hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের ইতিহাস ১ম খণ্ড

লেখকঃ মাওলানা আকবর শাহ খান নজিববাদী

২৬০
ইয়ামনবাসীর ধর্মত্যাগ
আসওয়াদ আনাসীর কথা উপরে আলোচিত হয়েছে। সে ইয়ামন দেশে নবুওয়াত দাবী করে প্রায় গোটা দেশেই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু সে নবী করীম (সাঃ)-এর জীবদ্দশায়ই নিহত হয়ে স্বীয় অপকর্মের শাস্তি ভোগ করেছিল এবং ইয়ামন দেশে ইসলাম ত্যাগের পর পুনরায় ইসলামের প্রসার ঘটছিল। কিন্তু দিকচক্রবাল পুরাপুরি মেঘশূন্য না হতেই হযরত নবী করীম (সাঃ) ইনতিকাল করেন। এই খবর প্রচার হওয়ার সাথে সাথেই গোটা ইয়ামন দেশে পুনরায় ইসলাম ত্যাগ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়লো। এবার ইয়ামানের মুরতাদদের দু’জন বিখ্যাত নেতা ছিল। এক– কায়স ইব্‌ন মাকশূহ, দ্বিতীয়—আমর ইব্‌ন মা‘দীকারাব। ইয়ামনের মুসলমানদেরকে সেখানকার মুরতাদরা বহু কষ্ট দিতে শুরু করলো। ছোট ছোট লড়াই চলতে লাগলো। মুসলমানদের সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য। তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছিল। পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে যে, হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) ইয়ামন দেশের সানআ অঞ্চলে মুহাজির ইব্‌ন আবী উমাইয়া (রা)-কে একটি সেনাদলসহ প্রেরণ করেছিলেন। মুহাজির ইব্‌ন আবী উমাইয়া (রা) মদীনা থেকে রওয়ানা করে পথিমধ্যে মক্কা ও তায়িফ হতে মুসলিম মুজাহিদদের সঙ্গে নিয়ে অতি দ্রুত নাজরানে প্রবেশ করে তাঁবু স্থাপন করলেন। কায়স ও আমর মুহাজিরের হামলার কথা পূর্বেই অবগত হয়েছিলেন। তারাও নাজরানে তাঁর আগমন প্রতীক্ষায় ছিল। আমর ইব্‌ন মাদীকারাব একজন বিখ্যাত নেতা ছিল, যার শত্রু হনন ও বীরত্বগাঁথা সারা দেশে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। মুহাজির (রা) শত্রুদের অপরিমেয় ও অসংখ্য সৈন্যের মধ্যে নিজকে নিজে অবরুদ্ধ দেখতে পেয়ে স্বীয় সহচরগণকে লজ্জা ও ধিক্কার দিয়ে উৎসাহ যোগালেন। তারপর মুরতাদদের উপর হামলা করলেন। ঘোরতর যুদ্ধ হলো। শেষে ইসলামের জয় হলো। কায়স ও আমর উভয় নেতা গ্রেফতার হয়ে মুসলমানদের বন্দীত্বে এলো। বহু সংখ্যক মুরতাদ নিহত, গ্রেফতার ও অবশিষ্টরা পলায়ন করতে বাধ্য হলো। কায়স ও আমরকে মদীনা মুনাওয়ারায় হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর নিকট প্রেরণ করা হলো। মদীনা মুনাওয়ারায় পৌঁছে উভয়ে তাদের ইসলাম ত্যাগের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করলো এবং সানন্দে ইসলাম গ্রহণ করে বন্দীদশা হতে মুক্ত হলো। পরিশেষে অনুমতি নিয়ে ইয়ামন প্রত্যাবর্তন করলো।

মুহাজির ইব্‌ন আবী উমাইয়া (রা) নাজরান যুদ্ধে ইয়ামনের মুরতাদদের কোমর ভেঙ্গে দিয়ে সামনে অগ্রসর হন এবং সানআয় পৌঁছে মুকাবিলার জন্য আগত সেখানকার মুরতাদদেরকে চরমভাবে পর্যুদস্ত করে গোটা এলাকাকে শত্রুমুক্ত করেন। ঐ স্থানেই ইকরামা (রা) (ইব্‌ন আবী জাহল) এসে ইসলামী লশকরে যুক্ত হন এবং এখান থেকে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর নির্দেশক্রমে উভয় নেতা বনূ কিন্দাকে শাস্তি দানের জন্য অগ্রসর হন। বনূ কিন্দা আশআছ ইব্‌ন কায়সকে তাদের নেতা বানিয়ে ইসলামী লশকরের মুকাবিলার জন্য বিরাট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল এবং দিন দিন তাদের সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এই সংবাদ শ্রবণ করে মুহাজির ইব্‌ন আবী উমাইয়া (রা) ইসলামী লশকরের মধ্য থেকে দ্রুতগামী অশ্বারোহীদের একটি ইউনিট নির্বাচন করে নিজের সাথে নিলেন এবং বাকী লশকর ইকরামা (রা) (ইব্‌ন আবী জাহেল)-এর নেতৃত্বাধীন রেখে অতি দ্রুত ও তড়িৎ গতিতে পশ্চাদ্ধাবন করতে করতে মুহাজ্জারে—যেখানে আশআছ ইব্‌ন কায়স মুরতাদ বাহিনীসহ অবস্থান করছিল—পৌঁছেন এবং অতর্কিতে অপ্রতিরোধ্যভাবে মুরতাদদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুরতাদরা এই হামলার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে ইতস্তত পলায়ন করলো। আশআছ সেখান থেকে পলায়ন করে বুহায়র দুর্গে আশ্রয় নিল। অন্য মুরতাদরাও সেখানে গিয়ে দুর্গবদ্ধ হলো। মুহাজির ইব্‌ন আবী উমাইয়া (রা) দুর্গ অবরোধ করলেন। এই সময় ইকরামা (রা) (ইব্‌ন আবূ জাহেল) ও ইসলামী লশকরসহ এখানে এসে পৌঁছেন। অবরোধের কঠোরতা এবং সাহায্য ও রসদপত্র আমদানী থেকে নিরাশ হয়ে আশআছ সন্ধির আবেদন করলো। এই আবেদন এতই বিনয় ও মিনতিপূর্ণ ছিল যে, সে তার সম্প্রদায়ের শুধু নয়জন লোকের জন্য তাদের পরিবার-পরিজনের প্রাণভিক্ষা ও মুক্তি প্রার্থনা করলো। মুহাজির এই আবেদন মঞ্জুর করলেন। আশ্চর্য এই যে, আশআছ ভুলক্রমে এ নয় ব্যক্তির তালিকায় তার নিজের নাম উল্লেখ করতে ভুলে গেলো। সেমতে ঐ নয় ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে বাকী সবাইকে মুসলমানরা গ্রেফতার করলেন। এই যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে আশআছ ইব্‌ন কায়সও শামিল ছিল। এরা যখন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা)-এর সামনে মদীনায় নীত হলো, তখন আশআছ তার অতীত কার্যকলাপ সম্পর্কে অনুতপ্ত হলো এবং সিদ্দীকে আকবর (রা)-কে বললো, আপনি আমার ইসলাম গ্রহণ করুন। আমি আনন্দচিত্তে ইসলামকে পছন্দ ও গ্রহণ করলাম। সিদ্দীকে আকবর (রা) কেবল আশআছকেই নয়, বরং বনূ কিন্দার সমস্ত বন্দীকে মুক্ত করে দিলেন এবং শুধু এতটুকুই বললেন যে, আমি আগামীতে তোমাদের তরফ থেকে কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই কামনা করি না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন