hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৩৪
জাহিলিয়াত যুগ
জাহিলী যুগে কুরায়শের আভিজাত্য ও নেতৃত্ব ছিল দশটি পরিবারের মধ্যে সীমিত ও বিভক্ত। ঐ সম্ভ্রান্ত নেতৃ-পরিবারগুলো হচ্ছে এই :

(১) হাশিম, (২) উমাইয়া, (৩) নাওফিল, (৪) আবদুদ দার, (৫) আসাদ, (৬) তামীম, (৭) মাখযুম, (৮) আদী, (৯) আজ্জ, (১০) সাহম। এদের মধ্যে বনূ হাশিমের দায়িত্ব ছিল সিকায়া-অর্থাৎ হাজীদেরকে পানি পান করানো। বনূ নাওফিলের দায়িত্ব ছিল নিঃসম্বল হাজীদেরকে অনুদান ও পথ খরচা দেওয়া। বনূ আবদু‘দ্-দার এর দায়িত্বে কা‘বাগৃহের চাবি ও পাহারাদারি, বনূ আসাদের দায়িত্বে পরামর্শ ও পরামর্শ সভার বন্দোবস্ত করা, বনূ তামীম– রক্তপণ ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, বনূ আদী-দৌত্যকার্য ও কওমী আভিজাত্য রক্ষা, বনু আজ্জ– ভাগ্য-তীর সংরক্ষণ, মাখযুম—প্রতিমার নৈবেদ্য সংরক্ষণ। বনূ তামীমের মধ্যে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) রক্তপণ ও ক্ষতিপূরণের ফায়সালা করতেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) যা মেনে নিতেন, গোটা কুরায়শ বংশ তাই মেনে নিতো। কেউ যদি অন্য কিছু স্বীকার করতো, তবে কেউই তা সমর্থন করতো না। অনুরূপভাবে বনূ আদীর মধ্যে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব দৌত্যকার্য আঞ্জাম দিতেন। যুদ্ধের ময়দানেও তিনি দূত হিসাবে গমন করতেন এবং মুকাবিলার মধ্যে কওমী আভিজাত্য বর্ণনা করতেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) কেবল তার গোত্রের সরদার ও কুরায়শী দশ নেতার অন্যতমই ছিলেন না, তিনি বিত্ত-বৈভবের দিক থেকেও বিরাট ঐশ্বর্যশালী ও প্রতাপশালী ছিলেন। তিনি কুরায়শদের মধ্যে অত্যন্ত দয়ালু ও দানশীল ছিলেন। বিপদে ধৈর্যশীল ও অতিথিপরায়ণ ছিলেন। মানুষ তাদের সমস্যার ব্যাপারে তাঁর নিকট এসে পরামর্শ গ্রহণ করতো এবং তাকে একজন উঁচুদরের সুবিচারক মনে করতো। আর এ কারণেই তিনি যখন মক্কা থেকে বিদায় হয়েছিলেন, তখন ইবনুদ-দাগিনা তাকে পথিমধ্য থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন, পূর্বেই সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বংশাবলী ও আরব তথ্য বিশারদ ছিলেন। প্রকৃতিগতভাবেই তিনি অন্যায় অপকর্ম ও নোংরামি থেকে দূরে থাকতেন। জাহিলী যুগেও তিনি কোন প্রকার মদ্যপান করেন নাই। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-কে কেউ জিজ্ঞেস করলো, আপনি কি কখনো শরাব পান করেছেন? তিনি উত্তরে বললেন, নাউযুবিল্লাহ, কখ্‌খনো নয়। সে জিজ্ঞেস করলো, কেন পান করেননি? তিনি উত্তর দিলেন, আমার শরীর থেকে গন্ধ আসুক এবং মনুষ্যত্ব অপসৃত হোক, তা আমি চাইনি। একথা নবী করীম (সাঃ)-এর মজলিসে উত্থাপিত হলে তিনি দু’বার বলেন, আবূ বকর সত্য বলেছেন।

হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) সুঠাম, সুডৌল, ভদ্র, সত্যনিষ্ঠ ও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। এ কারণেই নবী করীম (সাঃ) তাঁকে যখন ইসলামের দাওয়াত দিলেন, তখন তিনি এতটুকু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব করেননি। তৎক্ষণাৎ তা গ্রহণ করেন এবং সাহায্য-সহায়তার অঙ্গীকার করেন। সে অঙ্গীকার খুব সৌকর্যের সাথে পালন করেও দেখান। হযরত নবী করীম (সাঃ) বলেন, আবূ বকর সিদ্দীককে আমি ইসলামের দাওয়াত দিলে সে তা গ্রহণ করতে কোন কুণ্ঠাবোধ করেনি। একবার হযরত নবী করীম (সাঃ) বলেন, নবী ছাড়া আবূ বকরের চেয়ে আর কোন ভাল ব্যক্তির উপর সূর্যোদয় ঘটেনি। তিনি যেহেতু কুরায়শদের মধ্যে সর্বজনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তাই তাঁর প্রচারণায় বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন। হযরত উসমান ইব্‌ন আফফান (রা), হযরত তালহা ইব্‌ন আবদুল্লাহ (রা) ও হযরত সা‘দ ইব্‌ন আবী ওয়াক্কাস (রা) প্রমুখ ব্যক্তিত্বও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন