hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

৫৫
বিভিন্নমুখী স্বার্থের সমন্বয় সাধন
দ্বিতীয়ত, এটা ধরে নেয়া হয়েছে যে, রাষ্ট্রযন্ত্র এমন এক শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ দ্বারা চালিত হ যাদের ব্যক্তিস্বার্থের সাথে সমাজের সামগ্রিতক স্বার্থের কেনো সংঘাত থাকবে না এটাও একটি ভুল ধারণা। কেননা একটি নিরঙ্কুশ একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থায়ও ক্ষমতা কাঠামো আপেক্ষিক স্থান, আন্তঃজাতি ও অবস্থানজনিত বিভিন্নমুখী সুযোগ ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত নয়। বস্তুত। নৈতিক চেতনার অনুপস্থিতিতে এমন কোনো পদ্ধতি বা ব্যবস্থার অস্তিত্ব নেই যা পরস্পর বিরোধী স্বার্থসমূহের সমন্বয় নিশ্চিত করতে পারে। একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাধীন অর্থনীতিতেও পূর্বনির্ধারিত সামাজিক লক্ষ্য অর্জনের জন্যে উৎপাদন উপকরণ বন্টনের ক্ষেত্রে বোক্তার চাহিদার সাথে সামষ্টিক মূল্যবোধের অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। পরিকল্পনাবিদদের সামাজিক লক্ষ্য নির্ণয়ের জন্যে একটি ভিত খুঁজে নিতে হয় এবং সে লক্ষ্যে এমন এক মূল্যবোধ মেনে চলেতে হয় যা বিশেষ শ্রেণীর স্বার্থ সংরক্ষণ করে। কিন্তু এ সামাজিক লক্ষ্য অর্জন ও সে জন্যে প্রয়োজনীয় মূল্যবোধ নিরূপনের দায়িত্ব কার উপর অর্পিত হবে? যেহেতু সামাজিক ব্যবস্থা পুঁজিবাদের মতোই সেকুলার ভিত্তির উপর স্থাপিত এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শন ও বিবেচনায় ঐশী নির্দেশনার কোনো স্থান নেই, এমতাবস্থায় সামাজিক লক্ষ্য নির্ধারণ ও তা অর্জনের সহায়ক মূল্যমান ও মূল্যবোধ কি প্রক্রিয়ায় নির্ণীত হবে? যদি ব্যক্তি মানুষে ব্যক্তিসম্পদের মালিক বানিয়ে বিশ্বাস করা না যায় এ আশংকায় যে, ব্যক্তি মালিকানার সুযোগ নিয়ে সে অপরকে শোষণ করবেনা, তাহলে কি করে সেই একই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করা যায় যে, সে নিজের স্বার্থ দ্বারা প্রণোদিত না হয়েই সমাজের জন্যে সার্বিক কল্যাণমূলক পণ্য উৎপাদন, বিন্যাস ও বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করবে? তারা কি তাদের ব্যক্তিস্বার্থের দ্বারা একটুও চালিত হবেনা? সমাজ কি প্রক্রিয়ায় তাদেরকে পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ করবে যাতে তাদের কৃতকর্ম দ্বারা শুধুমাত্র সমাজের অভীষ্ট কল্যাণমূলক উৎপাদনে নিজেদেরকে লিপ্ত রাখবে?

উপরন্তু কার্ল ম্যানহেমের সেই প্রশ্ন থেকে যায়, ‘পরিকল্পনাকারীদের পরিকল্পনা কে করবে?’ তাছাড়া সমগ্র সমাজের জন্যে কি পণ্য ও সেবা উৎপাদিত হওয়া প্রয়োজন তা নির্ধারণের সার্বিক দায়িত্ব গুটি কয়েক ব্যক্তিবর্গের উপর ন্যস্ত করার স্বপক্ষে কেনো গ্রহণযোগ্য যৌক্তিকতা নেই। ঐশী নির্দেশনার মূল্যবোধকে ধারণ করে যে সমাজব্যবস্থা নির্মিত নয়, এমন সমাজে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে পরিকল্পনাবিদগণ বস্তুবাদী চেতনার ফলশ্রুতিতে তাদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। বস্তুত ঐশী নির্দেশনর মূল্যবোধ দ্বারা চালিত সমাজব্যবস্থার ক্ষেত্রেও সমগ্র উৎপাদন উপকরণ নিয়ন্ত্রণের সার্বিক ভার কতিপয় ব্যক্তির উপর অর্পন করা অতিশয় বিপজ্জনক। এরূপ বিপুল ক্ষমতা একনায়তন্ত্র এবং আমলাতন্ত্রের জন্ম না দিয়ে পারেনা, যা জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে ব্যক্তির গোষ্ঠীস্বার্থকে চরিতার্থ করবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন