hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

১৫৯
মুনাফিকদের ধৃষ্টতা
ফেরার পথে মুনাফিকরা তাদের গোপন শত্রুতাবশত এমন কিছু কূটকৌশল অবলম্বন করলো যে, কোন কোন মুহাজির ও আনসারের মধ্যে মনোমালিন্য ও তিক্ততার সৃষ্টি হয়ে গেলো। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উবায়্য আনসার ও মুহাজিরের প্রশ্নটি খুব ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুললো এবং এমনকি সে এরূপ মন্তব্যও করে বসলো যে, মদীনায় গিয়ে এইসব মুহাজিরকে মদীনা থেকে বের করে দেয়া হবে। এই অভিযানে আরো একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার ঘটে গেল। হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা)-ও হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর সফরসঙ্গিনী ছিলেন। একটি মনযিলে মুসলিম বাহিনী অবস্থান নিলো। সেখান থেকে প্রস্থান করার সময় হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা)-এর হাওদা উটের উপর রেখে দেয়া হলো। তিনি হাওদার মধ্যে আছেন, কি নেই তা অনুমান করা হয়নি। অথচ তিনি তখন প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে তার কিছুটা দেরী হয়ে যায়। তিনি তাঁর সহোদরার একটি হার পরেছিলেন। ঘটনাচক্রে ঐ হারের সুতা কোন এক ঝোপে আটকে গিয়ে ছিঁড়ে যায় এবং মুক্তাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। অপরের জিনিস বলে তিনি একটু বেশী মনোযোগ দিলেন। যমীনের উপর থেকে মুক্তাগুলো কুড়িয়ে নিতে বেশী সময় লেগে গেলো। কিন্তু লোকজন ইতিমধ্যে রওয়ানা হয়ে গেলো। ফিরে এসে তিনি দেখতে পেলেন যে, মনযিল একেবারে ফাঁকা। খুব চিন্তিত ও বিচলিত হলেন। ইত্যবসরে হযরত সাফওয়ান ইব্‌ন মু‘আত্তাল (রা)-কে দেখা গেলো পেছন দিক থেকে তার উট নিয়ে চলে আসতে। হযরত সাফওয়ান ইব্‌ন মু‘আত্তাল (রা)-এর প্রতি নির্দেশ ছিল সবার পেছনে অবস্থান করার এবং কাফেলা প্রস্থান করার পর মনযিল পরিদর্শন করে রওয়ানা করার, যাতে কারো কোন জিনিস পড়ে থাকলে তা তুলে আনতে পারেন এবং কারো কোন প্রকার ক্ষতি না হতে পারে। হযরত সাফওয়ান (রা)-কে এই দায়িত্ব দেয়ার কারণ হলো তিনি ছিলেন বেশী ঘুমকাতুরে লোক। তিনি দেরীতে ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন। নিয়মানুসারে হযরত সাফওয়ান (রা) অবস্থানস্থল পরিদর্শন করতে করতে চলে আসছেন। ইত্যবসরে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা)-কে দেখতে পেয়ে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে যান। তিনি তৎক্ষণাৎ তার উট থেকে অবতরণ করে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা (রা)-কে উটের উপর বসালেন। তারপর তিনি উটের রশি ধরে পথ চলেন এবং বাহিনীর সাথে গিয়ে মিলিত হন। তিনি যখন এইভাবে বাহিনীর সাথে গিয়ে মিলিত হলেন এবং লোকেরা এই ঘটনা জানতে পারলো, তখন তারা সবাই দুঃখ ও বিস্ময় প্রকাশ করলো। মুনাফিকরা কথা বানানো ও অপবাদ রটানোর এক মোক্ষম অস্ত্র পেয়ে গেলো। তারা নানা রকম কথা বানিয়ে লোকজনের মধ্যে এক তুফান সৃষ্টি করলো। হযরত নবী (সাঃ) খুব কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও নীরব হয়ে গেলেন।

মোটকথা, মুনাফিকরা এবার মুসলিম বাহিনীর সাথে যোগদান করে মুসলমানদেরকে নিজেদের ধৃষ্টতা ও কুটিলতা দ্বারা বিচলিত করার বিরাট সুযোগ পেলো। হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা)-এর নামে মুনাফিকরা যে অপবাদ রটনা করলো, তার ফলে তিনি প্রায় দেড়মাস পর্যন্ত তাঁর পিত্রালয়ে অবস্থান করেন এবং মুসলমানদের সাধারণভাবে হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা)-এর সতীত্ব, সচ্চরিত্রতা ও নির্যাতিতা হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে। একমাস পর আল্লাহ তা‘আলার তরফ থেকে তাঁর পুণ্যশীলতা ও পবিত্রতার রায় অবতীর্ণ হলো এবং স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা)-কে সিদ্দীকা হওয়ার সাক্ষ্য প্রদান করলেন। এর পূর্বে আরো একজন সিদ্দীকা অর্থাৎ হযরত মারয়াম সিদ্দীকার নামেও এরূপ অপবাদ ইয়াহূদীরা রটনা করেছিল। তারাও ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং এই সিদ্দীকাকে অপবাদ দানকারীদের পরিণামও ধ্বংস ও বিনাশই হলো।

এ অভিযানে মুনাফিকরা যেসব দুরভিসন্ধি এঁটেছিল হযরত নবী করীম (সাঃ) তা সবই ধীরে ধীরে অবগত হতে থাকলেন। মদীনা মুনাওয়ারায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে একজন সাহাবী মুনাফিক আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্যর কটুক্তির উল্লেখ করেন এবং সাক্ষী পেশ করে দাবী তোললেন যে, তাকে হত্যা করার আদেশ জারি করা হোক। হযরত নবী করীম (সাঃ) বললেন, আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্য যেহেতু নিজকে মুসলমান বলে পরিচয় দিচ্ছে, তাই তাকে হত্যা করা হলে লোকে বলবে মুহাম্মদ (সাঃ) তার বন্ধুদেরকে হত্যা করতে শুরু করেছে। আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্যর পুত্র খাঁটি মুসলমান ছিলেন। তার নাম ছিল আবদুল্লাহ ইব্‌ন আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্য। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন আবদুল্লাহ যখন জানতে পারলেন যে, তাঁর পিতার মৃত্যুদণ্ড সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত, তখন তিনি হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উবায়্য অর্থাৎ আমার পিতাকে হত্যা করার দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করা হোক। আমি নিজেই তার শিরচ্ছেদ করে প্রমাণ করবো যে, ইসলাম পিতার চেয়ে অধিক মূল্যবান। হযরত নবী করীম (সাঃ) বললেন, না! আমি আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্যকে হত্যা করতে চাই না। এমনকি মদীনা মুনাওয়ারায় প্রবেশ করার সময় আবদুল্লাহ ইব্‌ন উবায়্যর পুত্র যখন স্বয়ং তাঁর পিতাকে মদীনায় প্রবেশ করতে বাধা দেন এবং বলেন যে, তুমি মুনাফিক, তাই তোমাকে আমি মদীনায় প্রবেশ করতে দেবো না, তখন নবী (সাঃ) তা জানতে পেরে আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উবায়্যকে মদীনায় আসতে অনুমতি দিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন