hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

৩৯০
হযরত আয়িশা (রা)-এর মক্কা থেকে বসরা যাত্রা
আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমির এবং ইয়ালা ইব্‌ন মুনাব্বিহ্ যথাক্রমে বসরা ও ইয়ামন থেকে প্রচুর অর্থ এবং রসদপত্র নিয়ে মক্কায় এসেছিলেন। অতএব তারা হযরত আয়িশা (রা)-এর সফর সামগ্রীর প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রওয়ানা হওয়ার পূর্বে সমগ্র মক্কা শহরে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, হযরত আয়িশা, হযরত তালহা ও হযরত যুবায়র (রা) বসরা অভিমুখে রওয়ানা হচ্ছেন। অতএব যে ব্যক্তি ইসলাম-দরদী ও উসমান হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে ইচ্ছুক সে যেন তাদের সফরসঙ্গী হয়। তাকেও বাহন, সফর সামগ্রী ইত্যাদি দেওয়া হবে। মোটকথা, এভাবে পবিত্র মক্কা থেকে দেড় হাজার লোকের একটি বাহিনী বসরা অভিমুখে যাত্রা করে। ঠিক ঐ মুহূর্তে মারওয়ান ইবনুল হাকাম এবং সাঈদ ইবনুল আসও মক্কায় আসেন এবং ঐ বাহিনীতে যোগ দেন।। মক্কা থেকে কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর চতুর্দিক থেকে দলে দলে লোক এসে তাদের সাথে যোগদান করতে থাকে এবং শীঘ্রই বাহিনীর সদস্য-সংখ্যা তিন হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়।

উম্মুল ফাদল বিনত হারিছ এবং আবদুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রা)-ও ঐ বাহিনীতে ছিলেন। তাঁরা জুহায়না গোত্রের যুফার নামক জনৈক লোককে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে হযরত আলী (রা)-এর কাছে প্রেরণ করেন এবং একটি পত্রের মাধ্যমে ঐ বাহিনীর বসরা যাত্রার যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। উম্মুহাতুল মু’মিনীনের মধ্যে যারা হযরত আয়িশার সফরসঙ্গী হয়েছিলেন তারা ইরাক পর্যন্ত আসার পর কাদতে কাদতে হযরত আয়িশা (রা)-এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মদীনায় চলে যান।

যেমন ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, মারওয়ান ইবনুল হাকামও ঐ বাহিনীর সাথে ছিলো। এই মারওয়ান হযরত উসমান (রা)-কে বিভিন্ন অভিযোগের লক্ষ্যস্থলে পরিণত করেছিলো। হযরত উসমান (রা) মুসলমানদের সর্বসম্মত দাবী অনুযায়ী তাঁর কর্মপন্থা পরিবর্তন করতে চাইলে এই মারওয়ানই তাঁকে তা থেকে বিরত রাখেন। সাধারণ লোকেরা এই মারওয়ান ইবনুল হাকামকেই ঘৃণা করত। হযরত উসমান (রা)-কে যখন ঘেরাও করা হয়েছিল তখন যদি তিনি বিদ্রোহীদের দাবী অনুযায়ী মারওয়ানকে তাদের হাতে সমর্পণ করতেন তাহলে তার সাথে এই দুঃখজনক আচরণ কখনো করা হত না এবং তাঁকে শাহাদত বরণ করতেও হত না, বরং অতি সহজেই যাবতীয় বিবাদের মীমাংসা হয়ে যেত। কিন্তু তিনি মারওয়ানকে দাঙ্গাবাজদের হাতে সমর্পণ করেননি এই ভয়ে যে তারা তাকে নির্ঘাত হত্যা করবে।

মারওয়ান ইবনুল হাকাম সেই ব্যক্তি যাকে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কোন মিথ্যা কথনের কারণে মদীনা থেকে বের করে দিয়েছিলেন (এবং মহানবীর জীবদ্দশায় তাকে আর মদীনায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি)। মোটকথা, মারওয়ান ছিলো এক ধূর্ত ও ভয়ংকর ব্যক্তি। ঐ বাহিনীর সফর সঙ্গী হয়েও সে তার চিরাচরিত স্বভাববশত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে লিপ্ত হয়। মক্কা থেকে রওয়ানা হওয়ার পর প্রথম সালাতের সময় হলে মারওয়ানই আযান দেয়, এরপর তালহা ও যুবায়র (রা)-এর কাছে এসে বলেন, আপনাদের দু’জনের মধ্যে কার উপর ইমামতির দায়িত্ব অর্পণ করা হবে? তারা উভয়ে কিছু বলার পূর্বেই আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন যুবায়র (রা) বলেন, আমার পিতার উপর, ইব্‌ন তালহা সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠেন, আমার পিতার উপর। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা (রা) এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সাথে সাথে মারওয়ানকে ডেকে পাঠান এবং বলেন, তুমি কি আমাদের কাজ লণ্ডভণ্ড করে দিতে চাচ্ছ? ইমামত আমার বোনপুত্র ইবনুয যুবায়র করবে।

আরো কয়েক মনযিল অগ্রসর হওয়ার পর একদা মারওয়ান হযরত তালহা এবং যুবায়র (রা)-কে জিজ্ঞেস করল, যদি আপনারা জয়ী হন তাহলে কাকে খলীফা বানাবেন? তারা উত্তর দিলেন, জনসাধারণ আমাদের দু’জনের মধ্যে যাঁকে খলীফা নির্বাচন করবে সে-ই খলীফা হবে। একথা শুনে সাঈদ ইবনুল ‘আস বলেন, তোমরা তো শুধু উসমান হত্যার বদলা নেবার জন্য বের হয়েছ। হযরত উসমান (রা)-এর পুত্রকেই খিলাফতের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। হযরত তালহা ও যুবায়র বললেন, তুমি যদি অন্য কারো নাম প্রস্তাব করতে তাহলে না হয় বিবেচনা করা যেত। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব যে, মুহাজিরদের প্রবীণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে অল্প বয়স্ক একটি ছেলেকে খলীফা মনোনীত করা হবে? সাঈদ বলল, যদি ব্যাপার তাই হয় তাহলে আমি তোমাদের সাথে নেই। একথা বলে তিনি সেখান থেকে ফিরে গেলেন। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন খালিদ ইব্‌ন উসায়দ এবং মুগীরা ইব্‌ন শু‘বাও ফিরে গেলেন। তাদের সাথে সাকীফ গোত্রের অনেক লোকও ফিরে গেল। অগত্যা হযরত তালহা ও যুবায়র (রা) বাকী লোকদের নিয়ে সামনে অগ্রসর হলেন। ঘটনাচক্রে তাঁরা স্বপ্নকূপে (বিরে রুইয়া) উপনীত হলে কুকুরের দল ঘেউ ঘেউ শুরু করল। ঐ কুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে বলা হল, এটা স্বপ্নকূপ। এই নাম শোনার সাথে সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা (রা) বলেন, আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে চলো, আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে চলো। লোকেরা বলল, কেন? তিনি উত্তর দিলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তার সহধর্মিণীদের সাথে বসা অবস্থায় বলেছিলেন : “হায়! আমি যদি জানতে পারতাম, তোমাদের মধ্যে কাকে দেখে স্বপ্নকূপের কুকুররা ঘেউ ঘেউ করবে?” একথা বলে হযরত আয়িশা (রা) তাঁর উটের ঘাড়ে আঘাত করেন এবং সেখানেই তা বসিয়ে দেন। তিনি একদিন এবং একরাত সেখানেই অবস্থান করেন এবং সমগ্র বাহিনীও তার সাথে অবস্থান করে। হঠাৎ বাহিনীর মধ্যে এই চিৎকার উঠে, জলদি কর, আলী (রা) তোমাদের কাছে এসে পৌঁছে গেছেন। একথা শুনে সমগ্র বাহিনী বসরা অভিমুখে চলতে শুরু করে। হযরত আয়িশা (রা)-ও বাহিনীর সাথে রওয়ানা হন। কেননা ইতিপূর্বেই তাঁকে বলা হয়েছিল যে, ভুলবশত কেউ না কেউ এই কুয়াকে ‘স্বপ্নের কুয়া’ বলেছিল। প্রকৃতপক্ষে এটা তা নয় এবং এ পথে তা পড়তেও পারে না। এভাবেই স্বপ্নকুয়ার পাশে অবস্থানের পরিসমাপ্তি ঘটল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন