hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৪১
হযরত উসমান (রা)-এর দরবারে প্রথম ভূমিকা
হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর শাহাদতের (মৃত্যুর) কয়েক দিন পূর্বে একবার আবূ লূলূ একটি খঞ্জর নিয়ে হরমুযানের কাছে যায়। ইনি সেই ইরানী নেতা হরমুযান যিনি হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করে মদীনায়ই বসবাস করছিলেন। আবূ লুলূ হরমুযানের কাছে বসে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। সেখানে তখন হীরার অধিবাসী জাফীনাহ নামীয় একজন ক্রীতদাসও বসা ছিল। হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আবূ বকর (রা) এ তিনজনকে একত্রে বসে আলাপ-সালাপ করতে দেখেছিলেন। কিন্তু তাকে সেদিকে আসতে দেখে আবূ লূলূ সেখান থেকে উঠে চলে যায়। কিন্তু যে খঞ্জরটি সে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল, উঠে দাঁড়াবার সময় তা তার হাত থেকে পড়ে যায়। অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই সে তা উঠিয়ে নেয়।

হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আবূ বকর (রা) এ বিষয়টিও লক্ষ্য করছিলেন। কিন্তু এতে তার অন্তরে কোনরূপ সন্দেহের সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু যখন আবূ লূলূ হযরত ফারূকে আযম (রা)-কে আহত করে এবং ধৃত হয়ে আত্মহত্যা করে, তখন তার কাছ থেকে যে খঞ্জরটি উদ্ধার করা হয় তা হযরত আবদুর রহমান ইব্‌ন আবূ বকর (রা) চিনে ফেলেন। এ সেই খঞ্জর, যা কিছু দিন পূর্বে তিনি আবূ লূলূর কাছে দেখেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঐ হরমুযানের কাছে আবূ লূলূর গমন, তাদের পরস্পর আলাপ-সালাপ, জাফীনাহ্ নামক খ্রিস্টান ক্রীতদাসের সেখানে উপস্থিতি সবাইকে বলে দেন। হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর শাহাদতের পর যখন তার অপর ছেলে উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা) উপরোক্ত ঘটনার কথা শোনেন, তখন অত্যন্ত রাগান্বিত হন এবং প্রতিশোধ স্পৃহা চরিতার্থ করতে গিয়ে প্রথম সুযোগেই হরমুযানকে আক্রমণ করে বসেন। হরমুযানকে আহত হয়ে ভূলুণ্ঠিত হতে দেখে হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) হযরত উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা)-কে পাকড়াও করতে ছুটে যান। কিন্তু তখন হযরত উবায়দুল্লাহ্ (রা) জাফীনাহকে হত্যা করার জন্য তার তালাশে অত্যন্ত দ্রুতবেগে ছুটতে থাকেন। অবশ্য জাফীনাহকে হত্যা করার পূর্বেই হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস হযরত উবায়দুল্লাহকে ধরে ফেলেন। যেহেতু তখন পর্যন্ত কেউ খলীফা পদে নির্বাচিত হন নি এবং হযরত সুহায়ব (রা) সাময়িকভাবে খিলাফতের প্রয়োজনীয় দায়িত্বসমূহ পালন করছিলেন, তাই হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) হযরত উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা)-কে সুহায়ব (রা)-এর হাতে অর্পণ করেন। তিনি হযরত উবায়দুল্লাহ্ (রা)-কে বন্দী করে রাখেন।

যখন হযরত উসমান গনী (রা) খলীফা নির্বাচিত হলেন, মসজিদে নববীতে সাধারণভাবে বায়‘আত গ্রহণ করা হলো এবং হযরত উসমান (রা) খলীফা হিসাবে তার উদ্বোধনী ভাষণও পেশ করলেন, তখন সর্বপ্রথম তার দরবারে উপরোক্ত মকদ্দমা পেশ করা হল। হযরত উবায়দুল্লাহ্ (রা)-কে খলীফার সামনে পেশ করার পর যখন হরমুযানের হত্যা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি তাঁর সত্যতা স্বীকার করেন। তারপর হযরত উসমান গনী (রা) সাহাবায়ে কিরামের সাথে এ সম্পর্কে সলা-পরামর্শ করলেন। হযরত আলী (রা) এ অভিমত ব্যক্ত করলেন যে, হরমুযানের হত্যার কিসাসে (বদলা স্বরূপ) উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা)-কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। কিন্তু হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা) হযরত আলী (রা)-এর ঐ মতের বিরোধিতা করে বললেন, তা কোনমতেই সমীচীন নয় যে, এ মাত্র (তিন দিন পূর্বে) যাঁর পিতা শহীদ (নিহত) হয়েছেন তাকে এখন আপনারা হত্যা করে ফেলবেন। উপস্থিত সবাই হযরত আমর ইব্‌ন ‘আস (রা)-এর রায়কে সমর্থন করেন। হযরত উসমান গনী (রা) প্রথমে কিছুটা ইতস্তত করেন। তারপর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠেন, এ ঘটনাটি না হযরত ফারূকে আযম (রা)-এর খিলাফতকালে ঘটেছে, আর না আমার খিলাফতকালে। আর যেহেতু তা আমার খিলাফতকালে ঘটেনি বরং আমি খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই ঘটেছে, তাই এজন্য আমাকে দায়ী করা চলে না। তারপর তিনি এ উৎকৃষ্টতম পন্থাটি গ্রহণ করেন যে, তিনি স্বয়ং হযরত উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা)-এর অভিভাবক হয়ে নিজের কাছ থেকেই হরমুযান হত্যার ‘দিয়াত’ (রক্তমূল্য) পরিশোধ করে দেন। তারপর মিম্বরে দাঁড়িয়ে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা করেন। এভাবে সকল লোক তার এ ফায়সালায় রাযী হয়ে গেল এবং হযরত উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রা) কিসাস থেকে রক্ষা পেলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন