hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

লেখকঃ ড. এম উমর চাপরা

১৮৪
সরকারের ভূমিকার উপর প্রভাব
ঋণ গ্রহণ স্বল্পকালে যেরূপ আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টি করে, অর্থায়নের পূর্ববর্ণিত বিকল্প পদ্ধতিগুলোর কোনোটিই সেরূপ আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টি করবে না। তাই সরকার কম সম্পদ দ্বারা অধিক সর্মসম্পাদনে বাধ্য হবে। তাদেরকে সকল প্রকল্পের উপযোগিতা ও ব্যয় সতর্কতার সাথে মূল্যায়ন করতে হবে। সকল নতুন প্রকল্পের ব্যয় সর্বনিম্ন করতে হবে এবং বর্তমান সকল সুবিধা অধিকতর কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে। সুতরাং, সরকারি অর্থব্যবস্থার অধিকতর দক্ষতা ও ন্যায়পরায়ণতা আনয়নে ও ঘাটতি বাজেট প্রক্রিয়া হ্রাসকরণে কঠোর প্রচেষ্টা গ্রহণ ব্যতীত মুসলিম সরকারসমূহের জন্য ইসলামীকরণের কথা বলা অবাস্তব।

সরকার অর্থব্যবস্থায় যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম, সুদভিত্তিক অর্থায়নের উপর নিষেধাজ্ঞা আবশ্যিকভাবে সেই ভূমিকাকে সীমিত করে না। ব্যাপক করারোপ ও ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের উপর মূলত তাদের মাকাসিদ হাসিলের সাফল্য নির্ভর করে না। বরং সরকারি কার্যক্রমে অধিকতর সততা আনয়ন, ব্যয় ও প্রকল্প নির্বাচনে যথাযথ অগ্রাধিকার প্রদান নিশ্চিত করা, সরকারি খাতে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণে খরচ তুলে নেয়া পদ্ধতির প্রয়োগ এবং মাকাসিদ হাসিলের জন্য অর্থব্যবস্থার প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের উপর এর সাফল্য নির্ভর করে। অধিক কার্যকর ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা করা ও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার উপরেও সাফল্য নির্ভরশলি। প্রথমেই বড় ধরনের সংকোচন এড়ানোর জন্য সরকারসমূহ একবারে ঋণ গ্রহণ বন্ধ না করে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তবে ঋণ সংকোচনের লক্ষ্যে তাদের প্রত্যয় বার্ষিক বাজেটে ঘাটতি চূড়ান্তভাবে কমে আসার দ্বারা প্রতিফলিত হতে হবে। অবশ্য জরুরি অবস্থঅয় ফেরতযোগ্য কর (সুদবিহীন ঋণ) আদায় করা সম্ভব। যখন অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থায়ন সম্ভবপর হয় না তখন মুসলিম সরকারের জন্য প্রচলিত পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহণ আইনগতভাবে অনুমোদিত।

মুসলিম দেশসমূহের বাজেট ঘাটতি হ্রাস করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কারণ বৈদেশিক সাহায্যের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা সম্ভব নয়। প্রথমত, শিল্পেন্নত দেশসমূহে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নিম্ন এবং অন্তত মধ্যমেয়াদী সময়ে এ নিম্নহার অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বেকারত্বের হার বেশি থাকায় মুদ্রাস্ফীতি পুনরায় ভীতির সৃষ্টি করেছে। সুতরাং তাদের বাজেট সীমাবদ্ধতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং বৈদেশিক সাহায্যের ভাণ্ডার সমপ্রসারিত নাও হতে পারে। বস্তুতপক্ষে বৈদেশিক সাহায্য প্রকৃত মূল্যে সংকুচিত হয়েই পড়েছে। দ্বিতীয়ত, সোভিয়েত ভীতি কমে যাওয়ায় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সাহায্য পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহে চলে যাওয়ায় মুসলিম দেশসমূহে সাহায্যের প্রবাহ হ্রাস পেতে পারে। তৃতীয়ত, একথা মনে রাখা দরকার যে, সামান্য পরিমাণ অনুদান ব্যতীত প্রায় সকল সাহায্যই ঋণ। এমনকি, যদিও এ সকল ঋণ পরিশোধ করতে হয় রেয়াতি হারে, তবু সুদসহ তা পরিশোধযোগ্য। এটি কেবল তখনই সমর্থনযোগ্য, যখন ঋণগ্রহীতা দেশের উৎপাদন ও ঋণভার পরিশোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত মূলধন গঠন ও প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানোর জন্য বৈদেশিক সাহায্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যবহৃত হয় না। এ সাহায্য ব্যক্তিগত ভোগ, চলতি সরকারি ব্যয় ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ অভিযোগ করে থাকেন যে, বৈদেশিক সাহায্য একটি দেশের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির হারে খুব সামান্যই অবদান রাখে, এমনকি তা নেতিবাচকও হতে পারে। কারণ বৈদেশিক সাহায্য দাতা দেশের রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প সংশ্লিষ্ট স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রদান করা হয়ে থাকে এবং সাধারণভাবে দূরবর্তী দারিদ্র্য দূরীকরণ তাদের উদ্দেশ্য নয়। আরো অভিযোগ করা হয়ে থাকে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বৈদেশিক সাহায্য দেয়া হয় সামরিক ও অন্যান্য স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে মদদ দেয়ার জন্য, যারা গরীবদের উপর জুলুম করে থাকে। এমনকি বহুজাতির সাহায্যদাতা সংস্থাগুলোর অলিখিত অভিসন্ধির কথাও বলা হয়ে থাকে। দাতাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে, তারা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে বিশ্ব পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসে, দরিদ্র দেশগুলোকে অধিকতর সাহায্যের উপর নির্ভরশীল করে রাখে এবং তাদের আর্থিক ক্ষমতাকে তৃতীয় বিশ্বের সর্বত্র বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক পুঁজির স্বার্থকে পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজে লাগায়।

এ অভিযোগের পেছনে যে সত্যই থাকুক না কেন, দরিদ্র মুসলিম দেশগুলোর সামনে কোনো বিকল্প নেই। তাদের সাহায্যের প্রয়োজন এবং বিশেষত তারা বর্তমানে যে পরিমাণ বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলা করছে, তার কারণে তাদের পক্ষে সাহায্য গ্রহণ পরিহার করা সম্ভব নয়। তবে তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বাধীনতার স্বার্থে সাহায্যের উপর যতদূর সম্ভব কম নির্ভর করা উচিত এবং যেটুকু সাহায্য পাওয়া যায়, তাকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা এবং নিজস্ব অর্থব্যবস্থায় প্রত্যাশিত কাঠামোগত সমন্বয় সাধন করা সমীচীন। যখন এ সমন্বয় সাধনের প্রত্যাশা ধীরে ধীরে বিকশিত হচ্ছে, তখন কষ্টকর সমন্বয় এড়ানোর জন্য অথবা ব্যক্তিগত প্রদর্শনীমূলক ভোগ বা চলতি সরকারি ব্যয় নির্বাহ ও প্রকৃত ভীতিজনক অবস্থা ব্যতীত সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্যে সাহায্য চাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। নবী (ﷺ) এর হাদিস হচ্ছে, “নিজের হাত অপেক্ষা উপরের হাত উত্তম”। হাদিসটি ব্যক্তিগত বিষয়ের চেয়ে জাতীয় বিষয়ে অধিকতর প্রযোজ্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন