hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড)

লেখকঃ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)

১৮২
প্রশ্ন-১৭৯: নিজের দেশের সিদ্ধান্তকে বাদ দিয়ে অন্য দেশের মানুষের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ পালন করা বৈধ কি না?
উত্তর: আমরা একটা হাদীস অনেকেই জানি যে, চাদ দেখে রোযা রাখখা, চাঁদ দেখে ঈদ করো'। কিন্তু এই চাঁদ দেখা, প্রত্যেকে যার যার মতো দেখবে আর ঈদ করবে, একটা জাতির মুসলিম একেকজন একেকভাবে ঈদ করবে- এই ব্যবস্থা ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামের সামাজিক ইবাদত, যেগুলো অনেক মানুষ একসাথে করে, এগুলো রাষ্ট্র এবং সমাজ নিয়ন্ত্রিত। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যেদিন সব মানুষ ঈদ করবে, যেদিন রাষ্ট্র প্রধান ঈদ করে তোমরা সেদিন ঈদ করো। আমরা। বর্তমান সময়ে, একই দিনে সারাবিশে ঈদ উদযাপনের দাবি করে, সকল মুসলিমের ভেতর ঐক্য সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায় একই দেশে একাধিক দিনে ঈদ পালনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতে দেখছি। (সুনান তিরমিযি-৮০২ তাবারানি, আল মু'জামুল আওসাত-৬৮০২)

সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি অসম্ভব এটা নিয়ে আলেমগণ আলোচনা করতে পারেন। পর্যালোচনা করতে পারেন। মতামত ব্যক্ত করতে পারেন। তবে আমাদের বুঝতে হবে আল্লাহ তাআলার দীন অত্যন্ত সহজ। রাসূলুল্লাহর (ﷺ) এর সময় থেকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দিনে ঈদ পালন হয়েছে। সাহাবিদের সময়ে যে হয়েছে, এটা নিশ্চিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময়ে যোগাযোেগ ব্যবস্থা কষ্টকর থাকলেও ঈদুল আযহার চাঁদ দেখে ৫/৭ দিনের ভেতরে তল্কালীন মুসলিম বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে খবর পৌছে দেয়া খুবই সম্ভব ছিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহর (ﷺ) কখনোই এই ধরনের চেষ্টা করেন নি। সাহাবিদের যুগে আমরা দেখি, যেটা সহীহ মুসলিমসহ অন্যান্য গ্রন্থের হাদীস, সিরিয়াতে যেদিন ঈদ হয়েছে, মদিনাবাসী তার পরের দিন ঈদ করেছেন। সিয়াম যেদিন সিরিয়ায় শুরু হয়েছে, তার পরের দিন মদিনাবাসী সিয়াম শুরু করেছেন। তারা রমাযান মাসের ভেতরেই খবর পেয়েছেন যে, সিরিয়াতে একদিন আগে চাঁদ দেখা গিয়েছে। কিন্তু একদিন পরে ঈদ করার ভেতরে কোনো অকল্যাণ, সংহতি নষ্ট হচ্ছে অথবা মুসলিমদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে, আগামীতে যেন এ রকম না হয় সে জন্য কোনো সাবধানতামূলক পদ্ধতি অবলম্বন করা, সিরিয়াতে চাঁদ দেখলে সব দেশে জানিয়ে দেয়া, এসব তারা করেন নি। যুগে যুগে প্রত্যেক এলাকার মানুষেরা নিজ দেশে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেছেন। কাজেই এক দেশের মানুষ অন্য দেশের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবেন এটাই মূলত অবৈধ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন

الفطر يوم يفطر الناس

যেদিন মানুষেরা ঈদুল ফিতর আদায় করবেন সেদিনই ঈদুল ফিতর হবে। কাজেই আমি যে সমাজের সাথে বসবাস করছি, সেই সমাজে বসবাস করে অন্য দেশের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করব- এটা প্রথমত আমার জন্য বৈধ নয়। কারণ, আমার সরকার, আমার জনগণ ওই চাঁদ দেখাকে গ্রহণ করে নি। দ্বিতীয়ত আমি আমার সমাজের ঐক্য বিনষ্ট করেছি। রাসূলুল্লহ (%) এর নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছি। অনেক ভাই তাকওয়ার কারণে- রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, চাদ দেখলে রোযা রাখো- অন্য দেশে চাঁদ দেখা গেছে, সে রোযা না রাখলে গোনাহ হবে কি না, তাই আগে থেকে রোযা রাখতে শুরু করেছে, রোযা ৩০ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে; ফলে তার দেশের মানুষ পরে ঈদ করবে আর তিনি আগে ঈদ করতে বাধ্য হন। আসলে এটা আমাদের ইলমবিহীন আবেগ। চাঁদ দেখে রোযা রাখো' এটা যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশ, তেমনি তোমার দেশের মানুষের সাথে, রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে, রাষ্ট্রের সাথে ঈদ করা- এটাও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশ। উভয় নির্দেশকে সমন্বিতভাবে পালন করতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফীক দান করুন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন