অসংগত। অন্যদিকে পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদগণ মনে করেন, ব্যক্তি মানুষের অন্ধস্বার্থপরতা যা বৈষম্যমূলক আয়বণ্টন ব্যবস্থার জন্ম দিয়েছে, তা একটি প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর সামাজিক শক্তি। প্রখ্যাত মার্কিন সমাজতত্ত্ববিদ ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম সামনার বলেন, “কোটিপতি ব্যক্তিগণ প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফল, সমাজের বিশেষ বিশেষ কর্মসম্পাদনের জন্য প্রকৃতি তাদের নির্বাচন করেছে। তারা উচ্চ মুনাফা অর্জন করে এবং বিলাস ব্যসনে জীবনযাপন করে। কিন্তু সমাজের কল্যাণের জন্যই সমাজকে এ মূল্য দিতে হবে”। তাদের উচ্চ আয় সঞ্চয় সৃষ্টি করে, উদ্যোগ গ্রহণকে উৎসাহিত করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। রবার্ট ওয়েন বলেছেন, ‘দরিদ্র ও বেকারগণ তাদের দারিদ্র্য ও নিরাপত্তাহীনতার জন্য দায়ী নন, বরং তারা যান্ত্রিক বাজারব্যবস্থার শিকার’। কিন্তু পুঁজিবাদের প্রবক্তা অর্থনীতিবিদদের ভাষ্যে রবার্ট ওয়েনের এই বক্তব্যের কোনো প্রতিধ্বনি মেলে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন