hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১০৬
শোকবর্ষ : নবুওয়াতের দশম সাল
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন শি’বে আবূ তালিব থেকে বের হলেন, তখন নবুওয়াতের দশম বর্ষ শুরু হয়ে গেছে। এবার মুসলমানদের সাথে কুরায়শদের ব্যবহার অনেকটা মার্জিত ও নম্র হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু না, মুসলমানদের দুঃখকষ্ট এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বিপদ পূর্বের তুলনায় আরো বেড়ে গেলো। শীঘ্রই এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলো যে, এ বছরটি মুসলমানদের কাছে শোকবর্ষ নামে খ্যাতিলাভ করে। রজব মাসে আবূ তালিব অসুস্থ হয়ে অশীতিপর বয়সে পরলোকগমন করেন। আবূ তালিবের মৃত্যুর সাথে সাথে কাফিরদের সাহস বৃদ্ধি পায়। আবূ তালিবই ছিলেন এমন এক ব্যক্তিত্ব এবং বনী হাশিমের এমন একজন প্রভাবশালী সরদার যাকে সকলে ভয় করতো এবং সমীহ করে চলতো। তার মৃত্যুর সাথে সাথে বনী হাশিমের সেই পূর্বের প্রভাব আর মক্কায় বাকী রইলো না। মাঠ খালি পেয়ে কুরায়শরা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর যদৃচ্ছা অত্যাচার-উৎপীড়ন চালাতে শুরু করলো।

এ বছরই হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-ও মক্কায় কুরায়শদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হিজরত করার ইরাদা করলেন। তিনি মক্কা থেকে বেরিয়ে পড়লেন। মক্কা থেকে চার মঞ্জিল পথ অতিক্রম করে তিনি বিরকুল গিমাদ নামক স্থানে উপনীত হলেন। কারা কবীলার সরদার ইবনুদ দাগিনার সাথে তার সাক্ষাৎ হলো। ইবনুদ দাগিনা জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছেন! হযরত আবূ বকর (রা) জবাবে বললেন : আমার কওম আমাকে অত্যাচারে এমনি অতিষ্ঠ করে তুলেছে যে, এখন আমি ইরাদা করেছি মক্কার বাইরে কোথাও গিয়ে থাকবো এবং আমার রব-এর ইবাদত করবো। ইবনুদ দাগিনা বললেন : আপনি তো এমনি এক ব্যক্তি যার নিজেরও মক্কা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়া সমীচীন হবে না আর আপনার স্বজাতিরও আপনাকে যেতে দেয়া ঠিক হবে না। আমি আপনাকে আমার আশ্রয়ে নিচ্ছি। আপনি ফিরে চলুন এবং মক্কাতে থেকেই নিজের রব-এর ইবাদত করুন! তাঁর কথায় হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) মক্কায় ফিরে এলেন। ইবনুদ দাগিনা কুরায়শ সরদারদের ডেকে একত্র করে তাদের ভর্ৎসনা করলেন এবং বললেন : তোমরা এমন এক সৎগুণের অধিকারী ব্যক্তিকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করছো যার উপস্থিতি যে কোনো কওমের জন্য গর্বের হেতু হতে পারে। হযরত আবূ বকর (রা) তার বাড়ীর আঙিনায় একটি ছোট চবুতরা মসজিদরূপে বানিয়ে সেখানে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতেন এবং ইবাদতে মশগুল থাকতেন। তাঁর কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজে মহল্লার মহিলা ও শিশুরা অভিভূত হয়ে যেতো। কুরায়শদের কাছে তাও ছিলো অসহনীয়। ইবনুদ দাগিমা তাকে এরূপ করতে বারণ করলে তিনি স্পষ্ট বলে দিলেন। আমি তোমার আশ্রয় থেকে বেরিয়ে আমার আল্লাহর আশ্রয়ই অবলম্বন করছি। তার আশ্রয়ই আমার জন্যে যথেষ্ট। তবুও কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকতে পারবো না।

আবু তালিবের ওফাতের প্রায় দুই মাস পরে নবুওয়াতের দশম বছরে হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রা)-ও ইন্তিকাল করেন। হযরত খাদীজা (রা)-কে হুযূর (সাঃ) অত্যন্ত ভালবাসতেন। সমস্ত দুঃখ-কষ্টে তিনি ছিলেন হযরত নবী (সাঃ)-এর সহধর্মিণী। সর্বপ্রথম তিনিই-তার প্রতি ঈমান আনয়ন করেছিলেন। সব সময়েই তিনি তাকে সাহস যুগিয়েছেন। বিপদে আপদে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আবূ তালিব ও হযরত খাদীজা (রা) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর এমন দু’জন সঙ্গী ও সহমর্মী ছিলেন যে, তাদের মৃত্যু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে ভীষণ শোকার্ত করে তোলে। সাথে সাথে কুরায়শদের অত্যাচার-উৎপীড়নও বৃদ্ধি পায়। একদিন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পথ অতিক্রম করছিলেন—এমন সময় কোন এক দুরাচার তার উপর কাঁদা নিক্ষেপ করে। তাঁর মাথার চুল, দেহ মুবারক, কাপড়-চোপড় কর্দমাক্ত হয়ে গেলো। এই অবস্থায় ঘরে ফিরলে হযরত ফাতিমা যুহ্‌রা (রা) তা দেখে দৌড়ে পানি নিয়ে আসলেন। তিনি পিতার এই হাল দেখে কেঁদে ফেললেন এবং পানি এনে মাথা ধুয়ে দিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন : কেঁদো না মা! আল্লাহই তোমার পিতাকে রক্ষা করবেন।

একদিন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) খানায়ে কা‘বায় গেলেন। সেখানে মুশরিকদের অনেকেই উপবিষ্ট ছিলো। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে দেখে আবূ জাহেল উপহাসের স্বরে বলে উঠলো : হে আবদে মানাফের বংশধররা! দেখো দেখো, তোমাদের নবী এসে গেছেন! উত্‌বা ইব্‌ন রবীআ বলে উঠলো, কেউ নবী হোক, কেউ ফেরশতা বনে যাক, তাতে আমাদের কি? হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উতবাকে সম্বোধন করে বলেন : তুমি কোনো দিনই আল্লাহ ও রাসূলের পক্ষ সমর্থন করোনি। নিজের জেদ নিয়েই অটল রয়েছো। এরপর আবূ জাহেলকে লক্ষ্য করে বললেন : তোমার জন্যে সেদিন বেশী দূরে নয়, যখন তুমি হাসবে অল্পই, কাঁদবে অনেক বেশী। তারপর উপস্থিত মুশরিকদেরকে লক্ষ্য করে বললেন: সেদিন বেশী দূরে নয় যখন তোমরা এ দীনের ছায়াতলে আশ্রয় নেবে, যে দীনকে আজ তোমরা অস্বীকার করছ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন