hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড)

লেখকঃ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)

২২২
প্রশ্ন-২১৯: মুরীদ হওয়ার অর্থ কী? মারেফতের কামেল পীরের কাছে মুরীদ না হলে নাকি জান্নাতে যাওয়া যাবে না-এই কথাটা কি ঠিক?
উত্তর: এটা হল কাফেরদের কথা। যারা বলে মারেফতের কামেল পীরের কাছে মুরীদ হলে জান্নাতে যাওয়া যাবে না, এই কথাটা যারা বলে তারা বেঈমান। তারাই বরং জান্নাতে যেতে পারবে না। কারণ, এটা কুরআন হাদীসে কোথায় আছে? যাদের মাধ্যমে এই পীর প্রথার প্রচলন, যাদের নাম ভাঙিয়ে আমরা পীরালি করি সেই মুজাদ্দিদে আলফে সানি, সৈয়দ আহমদ বেরেলভি, শাহ ওয়ালি উল্লাহ দেহলভি, আশরাফ আলি থানভি, ফুরফুরার দাদা হুজুর, তারা সবাই নিজে লিখেছেন, পীরের মুরীদ হওয়া মুস্তাহাব পর্যায়ের একটা সুন্নাত কাজ। একজন নেক মানুষের সোহবতে যাওয়া। আর মারেফত মানেই হল মারার পথ। সে যে কামেল (পরিপূর্ণ) আর আমি নাকেস (অসম্পূর্ণ) এটা বুঝব কী করে! দুনিয়াতে প্রত্যেক জিনিসের বিচার আছে। যাচাই বাছাইয়ের ব্যাপার আছে। কিন্তু এই মারেফতের কোনো বিচার নেই। মারেফতের কামেল আর বাতেন ইলমের নাম দিয়ে সবকিছু চুরি করার ব্যবস্থা তারা করে রেখেছে। কারণ, অমুক পীরের খুব বেশি মারেফত, বুঝব কী রে! প্রমাণ তো নেই। কক্ষনো কুরআন হাদীস এটা বলে না। বরং বড় আলেম, পূর্ণ আলেম, কুরআন হাদীস নিজে বোঝে, মুত্তাকি তাদের সোহবতে যাওয়াটা হল ইবাদত। মুরীদ মানে ইচ্ছকারী। যে ইচ্ছা করেছে। পীরের মুরীদ হওয়ার মানে, পীর তখন মুরাদ হয়, লক্ষ্য হয়; পীর আমার আদর্শ। আমার উদ্দেশ্য হল আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (ঞ্জ) । নেককার মানুষের সোহবতে যাওয়াটা হল ইবাদত। মুরীদ হওয়া নয়। মূল কথা হল,

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ), এরপরে ফুরফুরা পীর ওলিউল্লাহ- এটা বলা ইসলামে আছে কি না?... কাজেই এরকম কিছু সংযোজন যারা করে, তারা হল ঈমানের বড় চোর। এদের উদ্দেশ্য আমাদের ঈমানহারা করা। এ জন্য মারেফত হল মারার পথ। করআনে হাদীসে মারেফতের কোনোই গুরুত্ব দেয়া হয় নি। বরং ইলম এবং ঈমানের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, ইহুদি, খ্রিস্টান, কাফেরদের মোলআনা মারেফত ছিল।

يعرفون يغت الله ثم ينكرونها

পুরো মারেফত কাফেরদের ছিল। আমাদের ইমাম আবু হানীফা রাহ. লিখেছেন, মারেফতে যদি কাজ হত তাহলে ইহুদি খ্রিস্টানরাই জান্নাতে যেত। তবে যে বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল একটা হাদীস, এর সনদগত সমস্যা আছে; রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামেও আছে আবার হাসান বসরির র. নামেও আছে। সেটা হল:

العلم علمان علم باللسان و علم بالقلب و علم باللسان ذلك حجة الله على خلقه و علم بالقلب هو العلم النافع

ইলম দুই প্রকার: একটা হল, জবানের ইলম। আরেকটা হল কালবের ইলম জবানের ইলম, এটা হল আল্লাহর দলিল। বান্দাকে আল্লাহ এই ইলম দিয়ে ধরবেন। আর কালবের ইলম হল উপকারি ইলম। এই দুটো একটু বোঝেন। মনে করেন, আপনি মোটামুটি নামায পড়েন। যুবক ছেলে। একদিন ঘুমাতে ঘুমাতে রাত হয়েছে, দুটো বেজে গেছে। ফজরের নামায পড়ার ইচ্ছা আছে। দেখা গেল ঘুম ভাঙে নি, সকাল আটটা বেজে গেছে। এ রকম ঘটে থাকে আমাদের। আবার ওই ছেলেটারই আরেক দিনের ঘটনা। তার চাকরির ইন্টারভিউ আছে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা আছে। রাত চারটায় তার গাড়ি। তিনটায় উঠে স্টেশনে গিয়ে গাড়ি ধরতে হবে। চারটায় ঝিনাইদহ থেকে রওনা হলে সকাল এগারোটায় সে পরীক্ষা ধরতে পারবে। এই গাড়ি মিস হলে পরীক্ষা দিতে পারবে না। সে মোটামুটি গোছগাছ করতে করতে রাত বারোটা বেজে গেছে। তিনটায় উঠতে হবে। ঘুমিয়ে আছে। একটু পরপর ঘুম ভেঙে যায়। এ রকম কিন্তু ঘটে। খুব স্বাভাবিক। তাহলে বাস মিস হলে লস হবে, এই ইলমের কারণে ঘুম ভাঙে। আর নামায মিস হলে লস হবে, এই ইলমের কারণে ঘুম ভাঙে না। এইটা হল পার্থক্য। বাস মিস হলে লস হবে এটা কালবের ভেতরে ঢুকে গেছে। এ জন্য কালব ধাক্কা মেরে মেরে উঠিয়ে দিচ্ছে, এই ওঠ, বাসের সময় হয়ে গেল! ওঠ ওঠ! আর নামায মিস হলে লস হবে, এটা আমাদের জবানে আছে, কালবে এখনো ঢোকে নি। (সূরা নাহল, আয়াত-৮৩) কালবে ঢুকলে রাত এগারোটায় শুলেও চারটার সময় তাহাজ্জুদের জন্য ঘুম ভাঙার কথা। আর বারোটায় শুলে আর ঘুম হয় না। বারবার ঘড়ি দেখে, তাহাজ্জুদ বুঝি মিস হয়ে যায়! তো নামাযের ভালোবাসা কালবে ঢুকাতে হলে শরীআত পালন করতে হবে। কুরআন পড়বেন, হাদীস পড়বেন, নিয়মিত পড়বেন, পুরোপুরি শরীআত পালন করবেন। তখন এমন হবে, রাত বারোটায় ঘুমালে আর ঘুম হবে না, বারবার ঘুম ভেঙে যাবে তাহাজ্জুদ ব্রার জন্য। এটা হল ইলমুন নাফে' বা উপকারি ইলম। এই হাদীসের অপব্যাখ্যা দিয়ে মারেফত টারেফত নানান জিনিস বানানো হয়েছে। নামায পড়ে না, মিথ্যা কথা বলে, ঝগড়া করে কোনোই ব্যথা লাগে না। আবার নাকি মারেফত! মারেফত তো ওই জিনিস, যেটা আপনার ইয়াকীনে গেঁথে যাবে, আপনি আর গোনাহ করতে পারবেন না। আসলে ভণ্ডামি আর জালিয়াতির কোনো শেষ নেই। তবে আপনারা একটা জিনিস বুঝবেন, আল্লাহ তাআলা আপনার নবীজি (%) কে সিরাজুম মুনীর বানিয়েছেন- সূর্য। ওরা যা-ই বলুক, আপনি বলবেন, কুরআন হাদীস দিয়ে বলল, নয়ত মানব না। তাহলে বেঁচে যাবেন। কুরআন এবং হাদীস দিয়ে সরাসরি জালিয়াতি করা যায় না। ওরা যদি বলে পীরের মুরীদ হতে হবে, আপনি বলবেন, অন্য কোনো কথা শুনতে চাইনে, কুরআন হাদীসে কোথায় আছে মুরীদ হতে হবে, দেখাও। তাহলে মুরীদ হব। আর আপনি যদি কিছু না বুঝে তাদের পিছনে দৌড়ান তাহলে আপনার ব্যাপার।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন