hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

৭৬
(গ) শ্রমিক আন্দোলন
ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন, যাকে শ্রমিকের আয় বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধানের মহৌষধ মনে করা হতো, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকার সমস্যার উর্ধগতির কারণে তা গতি হারিয়ে ফেলল। ক্রমাগত মজুরি বৃদ্ধিকে ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী করা হলো। মজুরি হারের ক্ষেত্রে অনমনীয়তাকে বেকার সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলো। ফলে অনেক শিল্পোন্নত দেশে ট্রেড ইউনিয়নের জনপ্রিয়তা বিপুলভাবে হ্রাস পেল। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকদের সম্পৃক্ততা হারিয়ে গেল। বৃটেনে যেখানে শ্রমিক আন্দোলন সবচেয়ে বেশি শক্তিশালীভাবে দানা বেধে উঠেছিল, সেখানে শ্রমিকদের বৃহদাংশ আর ট্রেড ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত রইল না। বৃটিশ শিল্প শ্রমিক ইউনিয়নে সদস্য পদ ২৪% কমে গেল, যখন চাকরির পরিমাণ কমলো ১৩%। বৃটিশ ট্রেড ইউনিয়নগুলোর কনফেডারেশনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪০% এর কম; যারা সদস্য তারাও সক্রিয় নয়। তৃণমূল পর্যায়ে সম্পৃক্ততা শিথিল হয়ে গেছে। শ্রমিকরা ইউনিয়নের সাথে থাকার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। দেখা যায়, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন তার শক্তিশালী দুর্গের মধ্যেও দুর্বল হয়ে পড়েছে। পশ্চিম জার্মানী, জাপান ও ফ্রান্স যেখানে মাত্র ১৯% শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ত সেখানকার অবস্থা আরো করুণ।

বর্তমান বেকার সমস্যার মুখে নিকট ভবিষ্যতে শ্রমিক ইউনিয়নের পুনরুদ্ধার সম্ভাবনা খুবই কম। শুধুমাত্র সরকারকেই দায়ী করা যথার্থ নয়। কেননা শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর বাড়াবাড়িও অনেকটা দায়ী। কিছু সংখ্যক শ্রমিক নেতার ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার প্রবণতা, তাদের অতিরিক্ত দাবিদাওয়ার ফলে সৃষ্ট সামাজিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া শিল্পপতিদের নিকট হতে সহযোগিতা ও জনসমর্থনের ভিতকে ধসিয়ে দিল।

আর্থ-সামাজিক ন্যায়নীতির প্রতি বিশ্বাসের কারণে শিল্পপতিগণ ট্রেড ইউনিয়নসমূহকে মেনে নেয়নি। বরং শ্রমিক ইউনিয়নগুলো স্থিতিশীল শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক সৃষ্টিতে অবদান রেখে শিল্পপতিদের উপকারে আসবে- এ বিশ্বাস থেকে তারা শ্রমিক ইউনিয়নকে মেনে নিয়েছিল। শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি উভয় পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল, সমধর্মী শিল্পসমূহে একই ধরনের মজুরি কাঠামো নির্ধারণে এ চুক্তি সহায়ক ছিল এবং এ চুক্তির মেয়াদের মধ্যে কোনোরূপ ধর্মঘটের কোনো অবকাশ ছিল না। ট্রেড ইউনিয়ন এভাবে অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি ও স্থিতিশীলতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখল বা প্রকারান্তরে পুঁজি গঠন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হলো। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্বের দুর্নীতি এবং ধর্মঘটের সংখ্যাধিক্যে শিল্পপতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের মাঝে গড়ে ওঠা সমঝোতা ও সামাজিক চুক্তি ভেঙে পড়ল। ১৯৭৮-৭৯ সালের প্রবল অসন্তোষের সময় বৃটেনে এতবেশি ধর্মঘট সংঘটিত হলো যে, তাতে জনগণের দুর্দশা চরমে উঠল এবং ধর্মঘটের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠল। মিসেস থ্যাচারের রাজনৈতিক উত্থানের পশ্চাতে এটাও একটি কারণ। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধিতে কোনো অবদান রাখতে পেরেছিল কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। ১৯৪৭-১৯৬৭ এ দুই দশকে এ হার আর বাড়েনি। ১৯৮৭ সালে প্রকৃত মজুরির হার ছিল ১৯৬৮ সালের মজুরির অনুরূপ। ১৯৮১ সাল থেকে ঘন্টা প্রতি ন্যূনতম মজুরি হার ৩.৩৫ ডলারে অপরিবর্তিত রয়েছে। রক্ষণশীল নীতির প্রবল জোয়ার এবং নিম্নতম মজুরি হার নির্ধারণের আইনের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন হ্রাসের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিক ইউনিয়ন মজুরি হারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আনয়নে সমর্থ হয়নি। মুদ্রাস্ফীতির ফলে গত এক দশকে মজুরি ৪.২৫ ডলারে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তা পুষিয়ে দিতে পারেনি, কারণ ন্যূনতম ৪.২৫ ডলার মজুরি বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। নিম্নতম মজুরির প্রকৃত মূল্য যদি এভাবে হ্রাস পেতে থাকে, তবে নিম্নতম মজুরির আইনের চেয়ে মুদ্রাস্ফীতির দাপটই অধিক প্রমাণিত হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন