hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

৪১
প্রবৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ
দরিদ্র জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য সম্পদ ও আয়ের পুনর্বণ্টনের ধারণাকে পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিকল্প হিসেবে তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকে গুরুত্ব দিয়েছেন। অর্থনীতিবিদ প্যারিটো বলেন, ‘যদি জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারের চেয়ে মোট আয়ের বৃদ্ধির হার বেশি না হয় তবে আয়ের বৈষম্য কমানো সম্ভব নয়’। পাশ্চাত্যের উদারনৈতিক ও রক্ষণশীল উভয় শিবিরের অর্থনীতিবিদগণ আয়ের সুষম বণ্টনের পরিবর্তে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন। থুরো এই ধরনের চিন্তাধারাকে সংক্ষেপে এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘যদি কোনো দেশের অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় তবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং সবার জন্য অধিকতর আয়ের পথ সুগম হবে। জনগণ তাদের অধিকতর আয় অর্জনের কারণে বিত্তশালী অবস্থার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করেই সুখি থাকবে। সমাজ তখন আর ধন বৈষম্য নিয়ে মাথা ঘামাবে না। শেষ পর্যন্ত অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে আয় বৈষম্যের দূরত্ব ক্রমশ কমে আসবে’।

এভাবে দেখা যায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশ্নটি মাত্রাহীন গুরুত্ব লাভ করেছে এবং একে আয় বৈষম্য হ্রাসের অস্ত্র হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে। লক্ষণীয় যে, প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি দরিদ্র জনগণের ভোগের মাত্রা বাড়াতে সক্ষম হলেও তাদের সব অভাব পূরণ করতে পারেনি। অধিক প্রবৃদ্ধি ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তদানুযায়ী বেড়েছে তাদের ভোগের মাত্রার ব্যবধানও। কোলকো এর মতে, ‘যত দিন আয় বৈষম্য বিরাজ করবে ততদিন ধনী ও দরিদ্র শ্রেনীর মাঝে ভোগের বিরাট ব্যবধানও থেকে যাবে’। অধিক প্রবৃদ্ধি প্রকৃতপক্ষে ধনিক শ্রেণীর বিত্ত ও আয়কে আরো ফাঁপিয়ে তোলে, কেননা বৈষম্য সৃষ্টিকারী সকল প্রকার পুঁজিবাদী প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এ অবস্থায় অব্যাহত গতিতে চলতে থাকে। অধিকন্তু প্রবৃদ্ধি কখনো একটানা চলতে থাকে না। প্রবৃদ্ধিতে মাঝে মাঝে দেখা দেয় মন্দা ও বেকারত্ব। এই অর্থনৈতিক মন্দা সবার জন্য ক্ষতিকর হলেও দরিদ্র শ্রেণীর উপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক।

প্রবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা যদিও অনস্বীকার্য, তবুও এর উপর অত্যধিক গুরুত্বারোপ অনেক সমস্যার জন্ম দিয়েছে। বাজেট ও বাণিজ্য ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি ও স্টাগফ্লেশন (Stagflatioh) [যে বিশেষ সময়সীমার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়, কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধি পায় না], বৈদেশিক সুদ পরিশোধের দায়ভার প্রভৃতি এ সমস্যাসমূহের অন্যতম। প্রবৃদ্ধির জন্য সতর্ক বিবেচনাহীন দৌড় প্রতিযোগিতা সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদকে নিঃশেষ করে তুলেছে, প্রকৃতির দুষণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা মানুষ, পশুপাখি ও উদ্ভিদ জীবনকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে।

আয় বৈষম্য নিরসনের জন্য প্রবৃদ্ধি অর্জন ছাড়াও আরো কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে একথা অস্বীকার করার জো নেই। এ পদক্ষেপগুলো প্রগতিশীল করব্যবস্থা, ভর্তুকি প্রদান ইত্যাদি। কিন্তু একথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, প্রগতিশীল করব্যবস্থা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারেনি। যেহেতু জনগণের সিংহভাগ মজুরও বেতনভোগী, তাই তাদের আয় পরোক্ষ করের আওতায় পড়ে যায়। অপর দিকে ধনাঢ্য শ্রেণী তাদের আয় ও মুনাফার উপর ধার্যযোগ্য আয়কর নানা পন্থায় ফাঁকি দেবার ফাঁকফোকর ও সুযোগ খুঁজে নেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভর্তূকিব্যবস্থা এমনভাবে বিন্যস্ত থাকে যা দরিদ্র শ্রেণী থেকে ধনিক শ্রেনীকেই বেশি সহায়তা করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন